ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে?

ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে?

ইন্টারনেটের ইতিহাস

ইন্টারনেট আবিষ্কার করাটা ছিল একটি কাল্পনিক বিষয়। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা বিশ্বের সমস্ত কম্পিউটার ডিভাইস কে যুক্ত করাটা ছিল এক অবিশ্বাস্য ভাবনা। আর এটিকে বাস্তবায়ন করার জন্য কোন ব্যক্তির একার একার পক্ষে সম্ভব নয়, ইন্টারনেট আবিষ্কার করার জন্য অনেক ইঞ্জিনিয়ার, বিজ্ঞানী এবং প্রোগ্রামাররা চেষ্টা-সাধনা করে যাচ্ছে, এই অবস্থায় সর্বপ্রথম ১৯৬৯ সালে আমেরিকার একটি কোম্পানি আর্পানেট স্থাপন করেছে যার কাজ হচ্ছে একটি কম্পিউটারকে অন্য কম্পিউটারে যুক্ত করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।

এরপর ১৯০০ সালে এই টেকনোলজির নাম দেয়া হয় ’ইন্টারনেট’ যা ১৯৮৩ সালের সর্বপ্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ”নেটওয়ার্ক নেটওয়ার্ক” নামে যদিও পরবর্তীতে এর নাম ইন্টারনেট দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে কম্পিউটার সাইন্টিস্ট Tim Berners-Lee এর গবেষণার ফসল world-wide-web (www) আবিষ্কারের ফলে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট ব্যবহার হয়েছে অত্যন্ত সহজ ও পূর্ণাঙ্গ অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহার করার একটি প্লাটফ্রম তৈরি হয়েছে।

ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে?
ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে?

ইন্টারনেট কি?

সারা বিশ্বের সমস্ত কম্পিউটার ডিভাইস সমূহ তথ্য শেয়ারের জন্য এবং এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে যুক্ত হওয়া বা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইস এর সাথে যুক্ত হওয়ার জন্য যে নেট ব্যবহার করা হয় তাকেই ইন্টারনেট বলা হয়। বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে সারা বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে বা এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যোগাযোগ স্থাপনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অনন্য ভূমিকা পালন করছে।

আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি ইন্টারনেট কি এবং কিভাবে ইন্টারনেট কাজ করে থাকে। আপনারা যদি ইন্টারনেট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভালভাবে পড়ুন, আশা করি এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভালো হবে পড়লে আপনি ইন্টারনেট সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পেয়ে যাবেন।

মূলত ইন্টারনেট হলো এমন একটি বিষয় যা বিশ্বব্যাপী সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে সকলের নিকট প্রয়োজনীয় এবং গ্রহণযোগ্য উপাদান। ইন্টারনেট ছাড়া এখন আর কোন কিছু উন্নয়নের বিকল্প নেই, আমরা যদি ব্যক্তিগত সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় উন্নয়ন করতে চাই তাহলে ইন্টারনেটের ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে।

আমাদের লেখা এই আর্টিকেলটি আপনি এখন যে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পড়ছেন তা অবশ্যই ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। ইন্টারনেট বিশ্বের প্রায় সকল কাজেই এখন ব্যবহার হচ্ছে, কৃষি, শিল্প সেবা এবং সকল ধরনের কর্মকাণ্ডে এখন ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে।

বর্তমান বিশ্বে ইন্টারনেটের ব্যবহার নেই এমন জায়গা এখন আর খুঁজে পাওয়া যাবে না, মানুষের ব্যক্তি জীবন, সামাজিক জীবন এবং কর্মক্ষেত্র, রাষ্ট্রীয় কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার সারাক্ষণ হচ্ছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ এক মোবাইল থেকে অন্য মোবাইল ফোনে এবং এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনে বিরল ভূমিকা স্থাপন করেছে।

মানুষের প্রয়োজনে এবং অপ্রয়োজনে ইন্টারনেটের ব্যবহার এত বৃদ্ধি পেয়েছে যে, অন্যান্য কাজ কম করলেও ইন্টারনেটের ব্যবহার যেন কোনো কমতি নেই। ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি যোগাযোগের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট অতুলনীয় ভূমিকা পালন করছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষ দেশ থেকে দেশান্তরে যোগাযোগ স্থাপন করতে পেরেছে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে এক অনন্য নজির স্থাপিত হয়েছে, পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে এখন শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষের কাজ অনেকটাই সহজ এবং সময় অপচয় রোধ করেছে।

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে পৃথিবীর এক অঞ্চলের সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, চিন্তা চেতনা অন্য অঞ্চলে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পৌঁছে দিচ্ছে ফলে সারা বিশ্বের মানুষ সমানভাবে সফলতা ভোগ করছে।

আরও জানুন

ইন্টারনেটঃ

বর্তমান আধুনিক বিশ্বের টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো ইন্টারনেট, টেলিফোন লাইন, স্যাটেলাইট এবং বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে www(world-wide-web) এর সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা হয়ে থাকে।

Hypertext link(হাইপারটেক্সট লিংক) এর মাধ্যমে ইন্টারনেটে অবস্থান করা বিভিন্ন ডকুমেন্ট, ফাইল এক কম্পিউটারের সাথে অন্য কম্পিউটারে সংযুক্ত করা, ইন্টারনেটে তথ্য গ্রহণের পদ্ধতি হলো  www(world-wide-web)।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা তাদের প্রয়োজনীয় সকল ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন তথ্য বা ডকুমেন্ট থেকে অন্য তথ্য বা ডকুমেন্টের দিকে এগিয়ে যেতে পারেন Hypertext link ব্যবহারের মাধ্যমে।

বর্তমানে আধুনিক যুগে সকল ধরনের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন, স্মার্ট টিভি এবং অন্যান্য ডিভাইস ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত হতে পারে এবং এর ব্যবহারকারীরা উপকৃত হয়ে থাকে।

সহজভাবে ইন্টারনেটঃ

ইন্টারনেট হলো এমন একটি নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে পৃথিবীর সকল কম্পিউটার বা কম্পিউটারের সমমান ডিভাইস গুলো একটি আরেকটির সাথে সংযুক্ত হতে পারে এবং তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং বেস্ট নেটওয়ার্ক হল ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক। গ্লোবাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইন্টারনেট পৃথিবীর যেকোন প্রান্তে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নেটওয়ার্ক স্থাপন করে, কম্পিউটারে থাকা প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো অন্য কম্পিউটার/ ডিভাইসে আদান-প্রদান করতে পারে।

গ্লোবাল নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়ে বিশ্বের একটি ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইস অর্থাৎ একটি কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন থেকে, অন্য কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে তথ্য গ্রহণ এবং প্রদান করার অন্যতম উপায় হলো ইন্টারনেট।

ইন্টারনেট যেভাবে কাজ করে

আমাদের মনে একটি প্রশ্ন সবসময় কাজ করে যে, ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা কিভাবে যুক্ত হয় এবং ইন্টারনেট কিভাবে আমাদের কাজ গুলো সহজ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা যায়?

গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর সাথে জড়িত থাকা বিভিন্ন কম্পিউটার ডিভাইস গুলো এবং সার্ভারের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন ডাটা, ইনফরমেশন সংগ্রহ করে, তারপর এই ডাটা বা ইনফরমেশন গুলো নেটওয়ার্কের আওতায় যুক্ত কম্পিউটারগুলোকে প্রদান করে থাকে।

ইন্টারনেট সচল রাখতে গেলে আমাদের তিনটি বিষয় বা উপাদান এর সাথে যুক্ত থাকতে হবে। যেমনঃ

  • ১। একটি ডিভাইস যেমন- কম্পিউটার/ ল্যাপটপ/ মোবাইল ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
  • ২।একটি ওয়েব ব্রাউজার চালু রাখতে হবে এবং
  • ৩।ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে হবে।

১। ডিভাইস

ইন্টারনেটে কাজ করতে গেলে প্রথমে আপনার একটি ডিভাইসের প্রয়োজন রয়েছে, এই ডিভাইস টি ব্যবহার করে আপনার ইন্টারনেটে যুক্ত হতে হবে এবং আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন, ডিভাইসগুলো হল- কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, স্মার্টফোন, স্মার্ট টিভি ইত্যাদি এগুলোর সাথে প্রথমে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করে ইন্টারনেট সুবিধা গ্রহণ করা যাবে।

২। ওয়েব ব্রাউজার

ওয়েব ব্রাউজার ছাড়া ইন্টারনেট সচল হবে না বা ইন্টারনেটের কাজগুলো সম্পন্ন করা যাবেনা, ইন্টারনেট চালাতে হলে অবশ্যই আপনার একটি সফটওয়্যার/ অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হবে যা হচ্ছে ওয়েব ব্রাউজার। এটি আপনার ডিভাইসের সাথে যুক্ত করতে হবে, তারপর আপনার গ্লোবাল নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদানের কাজগুলো করতে পারবেন।

আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে সকল কাজ গুলো করবো, প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই সফটওয়্যার বা অ্যাপস ব্যবহার করতে হবে যার মাধ্যমে আমরা ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে পারব, যেমন- অনলাইনে অডিও কল, ভিডিও কল, মেসেজ, চ্যাটিং, ভিডিও বা ফটো শেয়ারিং ইত্যাদি।

৩। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার(ISP)

আমাদের কম্পিউটার ডিভাইস গুলি ইন্টারনেটে যুক্ত হওয়ার জন্য গ্লোবাল নেটওয়ার্কের সাথে কানেক্ট করার মাধ্যম হলো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার। ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার এর মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন কোম্পানিগুলো কম্পিউটার ডিভাইস কানেক্ট হয়ে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে যাচ্ছে।

এজন্য আমাদের ইন্টারনেট সেবা প্রথমে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার থেকে ক্রয় করি তারপর তার বা বেতার এর সাহায্যে যেকোনো কম্পিউটারে যুক্ত করে নেওয়া যায়।

ইন্টারনেটের ব্যবহার

ইন্টারনেটের ব্যবহার এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং ইন্টারনেট ছাড়া প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই এখন আর চলবে না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে, এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে বিভিন্ন ধরনের তথ্য আদান-প্রদান করা যাচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় যেকোনো বিষয় নিমিষেই অন্যের সাথে শেয়ার করা যাচ্ছে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে মানুষের জিবন অনেকটাই সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে, অল্প সময়ের মধ্যেই মানুষ অনেক দূর দূরান্তে তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান, লাইভ, ভিডিও কল, টিভি দেখা এবং প্রয়োজনীয় ডাটা, ইনফর্মেশন আদান-প্রদান করতে পারছে।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন ধরনের ফাইল, ভিডিও গান, ছবি, সফটওয়্যার ডাউনলোড করে নিজেদের ডিভাইসে ব্যবহার করতে পারি। অর্থাৎ আমাদের প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডাউনলোড করে সংগ্রহ করতে পারি  ঘরে বসে সহজেই।

অতি প্রয়োজনীয় মুহূর্তে আমরা ইন্টারনেট যে সকল ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকি তা সংক্ষিপ্তভাবে নিম্নে আলোচনা করা হল-

শিক্ষাক্ষেত্রে

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার অতুলনীয়, শিক্ষাক্ষেত্রে এখন ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ভর্তি, অনলাইন ক্লাস, রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলাপ, পরীক্ষা দেওয়া, রেজাল্ট সংগ্রহ সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা যাচ্ছে।,

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেট এখন একটি প্রয়োজনীয় উপকরণ হিসেবে শিক্ষার্থীদের কাছে ব্যবহৃত হচ্ছে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে শিক্ষা ক্ষেত্রে এখন শিক্ষাগ্রহণ অনেকটাই সহজ সাধ্য হয়েছে, সকল ধরনের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেট ছাড়া যেন এখন শিক্ষাক্ষেত্র মনে হয় যেন চলবে না এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।

অনলাইন কেনাকাটা

অনলাইনে কেনাকাটা এখন আধুনিক বিশ্বে চাহিদাসম্পন্ন একটি পদ্ধতি, এখন ঘরে বসেই মানুষ অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারতেছে এবং ঘরে বসেই পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে পারতেছে।

অনলাইনের মাধ্যমে এখন সকল প্রকার, সকল ধরনের পণ্য পছন্দ অনুযায়ী অল্প সময়ের মধ্যেই ঘরে বসে পণ্য হাতে পাওয়ার পর মূল্য পরিশোধ করা যাচ্ছে, কাজেই অনলাইনে কেনাকাটা হচ্ছে ঝামেলামুক্ত সহজ এবং নিরাপদ পদ্ধতি।

যোগাযোগ

যোগাযোগ করার একটি সহজ মাধ্যম হচ্ছে ইন্টারনেট। ইন্টারনেট এর মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে এবং দেশ থেকে অন্য দেশে যে কোন জায়গায় যে কোন মুহূর্তে আপনার পরিবার-পরিজন প্রিয় ব্যক্তিদের সাথে মুহূর্তের মধ্যেই যোগাযোগ করতে পারবেন।

কথা বলতে অডিও কল, ভিডিও কল, মেসেজ টান্সফার, চ্যাটিং, ই-মেইল, ভয়েস কল, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যোগাযোগ এখন ইন্টারনেটের ব্যবহার এর বিকল্প নেই।

অর্থ লেনদেন

অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা অপরিসীম। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে খুব সহজেই অর্থনৈতিক লেনদেন করা যায় দেশ থেকে দেশান্তরে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল ধরনের ব্যাংকের লেনদেন হয়ে থাকে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন ব্যাংকিং কার্যক্রম এখন দেশব্যাপী সর্বাত্মক ভাবে চালু রয়েছে যা অর্থ লেনদেনের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন।

যে সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ব্যাংক-বীমা, এনজিও এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন ইন্টারনেট ভিত্তিক লেনদেন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে যা গ্রাহক পর্যায়ে কোনরকম ভোগান্তি ছাড়াই তারা তাদের সমস্ত লেনদেনগুলো অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম পরিচালিত করতে পারছে।

অনলাইন ইনকাম

এখন ঘরে বসেই ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে অনলাইন আয়ের সুযোগ রয়েছে, অনলাইনে আয়ের বিভিন্ন সাইট রয়েছে, যেমন- ব্লগিং, ফ্রিল্যান্সিং-আউটসোর্সিং, ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদি, এসকল সাইট গুলোর মাধ্যমে ঘরে বসেই এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম করা যায়।

অনলাইনে আয় করার বিভিন্ন পদ্ধতি এবং সুযোগ রয়েছে যা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করলেই বিস্তারিত জানতে পারবেন, আমাদের ওয়েবসাইটটি হল www.asolpoth.com.

বিনোদন

বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের কোন বিকল্প নেই, ইন্টারনেটের মাধ্যমে সকল প্রকারের বিনোদন উপভোগ করা যায়, যেমন- গান শোনা, নাটক দেখা, সিনেমা দেখা, খবর শোনা ইত্যাদি।

YouTube এর মাধ্যমে নানা ধরনের বিনোদন খুঁজে পাবেন যখন, যে ধরনের বিনোদন ইচ্ছা সে ধরনের বিনোদন সম্পর্কে সার্চ করলেই আপনার স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে দেখতে পারবেন।

ইন্টারনেটের মাধ্যমে গেম খেলে আপনারা প্রচুর পরিমাণে বিনোদন লাভ করতে পারবেন, যাদের গেম খেলার অভ্যাস রয়েছে তারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের গেম খেলে তাদের মনোরঞ্জন/এন্টারটেইনমেন্ট গ্রহণ করে থাকে।

এছাড়াও ইন্টারনেটের মাধ্যমে টিভি দেখা, মুভি দেখা, স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া, ধর্মীয় জ্ঞান লাভ করা, দেশ-বিদেশ সম্পর্কে অবগত হওয়া,  দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক খবরাখবর জানা যায় প্রভৃতি।

তথ্য খোঁজা

যখনই আপনার কোন তথ্যের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেন তখনই আপনার ডিভাইসে ইন্টারনেট ব্যবহারে গুগলে সার্চ করলেই সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। আমরা অনেক সময় কিছু তথ্য খোঁজার জন্য বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করি এবং তথ্য সংগ্রহের জন্য ব্যস্ত হয়ে যাই।

কিন্তু আপনি ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে গুগোল থেকে খুব সহজেই আপনার কাংখিত তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে পারবেন, দেশে-বিদেশের বিভিন্ন বিষয়ে জানা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাসংক্রান্ত, চাকরী সংক্রান্ত এবং বিনোদন সহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন একমুহূর্তেই।

পরিশেষে

পরিশেষে আমি একথা বলতে চাই, মানুষ এখন ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় জীবন পর্যন্ত সকল পর্যায়ে, সকল বিষয়, সকল জায়গায় ইন্টারনেটের ব্যবহার দ্রুত গতিতে ছড়িয়েছে এবং বাস্তবায়িত হচ্ছে। বর্তমানে এমন কোন সেক্টর পাওয়া যাবে না যেখানে ইন্টারনেটের ব্যবহার দেখা যায় না। দেশে বিদেশে, ব্যবসা বাণিজ্য, শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা, কৃষি, শিল্প, সেবা, চিকিৎসা, যোগাযোগ, উন্নয়ন সকল পর্যায়ে ইন্টারনেটের ব্যবহার এখন ঊর্ধ্বগতি।

ইন্টারনেট যুবসমাজকে আত্মপ্রত্যয়ী, আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশের সর্বোচ্চ কল্যাণ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে যাচ্ছে। শিশুদের বিকাশ এবং বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার হচ্ছে।

এছাড়াও আমাদের ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি কিভাবে অনলাইন থেকে আয় করবেন এবং শিক্ষা ও ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পেতে ভিজিট করুন আসল পথ ডট কম। সকলেই ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন এই কামনায় এখানেই শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

ট্যাগঃ

ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে? ইন্টারনেট কি? কিভাবে কাজ করে?

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *