ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়

ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়

ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়

ঠোঁট হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা আমাদের এখন মানবসমাজে কমন রোগ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। প্রায় লোকের পায়ের গোড়ালির দিকে তাকালে দেখা যায় পায়ের গোড়ালি ফেটেছে, হালকা শীতে ঠোঁট, হাতের তালু ফেটে যায়, হাতের তালুর চামড়া উঠে যায় এসকল রোগ থেকে প্রতিকার চাইলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন এবং পরিপূর্ণ ভাবে সুস্থ থাকুন।

ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়
ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়

ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়

এখন চলছে শীতকাল। সে তার রাজত্ব বিস্তার করেছে আমাদের চারদিকে। শীত মৌসুমে আমরা অনেক ভালো কিছু পেলেও শীতকালে আমাদের অনেকের ঠোট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়।

এই কারণে আমাদের অনেকের মন খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে ত্বক পরিচর্যা করলে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

শীতের মৌসুমে ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটার অন্যতম কারণ ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। অবহেলা ও সঠিক যত্নের অভাবে আমাদের ঠোট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়।

এটি থেকে বাঁচার জন্য শীতের শুরু থেকেই ময়েশ্চারাইজার বা ভেসলিন লাগানো শুরু করেন। তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ফাটার হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব।

আপনি যখনই হাত-পা-মুখ ধৌত করবেন, তখনই চেষ্টা করবেন পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে গ্লিসারিন বা লোশন ব্যবহার করতে।

যদি ব্যস্ততার জন্য ব্যবহার করতে না পারেন তাহলে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই এই উপাদানগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

সোডা মিশ্রিত কুসুম গরম পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন এরপর এতে চিনি, লবণ ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে কিছুক্ষণ মেসেজ করুন। ইহাতে পায়ের গোড়ালির মরা চামড়া উঠে যাবে।

প্রয়োজনে ঝামা পাথর দিয়ে পায়ের গোড়ালি ঘষে নিন। দেখবেন মরা চামড়া উঠে গেছে।

শীতকালে ঠোট, হাত, পায়ের গোড়ালি ও কনুইয়ের ত্বক একটু বেশি রুক্ষ হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে গ্লিসারিন খুব ভালো কাজ করে।

বেশি রুক্ষ হয়ে গেলে সপ্তাহে একবার লেবু ও মধু মিশিয়ে রুক্ষ জায়গায় মেসেজ করতে পারেন।

তবে এসব ব্যাবহার করে যদি ভাল ফলাফল না পাওয়া যায়, তবে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

মনে রাখবেন, ত্বকের সজীবতা ধরে রাখার জন্য খাদ্য অভ্যাস অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যাভ্যাস নিয়মিত না হলে ত্বক সঠিক মাত্রায় পুষ্টি পায় না।

শীত মৌসুমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ফলমূল, শাক-সবজি সহজেই পাওয়া যায়। ত্বক ভালো রাখতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে ফলমূল, শাকসবজি খেতে হবে। এবং এর পাশাপাশি দুধ ও ডিম খেতে পারেন।

এ কথা সর্বদা মনে রাখবেন পানি ত্বক সুস্থ রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন।

আপনারা অনেকেই শীতে পানি পান করা এড়িয়ে চলুন কিন্তু ত্বক ভালো রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা।

ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়
ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়

আরও জানুন

ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়

ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায় সমুহ (১০ টি) নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

  1. ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার/ভেসলিন/গ্লিসারিন ঠোঁট, হাত ও পায়ে লাগিয়ে নিন। এতে ঠোঁট, হাত ও পায়ের ত্বকের কোমলতা ও সজীবতা বৃদ্ধি পাবে।
  2. শীত মৌসুমে পায়ে মোজা পরার অভ্যাস করুন। প্রয়োজনে হাত মোজা পরারও অভ্যাস করুন। এতে আপনার একদিকে শীত কম লাগবে অন্যদিকে  ত্বক খুবই ভালো থাকবে।
  3. বুট জুতা বা সু- জাতীয় জুতা ব্যবহার করুন। এতে ত্বক ভাল থাকবে এবং ত্বকে ধুলো-ময়লা লাগবেনা।
  4. প্রচুর পানি পান করুন। পানি আপনার ত্বকের ভেতর থেকে সতেজতা ফিরিয়ে আনবে।
  5. পা ফাটা বেশি হলে রাতে ঘুমানোর পূর্বে গরম পানিতে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
  6. সরিষার তেলের সঙ্গে মম বাতির মম ভালোভাবে মিশিয়ে পায়ের গোড়ালি ফাটা স্থানে লাগিয়ে ঘুমোতে যান। এতে পায়ের গোড়ালি ফাটা দুর হবে।
  7. গ্লিসারিন এর সঙ্গে গোলাপ জল মিশ্রিত করুন এবং পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে সারারাত রেখে দেন। ইহাতে পায়ের গোড়ালি ফাটা কমবে ও ব্যথা কমে যাবে।
  8. পায়ের গোড়ালি ফাটা সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তিলের তেল অত্যন্ত কার্যকরী। পায়ের গোড়ালি ফাটার স্থানে তিলের তেল লাগালে পা ফাটা দূর হয়।
  9. লেবুর রসের সঙ্গে পেট্রোলিয়াম জেলি বা ভেসলিন মিশ্রিত করে ফাটার স্থানে লাগালে দ্রুত ঠোট, হাত ও পা ফাটা রোধ হয়।
  10. মধু মিশ্রিত গরম পানিতে পনের বিশ মিনিট পায়ের গোড়ালি ভিজিয়ে রেখে তারপর গ্লিসারিন, ভেসলিন ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করলে দ্রুত ভালো হয়ে যায়।

মনে রাখবেন, শীতকাল শুষ্ক মৌসুম। এসময় আদ্রতার একটু ঘাটতি থাকে। এই আদ্রতার ঘাটতির কারণে ঠোট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়।

তখন আমরা চিন্তাযুক্ত হয়ে পড়ি এবং এর উপায় খুঁজে পায়না। আমাদের এই বিরম্বনায় যেন পড়তে না হয় এজন্য আমাদের ত্বকের একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।

আসুন, আমরা সকলে সচেতন হই। শীত মৌসুমে শরীর ও ত্বকের যত্ন নিই। তাহলে, নিশ্চয়ই আমরা ভালো থাকতে পারবো ইনশাল্লাহ।

আরও জানুন

পরিশেষে একথা বলতে চাই আসুন আমরা স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হই এবং সকলে সুস্থ থাকতে চেষ্টা করি। আমরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারলে মানসিকভাবে অসুস্থ থাকতে পারবো। আমরা জানি ”স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল” আর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা হলো ঈমানের অঙ্গ। পরিষ্কার পরিছন্নতা থেকেই ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। উপরোক্ত বিষয়গুলো ফলো করলে আমরা সবসময় এ সকল ছোটখাট সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারব। সকলে সুস্থ থাকুন এই আশাবাদ ব্যক্ত করে এখানেই শেষ করছি। আমাদের ওয়েবসাইট আসল পথ ডট কম এর সাথেই থাকুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *