স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতাওয়েবসাইট

স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা

স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা

স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতাঃ স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজেই ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির যোগাযোগ করা সম্ভব। ভিডিও কল, অডিও কল , এসএমএস, ভিডিও চ্যাট ইত্যাদির মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারি। বিশ্বায়নের যুগে স্মার্টফোনের মাধ্যমে বিশ্বের নানা সংস্কৃতির, বিভিন্ন জাতির, বিভিন্ন রকমের মানুষের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে।

প্রিয় বন্ধুরা, আমাদের এই আর্টিকেলে স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা হয়েছে আপনারা একটু মনোযোগের সাথে পড়লে স্মার্ট ফোন সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন। আসুন জেনে নেই স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।

স্মার্টফোন শুধুমাত্র ব্যক্তিগত কাজেই নয় সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় কাজেও ব্যবহার হচ্ছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে দেশের সকল ধরনের সেক্টর গুলো এখন পরিচালিত হচ্ছে। যেমনঃ শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, ব্যবসা বাণিজ্য, কৃষি-শিল্প সেবা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে, আমদানি ও রপ্তানি সকল ক্ষেত্রেই এখন স্মার্টফোনের ব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতাওয়েবসাইট
স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা

উপকারিতাঃ স্মার্টফোন থেকে আমরা যে সকল উপকারিতা ও সুবিধা পেয়ে থাকি তা হল-

  • অডিও ও ভিডিও কলের মাধ্যমে কথা বলা যায়।
  • ইমেইল, এসএমএস প্রেরণ ও গ্রহণ করা যায়।
  • ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যায়।
  • ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে সকল হিসাব নিকাশ করা যায়।
  • ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি তোলা ও ভিডিও করা যায়।
  • গেমস খেলা যায়।
  • ঘড়ির সময় দেখা যায়।
  • কথা অডিও ও ভিডিও রেকর্ড করা যায়।
  • ট্রেন/ বিমান/ হোটেলের টিকেট বুকিং দেওয়া যায়।
  • বিদ্যুৎ/ গ্যাস/ পানি/ডিস সহ নানা ধরনের বিল প্রদান করা যায়।
  • মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম অর্থাৎ টাকা আদান প্রদান করা যায়।
  • বিনোদন পাওয়া যায়।
  • ব্যবসা করা যায়।
  • শিক্ষাগত উপকারিতা পাওয়া যায়। অনলাইনে ক্লাস করা যায় অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়া যায় এবং ফলাফল জানা যায়।
  • জিপিএস সুবিধার মাধ্যমে যেকোন স্থানের লোকেশন জানা যায়।
  • ওয়েব সার্চের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় সকল কিছুই গুগল থেকে জানা যায়।
  • প্রয়োজনীয় অ্যাপস সুবিধা পাওয়া যায়।
  • নিরাপত্তা জনিত বিষয় যেমন- ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের  সুবিধা । এছাড়াও আপনার গুরুত্বপূর্ণ ডাটা, ফটো, ভিডিও অ্যাপ লক এর মাধ্যমে নিরাপদ রাখতে পারেন।
  • আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে পারবেন।
  • বীমার প্রিমিয়াম জমা করতে পারবেন।
  • সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

আরও জানুন 5G এখন বাংলাদেশে

অসুবিধাঃ স্মার্টফোনের কিছু অসুবিধা দেওয়া হল-

  • দাম বেশিঃ স্মার্টফোনের দাম বেশি হওয়ায় সকলের পক্ষে ক্রয় করা সম্ভব হয় না। যারা অল্প এর মানুষ তাদের ভালো মানের একটা স্মার্ট ফোনকে যেন স্বপ্ন মনে হয়।
  • তথ্য চুরিঃ আপনার ডিভাইসে যেসকল ব্যক্তিগত বিষয় থাকে তা অন্য লোকেরা সহজে ট্রান্সফার করে নিতে পারেন বিশেষ ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে। অবশ্য আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে সামান্য নিরাপত্তাও রয়েছে।
  • স্বাস্থ্যের ক্ষতিঃ দীর্ঘক্ষণ স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে স্বাস্থ্যের অত্যান্ত ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে চোখের সমস্যা, মস্তিষ্কের সমস্যা ও ক্যান্সারও হতে পারে। মনে রাখবেন, মোবাইল দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়া এবং ঘুম থেকে ওঠে মোবাইল ফোন দেখা অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • মোবাইল আসক্তিঃ মানুষের মোবাইল ফোনের প্রতি আসক্তি আক্রান্ত বেড়ে গেছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে আসক্তির প্রবণতাটা অত্যন্ত বেশি। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সারাক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকায় বন্ধুবান্ধব, পরিবার, আত্মীয়-স্বজন থেকে নিজেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে রাখি। ফলে, প্রিয়জনদের সাথে দূরত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে।
  • গোপনীয়তাঃ স্মার্টফোনের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের ফটো, ভিডিও, মনের কথা (দুঃখের কথা , সুখের কথা) সকল কিছুই পোস্ট করে থাকি। যার ফলে আমাদের গোপনীয়তা আর ধরে রাখতে পারিনা।
  • বিদেশি কালচারঃ স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে বিদেশিদের কালচার-সংস্কৃতি আমাদের দেশের মতো সভ্য দেশগুলোতে অসভ্যতা সৃষ্টি করে।
  • জুয়া খেলাঃ স্মার্টফোনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের জুয়াখেলা সংঘটিত হয়ে থাকে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ক্যাসিনো, জুয়া ও নানা অপরাধ সংঘটিত হয়ে থাকে।
  • অপরাধ বৃদ্ধিঃ স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে দুস্কৃতিকারীরা বিশ্বব্যাপী অপরাধ প্রবণতা প্রসারিত করেছে।
  • সূক্ষ্ম প্রতারণাঃ স্মার্টফোনে বিশেষ অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারকরা সাধারণ মানুষের মোবাইল ফোন থেকে মোবাইল ব্যাংকিং ও অন্যান্য খাতের টাকা লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।
  • অশ্লীলতাঃ স্মার্টফোন ব্যবহারের মাধ্যমে অসাধু ব্যক্তিরা অশ্লীলতা, বিশৃঙ্খলা, প্রতারণা এবং নানা ধরনের অপরাধ সংগঠিত করে যাচ্ছে।

আরো জানুন

পরিশেষে আমি বলতে চাই, প্রত্যেকটা ভালো বিষয়ের সাথে কিছু মন্দ বিষয় যুক্ত থাকবেই। প্রিয় বন্ধুরা, আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি স্মার্টফোনের মাধ্যমে উপকারিতা গুলো গ্রহন করবেন নাকি অপকারিতা গ্রহণ করবেন। স্মার্ট ফোনের উপকারিতা গ্রহণ করলে আপনি ব্যক্তিগতভাবে, সামাজিকভাবে লাভবান হবেন। আর স্মার্টফোনের ক্ষতিকর দিকগুলো গ্রহণ করলে আপনি, আপনার পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্র সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে।

আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয় এবং একমত পোষণ করি যে, আমরা স্মার্টফোনের মাধ্যমে কোনো ক্ষতিকর দিক ব্যবহার করব না। শুধুমাত্র আমাদের প্রয়োজনীয় এবং ভালো বিষয় গুলোই ব্যবহার করব। স্মার্টফোন হোক আমাদের প্রয়োজনে একটি বিশেষ উপকরণ যার মাধ্যমে আমরা আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সকল যোগাযোগ, তথ্য আদান-প্রদান এবং এর সুফলগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা সম্মানজনক স্থানে পৌঁছাতে পারবো।

অল্প টাকায় লাভজনক ২২ টি ব্যবসার আইডিয়া [এখানে দেখুন]

ট্যাগঃ স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *