৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ
৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশে চালু হচ্ছে এ যেন এক স্বপ্নীল আনন্দ। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ প্রতিবছর বাংলাদেশের উন্নয়ন ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যোগাযোগ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন আর পিছিয়ে নেই। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের সুনাম ছড়িয়ে যাচ্ছে। সেই সাথে বাংলাদেশের স্থাপিত হতে যাচ্ছে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক যা যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বিরল স্থাপনা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।
বর্তমানে আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের বাংলাদেশ এখন যোগাযোগ ক্ষেত্রে এক বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি হচ্ছে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে। ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপিত হলে আমরা মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের মাধ্যমে শুধু দেশের মধ্যেই নয়, সারা বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ তথ্য আদান প্রদান সহ বিশ্বের সকল ধরনের খবরা খবর জানতে পারবো, বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সফলতা অর্জন করতে পারব, ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস সহ নানাবিদ সুযোগ-সুবিধা মুহূর্তেই পাওয়া যাবে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক যুগোপযোগী পরিবর্তন আসবে।
৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ
প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন যে, বাংলাদেশ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি ৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ চালু হয়েছে। ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে আমাদের জীবন যাত্রা হবে আরো গতিময়।
গতিশীল হবে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশন। প্রযুক্তিগত দিক থেকে আরো উন্নত হবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ সব জায়গায়।
তথ্যপ্রযুক্তি ছড়িয়ে যাবে শহর থেকে গ্রামে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে। সারা পৃথিবী চলে আসবে হাতের মুঠোয়। মুহূর্তেই যোগাযোগ করা যাবে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
পৃথিবীর এক প্রান্তের কৃষ্টি কালচার, সামাজিক কর্মকাণ্ড সকল কিছুই মুহূর্তেই জানা যাবে পৃথিবীর অন্য প্রান্তে।
নেটওয়ার্ক প্রজন্মঃ
৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশঃ টুজি (দ্বিতীয় প্রজন্ম) বাংলাদেশ আসে ১৯৯০-৯১ সালে। এরপর (থ্রিজি )তৃতীয় প্রজন্মের আবির্ভাব হয় বাংলাদেশ ২০১১ সালে। যা মানুষের জীবনযাত্রাকে আরো গতিশীল করে তোলে ছিল।
এরপর ২০১৮ সালে চতুর্থ প্রজন্মের মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটালাইজেশনের যুগ শুরু হয়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সবক্ষেত্রেই জীবন যাত্রা কে গড়ে তুলেছে আরো অনেক গতিশীল।
এখন ২০২১ সালে শুরু হল আমাদের স্বপ্নের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন প্রযুক্তি ৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ।
সূচনাঃ
দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু হয় ২০১৯ সালের এপ্রিলে। বর্তমানে ফাইভ-জি সেবা বাণিজ্যিকভাবে চালু আছে বিশ্বের ৬১টি দেশের ১৩৩৬টি শহরে।
২০২১ সালে ”১২ই ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস” এ বাংলাদেশের সর্ব প্রথম রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক উচ্চগতিসম্পন্ন ৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে ।
পরীক্ষামূলক ৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ
প্রথমে ৬টি জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে এই সেবা প্রদান করা হবে। যথাঃ
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়,
- জাতীয় সংসদ ভবন,
- সচিবালয় ,
- ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু জাদুঘর,
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া,
- সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
বিটিআরসি ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ফাইভ-জি সেবা চালু করার বিষয়টি সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারের অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি বলেন, ফাইভ-জি ও ফোর-জি সেবা এক নয়।
ফোর-জি সেবা কাজ করে সংযুক্তি নিয়ে, আর ফাইভ-জি ব্যবহার বেশি হয় শিল্পখাতে। তাই এ দুটির মধ্যে তুলনা করা উচিত নয়।
টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহাবুদ্দিন বলেন, বেসরকারি অপারেটররা ২০২২ সালের মার্চে তরঙ্গ নিলামের পর ক্রমান্বয়ে এ সেবা চালু করতে পারবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তাই, বেসরকারি অপারেটরদের গ্রাহকদেরকে অপেক্ষা করতে হবে তরঙ্গ নিলাম শেষ না হওয়া পর্যন্ত। তিনি জানান, টেলিটকের ৬৫ লাখ গ্রাহককে এ সেবা পাওয়ার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
ফাইভ-জি প্রযুক্তি ফোর-জি’র চেয়ে ২০ গুণ বেশি গতিতে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বদ্ধ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী- ফাইভ-জি সেবার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালিত গাড়ি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি, স্মার্ট শহর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো আধুনিক প্রযুক্তি ও ধ্যান-ধারণাকে বাস্তবে রূপান্তর করা সম্ভব হবে।
এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আরো উন্নত মানের ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা মানুষের কাছে পৌছে দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ফাইভ-জি হচ্ছে অটোমেশনের মহাসড়ক।
গত মার্চে (জি এস এম এ) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ ৯৫ শতাংশ মানুষ ফোর জি মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের আওতায় চলে এসেছে।
কিন্তু মাত্র ২৮ শতাংশ গ্রাহকের মোবাইল ফোর জি ’র সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ২৫ শতাংশ থ্রি জি’র সাথে যুক্ত রয়েছে। এবং ৪৭ শতাংশ গ্রাহক এখনও টু জি সেবা ব্যবহার করে থাকে।
গত অক্টোবরের তথ্য অনুযায়ী, এদেশে ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা ১২ কোটি ৯২ লাখ। তবে, এর মধ্যে মোবাইল ফোনে ১১ কোটি ৯১ লাখ এবং ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মাধ্যমে বাকি গ্রাহকরা সেবা নিয়ে থাকেন।
আরও জানুন স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা
ফাইভ-জি এর সুবিধা সমূহ-
- ডাউনলোড স্পিড বাড়বে ৪জি নেটওয়ার্কের তুলনায় ৪০ থেকে ৫০ গুন বেশি।
- হাই কোয়ালিটির গেম গুলো ডাউনলোড না করে খেলতে পারবে।
- ফাইভ-জি ব্যবহারের ফলে মোবাইল ডিভাইসের ব্যাটারির চার্জ খরচ কম হবে। কারণ দ্রুতগতিতে যেকোনো কাজ করা যাবে।
- ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর গতি হবে 10 mbps তবে ২০২৬ সাল নাগাদ এর গতি বৃদ্ধি করে 100 mbPS করা হবে।
- ৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ এর মাধ্যমে দেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটবে।
- ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটবে।
- দূরশিক্ষণ অনলাইন ক্লাস এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও শিক্ষার্থীরা বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ পাবে।
- শিল্প কারখানার উৎপাদন বাড়বে এবং মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।
- ৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ সেবায় চালকবিহীন গাড়ি, লাইভ ম্যাপ এবং ট্রাফিক তথ্য জানা যাবে।
- স্বচ্ছভাবে ভিডিও কল করা যাবে।
আরোও জানুন
- ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে বিস্তারিত এখানে
- কর্মক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
- মোবাইল থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়
- ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়
- ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায় [আসল পথ]
- অনলাইন ইনকামের ট্রাস্টেড সাইট
- বাজে খরচ কমানোর সহজ উপায় [আসল পথ]
- ছাত্রদের জন্য অনলাইনে আয় (বিস্তারিত জেনে নিন)
- স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা
- মোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদান
পরিশেষে আমি একথা নির্দ্বিধায় বলতে চাই বাংলাদেশ ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক চালু হলে সারাদেশব্যাপী এক উন্নয়নের ধারা বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা সেবা, যোগাযোগ, ব্যবসা বাণিজ্য, তথ্য আদান-প্রদান, বিনোদন, ভ্রমণ, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, কৃষিক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার, শিল্প ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক জীবন এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে মানব জীবনের চলাফেরা জীবনযাপন অনেকটাই সহজ সাধ্য হবে। ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে খুব সহজেই অপরাধপ্রবণতা কমানো যাবে অপরাধীদের খুব সহজে এর মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে এসে অপরাধমুক্ত সমাজ গঠন করা সম্ভব হবে।
তাই শুধু ব্যক্তিগত নয় সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবনের ক্ষেত্রেও ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক এর সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করা যাবে। যদিও বিশ্বের 61 টি দেশ তাদের ফাইভ জি সেবা প্রদানের মাধ্যমে জনগণকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেবা দিয়ে যাচ্ছে আমাদের দেশেও ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক পুরোপুরি চালু হলে আমাদের এই দেশ প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে যাবে এর প্রভাব পড়বে উন্নয়নে, অর্থনীতিতে, রাজনীতিতে এবং শিক্ষাঙ্গনে।
আশা করা যাচ্ছে চলতি বছরের শেষ দিকে অর্থাৎ 2022 সালের মধ্যেই ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক সারাদেশব্যাপী চালু হবে সারাদেশব্যাপী ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক স্থাপনের মাধ্যমে সরকারের একটি মাইলফলক প্রতিষ্ঠিত হবে।
আমাদের ওয়েবসাইট আসল পথ ডট কম এর মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে কিভাবে আয় করা যায় সে সকল বিষয় নিয়ে খুব ভালো হবে জানতে পারবেন এবং অনলাইন থেকে প্রচুর পরিমানে আয় করতে পারবেন। আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল ধরনের একাডেমিক পরীক্ষার রেজাল্ট পাওয়া যাবে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সম্পর্কে বিশেষ টিপস পাওয়া যাবে। আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সকলে ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এই কামনায় এখানেই শেষ করছি, আল্লাহ হাফেজ।