ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩

ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩

ওমান সম্পর্কে জানুন

আপনারা যারা ওমান যেতে চান তাদের প্রথমে জানা উচিত ওমান দেশ সম্পর্কে। ওমান দেশের সরকারিভাবে পূর্ণ নাম রাখা হয়েছে ওমান সালতা নাত। ওমানে ইবাদী মুসলিম জাতিরা বসবাস করে থাকে।

আরব উপদ্বীপে অবস্থিত ওমান একটি স্বাধীন দেশ। ওমানের আয়তন ৩,০৯,৫০০ বর্গ কিলোমিটার। আমার দেশের শতকরা ৮০ভাগ এলাকা মরুভূমি, পার্বতীয় অঞ্চল শতকরা ১৫ ভাগ এবং উপকূলীয় সমভূমি শতকরা তিনভাগ।

জনসংখ্যা আনুমানিক ৪২,৯৮,৩২০(২০১৫) জন। রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী মাসকাট। ওমান দেশের সরকারি ভাষা আরবি। ওমানের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। ওমানের মুদ্রার নাম রিয়াল।

ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩
ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩

ভূমিকা

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা যারা বিদেশে যেতে ইচ্ছুক তারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? এবং ভিসার দাম কত? আজ আমাদের এই আর্টিকেল এ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়। ভিসার দাম কত ? এর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।

ওমান যাওয়ার জন্য যে সকল বিষয় জানার দরকার তা বিস্তারিত জানতে পারবেন আমাদের এই আর্টিকেলে। ওমান যেতে কত টাকা খরচ হবে এবং ভিসার দাম কত এই সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা লাভ করতে পারবেন।

আমাদের বাংলাদেশে হইতে প্রচুর পরিমাণে জনশক্তি ওমান দেশে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে জনশক্তি আমদানি করার জন্য ওমান সরকার সম্প্রতি আশ্বাস প্রদান করেছেন।

আপনি যদি ওমান যেতে আগ্রহী থাকেন তাহলে সর্বপ্রথম আপনাকে ওমানের ভিসা সম্পর্কে জানতে হবে। ওমানের ভিসার দাম কত? ওমান যেতে কত টাকা লাগে? যাওয়ার জন্য কি কি বিষয় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং আপনার কত বয়স? ওমান যেতে পারবেন কিনা? সকল বিষয় সম্পর্কে এখানে আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে এই সংক্রান্ত বিষয়গুলো সহজেই বুঝতে পারবেন।

ওমান ভিসার দাম ২০২৩

আমরা অনেকেই জানতে চাই যে ওমান ভিসা দাম ২০২৩ সালে কত নির্ধারণ করা হয়েছে। আসলে ওমান ভিসার দাম এটা ভিসার ক্যাটাগরি ওপর নির্ভর করে। বিভিন্ন ধরনের মানুষ আমাদের দেশ থেকে বিভিন্ন প্রকার কাজের জন্য ভিসা নিয়ে ওমানে যায়।

কেউ কাজ করতে যায়। কেউ টুরিস্ট ভিসা নিয়ে ভ্রমণের জন্য ওখানে যেয়ে থাকে। কেউ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ওমানে  যেয়ে থাকে। কেউ বিভিন্ন কোম্পানির আন্ডারে কাজ করার জন্য যে থাকে। তবে প্রত্যেক ক্ষেত্রে ভিসার মূল্য আলাদা আলাদা নির্ধারণ হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ওমানে যেতে চাই। বর্তমানে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মূল্য হচ্ছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। আর যারা কোম্পানির আন্ডারে জব করার জন্য যাবে তাদের প্রায় দেড় লাখ টাকা ভিসার মূল্য দিতে হবে।

কত টাকা লাগে ওমান যেতে

ওমান যেতে মোট কত টাকা লাগবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না কারণ এটি ভিসার ক্যাটাগরী ও ভিসার মেয়াদের উপরে ভিসার মূল্য নির্ধারিত হয়ে থাকে। যদি আপনি পাঁচ বছরের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে ওমানের যান তবে আপনার ভিসার মূল্য বাবদ প্রায় ৩ লাখ টাকা বের করতে হবে। আর যদি আপনি বেড়াতে যেতে চান অর্থাৎ টুরিস্ট ভিসা এখানে আপনার ওমান যেতে মাত্র ৫০ হাজার টাকা খরচ হবে।

স্টুডেন্ট ভিসা ভিসা নিয়ে কেউ ওমানে যেতে চাই তবে স্বল্প খরচে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করতে পারবে এখানে ভিসা পেতে খুব বেশি খোঁজার প্রয়োজন হয় না।

তবে বন্ধুরা একটা বিষয় সবসময় খেয়াল রাখবেন আপনি যে এজেন্সির মাধ্যমে ওমান যেতে চান তাদের সম্পর্কে ভালোভাবে খোঁজখবর নিয়ে দেখবেন আপনি যেন প্রতারিত না হন।

কোন কাজের চাহিদা ওমানে বেশি

ওমানে বর্তমানে কনস্টট্রাকশন কম্পানি গুলোতে শ্রমিকের চাহিদা সবচাইতে বেশি। এছাড়াও হোটেলের শ্রমিক, ড্রাইভিং এর প্রচুর সংখ্যক লোক নেওয়ার চাহিদা রয়েছে।

আরও জানুন

বয়স

ওমান যেতে শ্রমিকদের কমপক্ষে ১৮ বছর পূর্ণ হতে হবে। ওমান দেশের শ্রমিক আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে কোন ব্যক্তি কাজে যোগদান করতে পারবেনা। তবে প্রবাসীদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০ এবং সর্বোচ্চ ৪৫ বছর বয়স নির্ধারণ করেছে তাদের শ্রমিক আইন অনুযায়ী।

কারণ ১৮ বছরের নিচে এবং ৪৫ বছরের অধিক বয়স হলে সে সকল ব্যক্তি ভারি কাজ এবং শক্তিশালী কাজগুলো করতে পারবে না।

প্রয়োজনীয় পেপার সমূহ

ওমান দেশে যাওয়ার জন্য আপনার একটি পাসপোর্ট করতে হবে এবং পাসপোর্ট এর প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোর সাথে আপনার পিতা-মাতার জাতীয় আইডি কার্ডের সাথে মিল রাখতে হবে।

আপনি যে কাজের জন্য যাবেন সে কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে অভিজ্ঞতা সনদ প্রদান করতে হবে। করুনা টিকার সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। আপনার শারীরিক ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে। আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের কপি জমা দিতে হবে এবং পাসপোর্ট সাইজের ৬ কপি ছবি জমা দিতে হবে।

এছাড়াও ওমান দূতাবাস থেকে আপনার কোন প্রয়োজনীয় পেপার চাইলে তা জমা দিতে হবে।

ওমানে বেতন ভাতা

ওমানে কাজের জন্য বেতন ভাতা বিভিন্ন রকমের প্রদান করা হয় ইহা মূলত কাজের উপর নির্ভর করে। যারা নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে ওমানে যায় তাদের মাসিক বেতন ৩৫-৪০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।

যারা ড্রাইভিং পেশায় নিয়োজিত রয়েছে তাদের বেতন ৪৫-৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে।

যারা হোটেল শ্রমিক হিসেবে ওমানে যেতে চান আপনাদের বেতন ৩০-৩৫ হাজার টাকা হতে পারে।

পরিশেষে

আমাদের আর্টিকেলটি পরে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন ওমান যাওয়ার আইডিয়া। তবে আপনি ওমান যেতে চাইলে অবশ্যই আপনার ভিসা বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে যাচাই বাছাই করে তারপর যাবেন।

কারণ বর্তমানে অনেক এজেন্সিতে দালাল চক্রের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন দেশে গিয়ে সর্বশ্রান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে চলে আসছে। যদি কারো আত্মীয়-স্বজন ওমানে থাকে তাদের মাধ্যমে যেতে পারেন এটা হবে আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো।

আপনারা ওমানে গিয়ে ভালো কাজে নিয়োজিত হন এবং নিজেরা স্বাবলম্বী হন এই আশা ব্যক্ত করে এখানে শেষ করছি।

আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে এটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং কোন কিছু জানতে চাইলে আমাদের কমেন্ট বক্সে লিখে জানান। সকলেই ভাল থাকেন। আল্লাহ হাফেজ।

ট্যাগঃ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩ ওমান যেতে কত টাকা খরচ হয়? ভিসার দাম ২০২৩

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *