লাভজনক স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়া

লাভজনক স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়া

লাভজনক স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়াঃ

প্রিয় বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। আশা করি, আপনারা সকলে ভালো আছেন। অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান কিভাবে লাভজনক স্টক মালের ব্যবসা করা যায়। তাই আপনাদের উদ্দেশ্যে আজ আমাদের এই গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলটি জানিয়ে দিবো কিভাবে আপনি লাভজনকভাবে স্টক মালের ব্যবসা করে অধিক লাভবান হতে পারবেন।

লাভজনক স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়া
লাভজনক স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়া

আপনারা যারা ব্যবসায়ীতে বেশি ঝুঁকি নিতে চান না তাদের জন্যই মূলত আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। আপনারা স্টক মালের ব্যবসা করে নিশ্চিন্তে অধিক লাভবান হতে পারবেন এজন্য আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগের সাথে পড়বেন। তাই আর দেরি না করে চলুন জেনে নেই লাভজনক ইস্টক মালের ব্যবসা সম্পর্কে।

স্টক ব্যবসা

Stock শব্দের অর্থ হলো মজুদ করা। যে সকল মালামাল আমরা গুদামজাত করে বা মজুদ করে ঘরে রেখে দেই পরবর্তীতে মালামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার পর বিক্রি করে থাকে এই ধরনের ব্যবসাকে বলা হয় স্টক ব্যবসা।

স্টক মালের ব্যবসা বিভিন্ন পণ্যের উপরে করা যায়। কৃষি পণ্য, শিল্পজাত পণ্য বা আমদানিকৃত পণ্যের উপরে স্টক মালের ব্যবসা করে অধিক লাভবান হওয়া যায়।

আরও পড়ন ৫টি লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩

বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায়িক মহলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অধিক লাভ করার ব্যবসা হচ্ছে স্টক ব্যবসা। আমাদের সমাজে আমরা দেখতে পাই প্রতিদিন পণ্যের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে শুধু আমাদের দেশে সীমাবদ্ধ নয় এখন বিশ্বব্যাপী সব দেশে পণ্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যাচ্ছে।

আর এই মুহূর্তে যদি আপনি যে কোন পণ্যকে মজুদ করে রাখতে পারেন তাহলে কিছুদিন পরে বিক্রি করলে অধিক পরিমাণে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পূর্বের দিনগুলোতে অনেক সময় স্টক মালের ব্যবসা করে অনেকেই লোকসানের সম্মুখীন হলেও বর্তমানে ব্যবসা করে এখন সবাই শতভাগ লাভবান হচ্ছে।

কৃষি মৌসুমে কৃষি পণ্যের দাম অত্যন্ত কম থাকে কিছুদিন পরেই যখন কৃষকদের হাতে আর বেশি পণ্য থাকে না তখনই কৃষি পণ্যের দাম অত্যাধিক পরিমাণে বেড়ে যায় যে সকল ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল মজুদ করে রাখে তারা প্রচুর পরিমাণে লাভবান হয় আর এ ধরনের ব্যবসাকে বলা হয় স্টক মালের ব্যবসা।

পণ্যদ্রব্যের মধ্যে শিল্পে উৎপাদিত পণ্য কিছুদিন পরপর দাম বৃদ্ধি পায়। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে শিল্পে উৎপাদিত পণ্যের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া, বৃদ্ধি শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় শিল্পজাত পণ্য সামগ্রীর দাম বছরে কয়েকবার বৃদ্ধি পায়।

এজন্য আপনি যদি খেলতে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রীয় মজুদ করে রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন।

সহজ কথায় স্টক মালের ব্যবসা বলতে আমরা বুঝে থাকি কম দামে পণ্য ক্রয় করে গুদামজাত করে বা মজুদ করে রেখে দেওয়ার মাধ্যমে পরবর্তীতে দাম বৃদ্ধি পাওয়াই অধিক দামে বিক্রি করাকে স্টক মালের ব্যবসা বলা হয়।

কিভাবে শুরু করবেন

স্টক মালের ব্যবসা আপনি যদি করতে চান তাহলে আপনাকে প্রথমে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কি কি মালের স্টক করতে চান। আপনি ব্যবসা শুরুর আগে ট্রেড লাইসেন্স করে নেবেন। আপনার মালামাল ক্রয় করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে নগদ অর্থ রাখতে হবে।

আপনার মালামাল মজুদ করে রাখার জন্য একটি ঘরের ব্যবস্থা রাখতে হবে যেখানে আপনি অনেক দিন পর্যন্ত মালামাল গুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন। মালামালের জন্য সুন্দর একটি গুদাম ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে মালামালের কোন ক্ষতি না হয়।

আপনার এলাকায় কোন কোন পণ্যগুলো উৎপাদনের সময় দাম কম থাকে এবং ৫-৬ মাস পর তা দাম বেড়ে যায় এ সকল পন্য সমূহ প্রথমে বাছাই করতে হবে। আপনি যদি গ্রাম অঞ্চলের মানুষ হন তাহলে কৃষিভিত্তিক পন্য সমূহ মজুদ করে রাখতে পারেন।

আর যদি আপনি শহর অঞ্চলে বসবাস করে থাকেন তাহলে কৃষিভিত্তিক পণ্য বা শিল্পজাত উৎপাদিত পণ্য সমূহ মজুদ করে রাখতে পারেন যা পরবর্তীতে অধিক দামে বিক্রি করে আপনি অনেক লাভবান হবেন।

আসুন জেনে নেই কৃষি ভিত্তিক উৎপাদিত পণ্যের স্টক ব্যবসা সম্পর্কে-

ধান/চাউলের ব্যবসা

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশে প্রচুর পরিমাণে কৃষি ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে আর এই ফসলগুলোর মধ্যে ধান হচ্ছে আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। বাঙ্গালীদের অন্যতম প্রধান খাদ্য হল ভাত যা ধান থেকে উৎপাদন করা হয়ে থাকে।

ধানের চাহিদা আমাদের দেশে সারাদেশব্যাপী রয়েছে সারা বছর। বছরের শুধুমাত্র দুই থেকে তিনবার ধানের ফসল উৎপাদন হয়ে থাকে আর ভাতের চাহিদা রয়েছে সারা বছর।

ধান উৎপাদনে আমাদের বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। আমাদের দেশের চাহিদা পূরণ করে এখন চিকন জাতের ধান এর চাল বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

ধানের উৎপাদনের মৌসম যখন শেষ হয়ে যায় তখন কৃষকদের হাতে যখন ধানের পরিমাণ কমে যায় আর ধানের দামের পরিমাণ অত্যন্ত বেড়ে যায় যায়।

কৃষকদের কাছে সরাসরি ধান ক্রয় করে আপনি যদি গুদামজাত করে রেখে দিতে পারেন তাহলে দুই বা তিন মাস পর বিক্রি করলেন অধিক দামে বিক্রি করতে পারবেন এবং আপনি অনেক মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

বছরে আপনি অন্তত দুইবার অর্থাৎ বোরো মৌসুম এবং আমনের মৌসুমে ধান ক্রয় করে এ ব্যবসাটি চালু রাখতে পারেন। আপনি যত বেশি ধান বা চাউল মজুদ করে রাখতে পারবেন তত বেশি আপনি লাভবান হবেন।

আলু স্টক করুন

ভাতের পর মানুষের সবচাইতে বেশি খেয়ে থাকে আলু। আলু মানুষের দ্বিতীয় প্রধান খাদ্যশস্য। বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে আলুর চাষ হয়ে থাকে আমাদের দেশের চাহিদা পূরণ হওয়ার পর কিছু আলু এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

বাংলাদেশের তরকারি ও সবজির মধ্যে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য খাদ্যশস্য হলো আলু। আলু বছরের শুধুমাত্র শীতকালে উৎপাদন হয়ে থাকে এটি সারা বছর উৎপাদন হয় না কিন্তু সারা বছর চাহিদা রয়েছে সারা দেশব্যাপী।

শুধুমাত্র বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর এখন সকল দেশে আলুর বিশাল চাহিদা রয়েছে। যখন উৎপাদন হয় আলু সাধারণত জানুয়ারি মাসে আলুর যে দাম থাকে পরবর্তীতে তা দুই গুণ বা তিনগুণ অনেক সময় চার গুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।

আলু হলো পচনশীল দ্রব্য এটি আপনার ইচ্ছা করলো নিচে বাড়িতে রেখে দীর্ঘদিন পর্যন্ত রাখতে পারবেন না। তাহলে আপনি কিভাবে সংরক্ষণ করবেন?

আলু সংরক্ষণ করতে চাইলে আপনার নিকটস্থ কোল্ড স্টোরের সাথে যোগাযোগ করতে হবে কোল্ড স্টোর একটি নির্দিষ্ট ভাড়া নিয়ে আপনার সারা বছরব্যাপী তা সংরক্ষণ করে রাখবে।

আপনি যে পরিমাণ আলুর সংরক্ষণ করে রাখবেন আপনি যখনই নিতে চান এমনকি ৬ মাস পর নিতে চাইলেও আপনাকে সেই পরিমাণে বুঝিয়ে দেবে।

চলতে বছর ২০২৩ সালে আলু উৎপাদনের সময় মূল্য ছিল প্রতি কেজি মাত্র ১০ থেকে ১৫ টাকা আর এটি চলতি বছরের অক্টোবর নভেম্বর মাসে এখন প্রতি কেজি আলুর দাম ৭০ টাকা।

তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যাহারা আলু স্টোক করেছে তাদের কি পরিমাণে মুনাফা অর্জন হয়েছে। তবে এই বছরের মত এত বেশি মুনাফা অর্জন আলু ব্যবসায়ীদের খুব কম হয়েছে।

জানুন ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩

ভোট্টা ও গম স্টক করুনঃ

সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও প্রচুর পরিমাণে গম ও ভুট্টার চাহিদা রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের খাদ্যশস্যের মধ্যে তৃতীয় প্রধান খাদ্যশস্য হচ্ছে ভুট্টা ও গম। ভোটটা ও গমের মাধ্যমে ময়দা তৈরি করা হয় যা আমরা রুটি হিসেবে আমাদের দেশের প্রত্যেকটি পরিবারের প্রিয় একটি খাবার গ্রহণ করে থাকে।

গম ও ভুট্টার মাধ্যমে ময়দা সুজি আটা এবং বেকারের মালামাল বিস্কুট পাউরুটি ও অন্যান্য মজাদার খাদ্য তৈরি করা হয়ে থাকে এজন্য সারা দেশব্যাপী গম ও ভুট্টার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আমাদের দেশে যে পরিমাণ উৎপাদন করা হয় তা আমাদের চাহিদা পূরণ করার পর আরও বিদেশ থেকে প্রতিবছর গম ও ভুট্টা আমদানি করে আনা হয়।

শুধুমাত্র একবার উৎপাদন করা হয় সারা বছর খাদ্য উপকরণ হিসেবে গম ও ভুট্টার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। উৎপাদনের সময় গম ও ভুট্টার দাম কম থাকলেও পরবর্তীতে এই পণ্যগুলো চাহিদা বেড়ে যায় এবং দামও বেড়ে যায়।

তাই ভুট্টা ও গম আপনি যদি মজুদ করে রাখতে পারেন তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন।

পেঁয়াজ ও রসুন স্টক করুন

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পরিবারের রান্নার প্রধান উপকরণের মধ্যে অন্যতম হলো পেঁয়াজ ও রসুন। এই গুরুত্বপূর্ণ দুটি উপকরণ ছাড়া বাংলাদেশের কোন পরিবারে আর রান্নার কথা ভাবাও যায় না।

আর প্রতিবছর পেঁয়াজ ও রসুনের দাম প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। যখন পেঁয়াজ রসুন উৎপাদন করা হয় তখন যে পরিমাণ দাম থাকে পরবর্তীতে ইহা দুই তিন গুন বা আরো অনেক বেশি বেড়ে যায়।

চলতি বছর ২০২৩ সালে পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি উৎপাদনের সময় ২০ থেকে ২৫ টাকা থাকলেও বর্তমানে অর্থাৎ অক্টোবর নভেম্বর মাসে এর দাম একশত বিশ টাকা প্রতি কেজিতে দাঁড়ায়।

আর রসুনের দাম উৎপাদনের সময় ৪০-৪৫ টাকা কেজি থাকলেও তা পরবর্তীতে 200 টাকা কেজিতে রূপান্তরিত হয়।

তাহলে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যারা পেঁয়াজ রসুনের মালামাল স্টক করে রেখেছে তারা কি পরিমানে লাভবান হয়েছে।

পেঁয়াজ ও রসুন পচনশীল দ্রব্য তাই আপনি ইচ্ছা করলে বাড়িতে আপনার ইচ্ছামত অনেকগুলো পণ্য ক্রয় করে মজুদ করে রাখতে পারবেন না। তাহলে আপনাকে কোল্ড স্টোর এর সাথে যোগাযোগ করে পেঁয়াজ ও রসুন রাখার জন্য কিছু নির্দিষ্ট পরিমাণে ভাড়া প্রদান করে আপনার কাঙ্ক্ষিত সময় পর্যন্ত রাখতে পারবেন।

পরবর্তীতে যখন সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে তখন আপনি কল্ড স্টোর থেকে বের করে তা পাইকারি ঘরগুলোতে সহজে বিক্রি করতে পারবেন।

সুপারি স্টক করুন

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চল এবং পরিবারের মখরোচকের অন্যতম খাবার হচ্ছে পান সুপারি। বাঙালি গ্রাম এবং শহরের পরিবারগুলোতে পান সুপারি খাওয়াটা যেন এক পুরনো ঐতিহ্য বহন করে। অতিথি আপ্যায়নে পান সুপারি খাওয়া যেন এক চিরন্তন বস্তু।

বাংলাদেশের প্রত্যেকটি অঞ্চলে পান সুপারির বিশেষ চাহিদা রয়েছে যা সারা বছর  মানুষের চাহিদার অন্যতম একটি খাদ্যবস্তু। আর এই চাহিদা পূরণের জন্য উৎপাদনের সময় সুপারের দাম কম থাকলেও পরবর্তীতে এর দাম অনেক গুণ পর্যন্ত বেড়ে যায়।

সুপারি সংরক্ষণ করার পদ্ধতি রয়েছে দুইটি সুপার এ কাঁচা সংগ্রহ করা যায় পানিতে ভিজিয়ে রেখে আবার শুকনা সুপারি সংরক্ষণ করে রাখা যায়। দুই ধরনের সুপার এর চাহিদা রয়েছে আমাদের সারা দেশব্যাপী।

কাজেই আপনি যদি পারি মজুদ করে রাখতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে অনেকে বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।সুপারি মৌসুমী পণ্য হওয়ায় এটি সারা বছর উৎপাদন হয় না, বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় সুপার উৎপাদন হয়ে থাকে এবং এটি সারা বছর চাহিদা পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে।

তাই ও বন্ধুরা আপনারা যারা সুপারি সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে তাহলে এই ব্যবসাটির মাধ্যমে আপনি অতিথি পরিমাণে মুনা পাওয়ার জন্য করতে পারবেন।

সরিষা সংরক্ষণ করুন

বাঙ্গালীদের খাদ্য তালিকার অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে সরিষা তেল। ভর্তা, ভাজি এবং রান্নার ক্ষেত্রে সরিষার তেলের অন্যতম চাহিদা রয়েছে।

সরিষা তেল হচ্ছে গ্রাম বাংলার একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য। আর এর চাহিদা রয়েছে সারা বছরব্যাপী সারাদেশে। সরিষা উৎপাদনের সময় দাম কম থাকলেও পরবর্তীতে এর দাম অনেক বেড়ে যায়।

যারা সরিষা মজুদ করে রাখতে চান তারা ওদের পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন। বছরের শুধুমাত্র একটি সময় সরিষা উৎপাদন হয়ে থাকে আর চাহিদা থাকে সারা বছরব্যাপী। তাই সরিষা মজুদ করে ও দেখে লাভবান এর সম্ভাবনা পাওয়া যায়।

ডাল সংরক্ষণ করুন

বাঙালিদের খাদ্য তালিকার আর অন্যতম খাদ্যশস্য হচ্ছে ডাল। মসুর ডাল, মুগ ডাল, খেসারি ও মাস ডালের বিশেষ চাহিদা রয়েছে। বাঙালির প্রত্যেকটি পরিবার খাদ্য তালিকায় ডাল পছন্দ করে থাকে।

ডাল বছরের একটি নির্দিষ্ট সময় উৎপাদন হল সারা বছরব্যাপী চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি পরিবার সারা বছরব্যাপী ডাল খেয়ে থাকে তাই এর চাহিদা অত্যন্ত বেশি।

ডালে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে এবং চাহিদা অনেক বেশি অনেকেই ’ডালকে গরিবের গোশত’ বলে থাকে।

আপনি যদি বিভিন্ন ধরনের ডাল সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন তাহলে নিশ্চয়ই অধিক লাভবান হতে পারবেন।

কৃষি জাত পণ্য সংরক্ষণের পাশাপাশি অনেক শিল্প জাত পণ্য রয়েছে যা স্ট্রোক করে প্রচুর পরিমাণে লাভবান হওয়া যায়। এ সকল পণ্য সম্পর্কে কিছু ধারনা প্রদান করা হচ্ছে আপনার মনোযোগের সাথে আর্টিকেলটি পড়ুন।

ইট মজুদ করুন

স্টক ব্যবসার অন্যতম একটি ব্যবসা হচ্ছে ইটের ব্যবসা। ইট ভাটার মালিকরা তাদের ইট উৎপাদনের শুরুতে বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে থাকে তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট দামে ইটগুলো বিক্রয় করে দেয়।

পরবর্তীতে কিছুদিন পর ইটের দাম বেড়ে যায় এবং যারা বিনিয়োগ করে তারা অধিক পরিমাণে লাভবান হয়ে থাকে। এটা যারা বিনিয়োগ করে তারা প্রচুর পরিমাণে লাভবান হয়ে থাকে অর্থাৎ আপনি যদি স্টক ব্যবসায়ী আগ্রহী হন তাহলে এই সুযোগ হাতছাড়া করা একদম ঠিক হবে না।

তবে আপনি যদি এটার ব্যবসায় আগ্রহী হন তাহলে এটি ভাটা মালিকদের সাথে একটি স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র করে নেবেন কারণ অনেক ভাটা ব্যবসায়ী রয়েছে যারা বিভিন্ন বিনিয়োগকারীদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে তালবাহানা করতে থাকে।

ইটের চাহিদা রয়েছে সারা বছর এবং সারাদেশব্যাপী। ইট শীত মৌসুমে উৎপাদন করা হয়ে থাকে আর সারা বছর বিক্রয় হয়ে থাকে। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন কাজের জন্য ইটের চাহিদা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।

আপনি দীর্ঘদিন পর্যন্ত ইট সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন তাতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।

চিনি ও গুড় মজুদ করুন

চিনি ও গুড় সারা দেশব্যাপী প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। চিনি ও গুড় ছাড়া বাংলাদেশের কোন পরিবার যেন চলতেই পারবেনা। চিনি ও ঘোরের প্রধান উপাদান হচ্ছে আখ।

আকব বছরে শুধুমাত্র একবার উৎপাদন করা হয় আর এর মাধ্যমে যে সকল চিনি ও গুড় তৈরি হয় তা সারা বছরব্যাপী সারাদেশে পর্যাপ্ত পরিমাণে চাহিদা পূরণ করা হয়।

চিনিকল গুলো আখ উৎপাদনের সময় চিনির মূল্য কম নির্ধারণ করে থাকে কিন্তু পরবর্তীতে যখন আখ পাওয়া না যায় তখন চীনির দাম বৃদ্ধি করে থাকে।

তাই আপনি যদি চিনি ও গুড় স্টক করে রাখতে পারেন তাহলে অবশ্যই অধিক পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য মজুদ করুন

দেশের প্রত্যেকটি পরিবারে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে আর ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা সারা বছরব্যাপী অব্যাহত থাকে। ইলেকট্রনিক্স পণ্যের অন্যতম হচ্ছে সিলিং ফ্যান, রাইস কুকার, প্রেসার কুকার, ব্লেন্ডার, আয়রন, ইলেকট্রিক চুলা, গ্যাসের চুলা, গ্যাস সিলিন্ডার ইত্যাদি।

ইলেকট্রনিক্স পণ্যগুলো সারা বছরব্যাপী দামের ওঠা নামা করে থাকে। যেমন শীতের সময় সিলিং ফ্যানের দাম কম থাকে পরবর্তীতে যখন গরম দেখা দেয় তখন এর দাম অনেক বেড়ে যায়।

শুধু সিলিং ফ্যান নয় টেবিল ফ্যান, চার্জার ফ্যান, স্ট্যান্ড ফ্যান, খাঁচা ফ্যান, মোটর ফ্যান, গরমের সময় প্রচুর পরিমাণে চাহিদা সৃষ্টি হয়। আপনি যদি মজুদ করে রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরনের ফ্যান তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন।

এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিক্সদের সামগ্রীর ক্ষেত্রে দেখা যায় বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে মালামালের উপরে ছাড় দিয়ে থাকে তখন ক্রয় করে রাখলে কম রেটেই পাওয়া যায়। পরবর্তীতে অধিক দামে তাহা বিক্রি করা যায়।

বিশেষ করে যাহারা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন তারা নিশ্চয়ই বিষয়টি অবগত আছেন।

গ্যাস সিলিন্ডারের ক্ষেত্রে আমরা দেখে থাকি ১২ কেজি এলপি গ্যাস কখনো এক হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে আবার কখনো এটা ১৪০০ টাকা মূল্য নির্ধারিত হচ্ছে। সারা বছরব্যাপী দেশের মূল্য যে উঠানামা করে তা যদি আপনি বুদ্ধিমানের মত কম মূল্যের সময় ক্রয় করে রাখেন আর অধিক মূল্য সময় বিক্রি করেন তবুও আপনি প্রচুর পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন।

তবে এ সকল ব্যবসা গুলো যারা জড়িত রয়েছেন তাদের ক্ষেত্রে বেশি  সুবিধা পাবেন। তাই বন্ধুরা আপনারা যদি স্টক মালের ব্যবসা করতে চান তাহলে ইলেকট্রনিক্স কিছু পণ্য নির্ধারিত করে এই পণ্যগুলো মজুদ করে রাখতে পারলে আপনি অধিক লাভবান হতে পারবেন।

সিগারেট মজুদ করুন

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। ধূমপান ক্যান্সারের অন্যতম কারণ। ধূমপানের মাধ্যমে স্ট্রোক রোগ বেড়ে যায়। তারপরও আমাদের গ্রাম বাংলার মানুষেরা প্রচুর পরিমাণে সিগারেট খেয়ে থাকে।

আর সরকার প্রতি বছর বাজেটের সময় সিগারেটের দাম বাড়িয়ে দেয়। বিগত অনেকে বছরের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আপনি দেখতে পারবেন বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করে।

জুন মাসে বাজেট ঘোষণা করা হয় পরবর্তী বছরের জন্য যা পহেলা জুলাই থেকে পরবর্তী ত্রিশে জুন পর্যন্ত।

বাজেট ঘোষণার মাত্র এক বা দুই মাস আগে আপনি সিগারেট মজুদ করে রাখতে পারেন তাহলে দেখবেন বাজেটের সময় সিগারেটের দাম অনেক বেড়ে গেছে যা বাজেট ঘোষণার পর আপনি বিক্রি করলে প্রচুর পরিমাণে লাভবান হতে পারবেন।

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা স্টক মালের ব্যবসা করতে চান আপনার এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করে আপনার পছন্দমত কিছু পণ্য নির্বাচন করে সকল পণ্যগুলো আপনি মজুদ করে রাখতে পারেন।

তাহলে আপনি অধিক লাভবান হবেন এবং আপনার কম পরিশ্রমে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হবে।

স্টক মালের ব্যবসা নগর টাকা দিয়ে যেমন শুরু করা প্রয়োজন হয় তেমনি বিক্রির সময় নগদ টাকা দিয়ে বিক্রি করা যায়। তাই অন্যান্য ব্যবসার মতো কাস্টমারদের বাকি দিয়ে পেছনে পেছনে ঘোরাঘুরি করার প্রয়োজন হয় না।

একটি রাজকীয় ব্যবসা হল স্টক মালের ব্যবসা। এই ব্যবসায় বিনিয়োগ করে আপনি উন্নত জীবনযাপন করতে পারবেন এবং সমাজে বিত্তবান হিসেবে সম্মানের সাথে চলতে পারবেন।

আরও পড়ুন

  1. অনলাইনে ব্যবসা করার নিয়ম
  2. ১০ হাজার টাকায় ৫ টি ব্যবসার আইডিয়া
  3. বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ )

পরিশেষে

স্টক মালের ব্যবসা সম্পর্কে আপনাদের সাথে আমাদের এই আর্টিকেলটি শেয়ার করলাম। আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। স্টক মালের ব্যবসা করে আপনি উন্নত জীবন যাপন করুন এই কামনায় এখানেই শেষ করলাম। আল্লাহ হাফেজ।

ট্যাগঃ লাভজনক স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়া লাভজনক স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়া লাভজনক স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়া লাভজনক স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়া লাভজনক স্টক মালের ব্যবসার আইডিয়া

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *