বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা [ 22টি আইডিয়া 2022 ]

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ )

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ )

দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত প্রায় ১৮ কোটি জনগোষ্ঠীর বসবাস নিয়ে আমাদের এই বাংলাদেশ । বর্তমানে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.২৫ শতাংশ এবং মাথাপিছু আয় ২৮২৪ মার্কিন ডলার। বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ প্রায় ৬ কোটি লোক রয়েছে যারা কর্মক্ষম। এর  অর্ধেক অর্থাৎপ্রায় তিন কোটি লোক বেকার ও অর্ধ বেকার অবস্থায় জীবনযাপন করছে।

শিক্ষিত,  অর্ধশিক্ষিত ও অশিক্ষিত  বিশাল এই বেকার জনগোষ্ঠী হতাশায় ভুগছে কিভাবে একটি আয়ের পথ খুঁজে নেওয়া যায়। আপনারা যারা বেকারত্ব অবস্থায় জীবনযাপন করছেন আপনার মেধা, শ্রম এবং সামান্য মূলধন খাটিয়ে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে ভালো একটি আয়ের পথ খুঁজে নিতে পারেন।

আর যাহারা ব্যবসা করতে চান আপনারা অনেকেই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন। কোন ধরনের ব্যবসা, কি ব্যবসা, কিভাবে করবেন ? আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলব- আপনার সাধ্য অনুযায়ী এবং পছন্দ অনুযায়ী আপনার ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন ।

এজন্য আমি ২০২৩ সালে ২৩ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ধারণা প্রদান করলাম। আশা করি , আপনার পছন্দের যে কোন একটা ব্যবসার আইডিয়া এখান থেকে নিতে পারবেন।

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ )
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ )

বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

ব্যবসার ধরন অনুযায়ী ২০২৩ সালে ২৩ টি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়াকে ৩ শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। যথাঃ

ক। ঘরে বসে ব্যবসা

খ। দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা

গ। কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা

ক। ঘরে বসে ব্যবসাঃ

যাহারা ঘরে বসেই আয় করতে চান, তাদের জন্য চমৎকার কিছু ব্যবসার কথা বলব। আপনারা অল্প পুঁজি, মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায় সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

আপনারা ঘরে বসেই শুধুমাত্র আপনাদের ব্যবসাটি সুন্দরভাবে পরিচালনার মাধ্যমে মাসে ২০,০০০-৫০,০০০ টাকা আয় করতে পারেন। আসুন জেনে নিই, ঘরে বসেই কি কি ব্যবসা থেকে আয় করা যায়।

১। টিউটর ব্যবসা

যাহারা শিক্ষিত বেকার আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনি যে বিষয়ে পারদর্শী যেমনঃ ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, আইসিটি ইত্যাদি। আপনার এই বিষয়টি পড়ানোর জন্য একটি বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। বিজ্ঞাপন দেখে ছাত্র-ছাত্রীরা আপনার বিষয়টি পড়ার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করবে।

আপনি নিজ বাড়িতেই একটি রুমে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বসার ব্যবস্থা করবেন। হোয়াইট বোর্ড, মার্কার পেন, কিছু উপকরণ বাবদ আপনার সামান্য বিনিয়োগ হবে। শুধুমাত্র আপনার মেধাকে কাজে লাগিয়ে  সকালে ও বিকালে ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে পারেন। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়িয়ে প্রাইভেট টিউটর দিয়েই আপনি মাসে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

২। কোচিং ব্যবসা

আমাদের দেশে কোচিং ব্যবসা অত্যন্ত লাভজনক। প্রাইভেট টিউটর অত্যন্ত ব্যয়বহুল হওয়ায়, মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা ছাত্রছাত্রীদের পড়াতে হিমশিম খেতে হয়। তাই একটি মানসম্মত কোচিং সেন্টারে সাশ্রয়ী খরচে তাহারা পড়তে চান। কোচিং ব্যবসায় সফলতার হার অনেক বেশি। কোচিং সেন্টার পরিচালনা করে মাসে ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা আয় করা যায়।

কোচিং ব্যবসা শুরু করার আগে আপনাকে ভাবতে হবে-

  • ভালো শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে
  • ভালো পরিবেশের ক্লাসরুম
  • মানসম্মত পরীক্ষার ব্যবস্থা
  • ছাত্র-ছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন।

৩। ই-কমার্স ব্যবসা

বর্তমানে বিশ্বে ই-কমার্স একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক  প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের প্রায় সকল দেশে এখন কমার্স  অত্যন্ত জনপ্রিয় ক্রয়-বিক্রয়ের সহজ মাধ্যম। বর্তমানে বাংলাদেশেও একটি জনপ্রিয় ও লাভজনক ব্যবসা হলো ই-কমার্স। প্রথমে আপনি একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করবেন। প্রয়োজনে একজন ফ্রিল্যান্সারের সহযোগিতা নিতে পারেন।

আপনি যে পন্যটি বিক্রি করতে চান তা প্রথমে নির্বাচন করুন এবং এটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করুন । এস ই ও করুন এবং গুগল কিওয়ার্ড রেঙ্ক করুন। দেখবেন আপনি অসাধারণ ভাবে গ্রাহকদের মাঝে পণ্যটি বিক্রি করতে পারবেন। সঠিক উপায়ে কাজটি করতে পারলে, এই ব্যবসা থেকে অত্যন্ত লাভবান হবেন।

এই ব্যবসাটিকে আমরা অনলাইন ব্যবসা ভালো থাকি। অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে এখন প্রচুর পরিমাণে পণ্য বিক্রি হয়ে থাকে। অনলাইনের মাধ্যমে গ্রাহকরা ঘরে বসেই তাদের পণ্য ক্রয় করে থাকে। অনলাইন ব্যবসা করার নিয়ম সম্পর্কে আপনি আমাদের এই ওয়েবসাইটে বিস্তারিত ধারনা পাবেন।

৪। এফিলিয়েট মার্কেটিং গুড মর্নিং

এফিলিয়েট মার্কেটিং এখনো বিশ্বে সর্বোচ্চ লাভজনক ব্যবসা। বাংলাদেশে এখন এটি জনপ্রিয় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে । এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মাসে সর্বোচ্চ 10 হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। এফিলিয়েট মার্কেটিং হল এক ধরনের ব্লগ সাইট । কমিশন অর্জনের জন্য এই সাইটের মাধ্যমে পণ্যের প্রচার দেওয়া হয়।

বাংলাদেশে এফিলিয়েট মার্কেটিংএ সাধারণত অ্যামাজন, alibaba.com ও অন্যান্য ই-কমার্স সাইটের পন্যের প্রচার করে থাকে। কেউ যদি আপনার এফিলিয়েট লিংক থেকে কোনো পণ্য ক্রয় করে তাহলে, আপনি এই পণ্যের উপর কমিশন পাবেন।

বিস্তারিত জানুন অ্যামাজন (amazon) কি ? অ্যামাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয়

৫। কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সরকার বদ্ধপরিকর। সেই সাথে বাংলাদেশের শিক্ষিত যুব সমাজের কম্পিউটার শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য বিমোচনে শিক্ষিত যুব সমাজকে কম্পিউটার শিক্ষায় শিক্ষিত করতে পারলে, কম্পিউটারকে কেন্দ্র করে ভালো একটি পদ সৃষ্টি করতে পারবে।

কম্পিউটার শিক্ষা গ্রহণে ছাত্র-ছাত্রী ও যুব সমাজের আগ্রহ রয়েছে। তাই আপনি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এর মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ জন্য আপনাকে প্রথমে একটি ঘর নিতে হবে। কম্পিউটার সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি সংগ্রহ করতে হবে। বিজ্ঞাপন বা প্রচার করতে হবে।

তাহলে, দেখবেন আপনার কাছে কম্পিউটার শেখার জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রী যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। আপনি খুব সহজেই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের ৩ মাস ও ৬ মাস মেয়াদি সার্টিফিকেট প্রদান করতে পারবেন।

আরও পড়ুন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া

আপনার ট্রেনিং এ বিষয় রাখবেন-

  • এমএস ওয়ার্ড
  • এমএস এক্সেল
  • এমএস ফক্সপ্রো
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি
  • ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং
  • ভিডিও এডিটিং
  • ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।

৬। ব্লগিং

আপনি যদি কোন বিষয়ে পারদর্শী হন এবং লিখতে পছন্দ করেন তাহলে ব্লগিং সাইট শুরু করুন। গুগল এডসেন্স, অন্যান্য বিজ্ঞাপন চ্যানেলের মাধ্যমে এটি মনিটাইজ করতে পারেন। এখানে আপনার প্রয়োজন হবে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর। ব্লগিংয়ের ক্ষেত্রে ভিজিটরের উপর আয় নির্ভর করে।

প্রতি ক্লিকে খরচ(CPC) এবং কিওয়ার্ড রিসার্চ ভলিয়ম এর উপর উপার্জন নির্ভর করে। আপনার প্রিয় বিষয় ব্লগিংএ তুলে ধরুন এবং ব্লগ মনিটাইজ করে উপার্জন করুন।

বিস্তারিত জানুন বাংলা আর্টিকেল লিখে আয় করার সাইট

৭। অনলাইন নিউজপেপার

আপনার স্মার্ট ব্যবসায়িক ধারণা গুলোর মধ্যে অনলাইন সংবাদপত্র একটি অন্যতম ব্যবসা। আপনার অনলাইন নিউজে ভাইরাল খবর গুলো কভার করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় লিংক শেয়ার করে আপনার ওয়েবসাইট ডেভলপ করতে পারেন। আপনি নিম্ন প্রতিযোগিতামূলক কিওয়ার্ড টার্গেট করুন এবং দেখবেন ব্যাপক ট্রাফিক পাবেন।

আপনার উপার্জনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে। আপনার অনলাইন সংবাদপত্র কে বিভিন্নভাবে মনিটাইজ করতে পারেন । আরও পড়ুন কিভাবে শুরু করবেন অনলাইন ইনকাম

  • গুগোল অ্যাডসেন্সে যুক্ত হওয়া
  • এফিলিয়েট মার্কেটিং এ যুক্ত হওয়া
  • বিজ্ঞাপনে স্পনসর হওয়া
  • সেবা প্রদান
  • পণ্য বিক্রয় ইত্যাদি

৮। ইউটিউব চ্যানেল তৈরি

বাংলাদেশে ইউটিউব চ্যানেলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে । আপনি একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন । একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করা সম্ভব। আপনি যদি ইউটিউব চ্যানেলে ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে, আপনাকে অবশ্যই সঠিক বিষয় নির্বাচন করতে হবে।

আপনার নিয়মিত ভিডিও আপলোড করার করতে হবে। যখন আপনার ভিডিওতে ৪000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম হবে এবং ১000 সাবস্ক্রাইবার পাবেন, তখন আপনি আপনার চ্যানেলের অ্যাডসেন্স এ মনিটাইজ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।

বিস্তারিত জানুন

খ। দোকানের মাধ্যমে ব্যবসা

৯। ওষুধের দোকান

বাংলাদেশ অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং সৌখিন প্রকৃতির ব্যবসা হল ঔষধের ব্যবসা। বিশাল জনগোষ্ঠীর এদেশে প্রচুর পরিমাণে ওষুধের চাহিদা রয়েছে । আমাদের দেশের লোক জনেরা অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণ, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে বসবাস করে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য প্রচুর পরিমানের ওষুধের প্রয়োজন হয়।

আপনি আপনার পার্শ্ববর্তী বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে, কিছু পুঁজি খাটিয়ে ওষুধের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসায় সফলতার হার সবচেয়ে বেশি। লক্ষ্য করে দেখবেন, যারা ওষুধের সাথে জড়িত তারা কখনই এই ব্যবসাটা ছেড়ে যেতে চাই না।

এই ব্যবসাটি পরিচালনার জন্য আপনি ছয় মাস মেয়াদে পল্লী চিকিৎসক কোর্স করতে পারেন । তাহলে রোগীকে আপনি সঠিক চিকিৎসা দিতে পারবেন। আপনার রোগীর সংখ্যাও অনেক বেড়ে যাবে।

বিস্তারিত জানুন ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার উপায় ও কৌশল সমুহ

১০। কসমেটিকস দোকান

অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় কসমেটিকস ব্যবসা অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে । সাধারনত এই ব্যবসার গ্রাহক মহিলারাই বেশি। এ ব্যবসায় পণ্য বিক্রির ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ মুনাফা হয়।

আপনার নিকটস্থ বাজারে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে অল্প পুঁজি খাটিয়ে এই ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন। কসমেটিকস আইটেম ব্যবহারে মেয়েদের আগ্রহ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আপনি এই ব্যবসাটি পরিচালনা করে মাসে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা নির্দ্বিধায় আয় করতে পারবেন।

আরও জানুন গ্রামে ছোট ব্যবসার আইডিয়া

১১। ফ্যাশন হাউজ

বস্ত্র মানুষের মৌলিক চাহিদার একটি অন্যতম উপাদান। পোশাকের ব্যবহার আদি যুগে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত আছে। যতদিন মানুষের বসবাস পৃথিবীতে থাকবে ততদিন পর্যন্ত পোশাকের ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাবে। মানুষের চাই সুন্দর মনোরম পোশাক পরে বাহিরে বের হতে। তাই পোশাকের চাহিদা কখনোই শেষ হবেনা।

কাপড়ের ব্যবসা এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ব্যবসা কারণ ব্যবসায় প্রচুর পরিমাণে লাভবান হওয়া যায়। কাপড়ের ব্যবসার ক্ষেত্রে সব সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে নতুন নতুন ডিজাইনের কাপড় সব সময় কালেকশনে রাখতে হবে যাতে তারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী কাপড় আপনার দোকানে পেয়ে যায়।

ফ্যাশন হাউজ বা গার্মেন্টস আইটেম ব্যবসাটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যবসা। অত্যন্ত সম্মানের সাথে এই ব্যবসাটি করে মোটা অংকের টাকা আয় করতে পারেন। ফ্যাশন হাউসে পোশাকের আইটেম বিক্রি করে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফা হয়।

আপনার নিকটবর্তী বাজারে একটি ঘর নিয়ে ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা ইনভেস্ট করে প্রতিমাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এই ব্যবসায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন- ঈদ, পূজা ও বিভিন্ন উৎসবে। এছাড়াও শীত কালীন সময়ে শীত নিবারনের পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের যথেষ্ট আগ্রহ রয়েছে।

আরও পড়ুন গার্মেন্টস কাপড়ের ব্যবসা শুরু করার নিয়ম

১২। গিফট কর্নার

বর্তমানে গিফট কর্নার একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। সামাজিক অনুষ্ঠানে (যেমনঃ জন্মদিন, সুন্নতে খাতনা, বিয়ে, ইত্যাদি) মানুষ একে অন্যকে উপহার সামগ্রী দিয়ে থাকে। বন্ধুত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে একে অপরকে উপহার সামগ্রী প্রদান করে থাকে। মানুষ সামাজিক ভাবে বসবাস করতে হলে উপহার সামগ্রী দেওয়ার প্রচলন থাকবেই।

আপনার নিকটবর্তী বাজারে একটি রুম নিয়ে এক/ দেড় লাখ টাকা ইনভেস্ট করে গিফট কর্নার শুরু করতে পারেন । এ ব্যবসায় সফলতার হার বেশি। মোট বিক্রির ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফা হয়।

পড়ুন সেরা বিউটি ক্যামেরা | মোবাইলের বিউটি ক্যামেরা ডাউনলোড করুন

১৩। খেলনার দোকান

খেলনার চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । ছোট সোনামণিদের আবদার রাখার জন্য বাবা মা খেলনা ক্রয় করে থাকে। যতদিন পৃথিবী থাকবে শিশুদের আগমন ঘটবেই। কাজেই খেলনার চাহিদা কখনোই শেষ হবার নয়। নতুন নতুন খেলনার প্রতি শিশুদের আকর্ষণ অত্যন্ত বেশি । তাই এই ব্যবসাটি দ্রুত শুরু করতে পারেন।

আপনার নিকটবর্তী বাজারে একটি রুমে বিভিন্ন ধরনের খেলনা সামগ্রী নিয়ে দোকান দিতে পারেন। মোট বিক্রির ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফা হয় ।২/৩ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে এই ব্যবসা থেকে প্রতিমাসে ২০/৩০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।

১৪। ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা

গ্রামে- শহরে সকল অঞ্চলেই ইলেকট্রনিক্স পণ্যের প্রতি যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। নিত্য পণ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ইলেকট্রনিক্স পণ্য। গ্রামে- শহরের প্রতিটি বাড়িতেই ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইলেকট্রনিক্স পণ্য গুলো হল-

  • রাইস কুকার , প্রেসার কুকার, মাইক্রোওভেন,
  • ইলেকট্রিক কেটলি, আয়রন, টিভি, এলইডি টিভি,
  • ফ্রিজ- রেফ্রিজারেটর, গ্যাসের চুলা, ইলেকট্রিক চুলা,
  • ব্লেন্ডার, হটপট সহ  নানা রকমের পণ্য।

আপনার নিকটস্থ বাজারে একটি রুম নিয়ে ইলেকট্রনিক্স ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এ ব্যবসার সফলতার হার বেশি। এ ব্যবসায় ১৫/২০ শতাংশ  লাভ করা যায়।  এ ব্যবসায় আপনাকে ৪/৫ লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে হবে। এই ব্যবসা থেকে আপনি ৪০/ ৫০ হাজার টাকা মাসে আয় করতে পারবেন।

পড়ুন ইলেকট্রনিক্স ব্যবসার আইডিয়া অল্প পুঁজিতে

১৫। মুদি দোকান

মানুষের জীবন যাপনের ক্ষেত্রে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর কোন বিকল্প নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী গ্রাহকের কখনোই অভাব হয় না। যেমন- চাল, ডাল, তেল, বিস্কুট, চানাচুর, সাবান, ব্রাশ-টুথপেস্ট সহ শত ধরনের পণ্য রয়েছে যা আমরা প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে থাকি।

এ সকল পণ্যের গ্রাহক সংখ্যা অত্যন্ত বেশি। তাই আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন আপনার নিকটস্থ বাজারে।

এই ব্যবসার সফলতা হার অনেক বেশি। এই ব্যবসাটি অল্প পুঁজি দিয়ে শুরু করা যায়। আর এ ব্যবসা থেকে অধিক মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

জানুন লাভজনক পাইকারি ব্যবসার আইডিয়া ২০২৩

১৬। মোবাইল ও এর এক্সেসরিজ ব্যবসা

মোবাইল ফোন বাংলাদেশে জনগণের কাছে একটি অতি প্রয়োজনীয় উপাদান। মোবাইল ফোন এখন আর বিলাসিতা নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য হিসেবে আমরা ব্যবহার করে থাকি। মোবাইল বার ফোন এর পাশাপাশি স্মার্টফোনের ব্যবহারও অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির আন্তঃ যোগাযোগ করা যায়। পৃথিবীর যেকোনো জায়গায় বসবাস করুক না কেন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা সম্ভব।

স্মার্টফোনের নানাবিধ ব্যবহার মানুষের কাছে আরও প্রয়োজনীয় উপকরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পৃথিবী যতদিন থাকবে ব্যক্তির সাথে ব্যক্তির যোগাযোগ ততদিন থাকবে এবং মোবাইল ফোনের ব্যবহার আরোও বৃদ্ধি পাবে। স্মার্টফোনের নানা ধরনের উপকারিতা আমরা পেয়ে থাকি।

আপনার নিকটস্থ বাজারে একটি রুম নিয়ে মোবাইল ফোনের ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটা অত্যন্ত লাভজনক। এছাড়াও মোবাইল ফোন এর পাশাপাশি মোবাইল এক্সেসরিজ যেমনঃ ব্যাটারি, চার্জার, হেডফোন, গরিলা গ্লাস, ব্যাক পার্ট সহ প্রয়োজনীয় উপাদান গুলো রাখতে পারেন ।

এছাড়াও মোবাইল মেরামতের জন্য আপনার দোকানের একপাশে একজন মোবাইল টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিতে পারেন। মোবাইল মেরামত এর মাধ্যমেও প্রচুর টাকা আয় করা যায়।

আরো পড়ুন..

১৭। মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং

আপনার স্মার্ট ব্যবসায়ের ধারণা গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং। আমাদের দেশে মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং এর জনপ্রিয়তা অত্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংকে লেনদেন করতে গেলে দীর্ঘ লাইন, হয়রানি, নানাবিধ অসুবিধা হয় । তাই মানুষ এখন মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিং এর ব্যবহার বৃদ্ধি করেছে।

মোবাইল ব্যাংকিং ও এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দিবা-রাত্রি ২৪ ঘন্টা লেনদেন করা যায়। মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা লেনদেন করা যায়। মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং এর গ্রাহক সংখ্যা অত্যন্ত বেশি।

জানুন এজেন্ট ব্যাংকিং কি এজেন্ট ব্যাংকিং এর সুবিধা এবং অসুবিধা

তাই এই ব্যবসাটি আপনি আপনার নিকটস্থ বাজারে একটি রুম নিয়েই শুরু করতে পারেন। যে সকল মোবাইল ব্যাংকিং এর সাথে সম্পৃক্ত হবেন তা হল-

  • বিকাশ
  • রকেট
  • নগদ ইত্যাদি

এছাড়াও এজেন্ট ব্যাংকিং এর জন্য চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন, নিচের যে কোন একটি ব্যাংকের সাথে-

  •  ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড,
  • ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড
  • অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড,
  • ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড ইত্যাদি

আপনার পছন্দমত যেকোন একটি এজেন্ট ব্যাংকের শাখা উদ্বোধন করে ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে  সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রাহকদের প্রদান করে  পর্যাপ্ত পরিমানে আয় করতে পারবেন।

বিস্তারিত জানুন মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা ও অসুবিধা

গ। কৃষি ভিত্তিক ব্যবসা

১৮। মৎস্য চাষ

মাছে-ভাতে বাঙালি। বাঙ্গালীদের যেন মাছ ছাড়া ভাত হজমই হতে চায়না। মৎস্য চাষ বাংলাদেশের কৃষি খাতের একটি অন্যতম উপখাত। জিডিপিতে অবদান ৩.৫৯ শতাংশ। কৃষি খাতের মোটা আয়ের ২২ভাগ আসে মৎস্য থেকে। প্রাণীজ আমিষের ৬০ ভাগ আসে মৎস্য থেকে।

আমাদের দেশে মাছের চাহিদা অত্যন্ত বেশি হওয়ায় আপনি নির্দ্বিধায় মাছ চাষের পেশাটা বেছে নিতে পারেন। আপনার বাড়ির পুকুরে, আর পুকুর না থাকলে এলাকায় পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। মাছ চাষের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব।

পড়ুন কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার ও গুরুত্ব

যে সকল মাছের জাত নির্বাচন করবেন –

  • পাঙ্গাশ , কই
  • পাবদা, গুলশা
  • রুই, কাতল
  • সর পুঁটি, কার্প  ইত্যাদি।

মাছ চাষে যে সকল বিষয় অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে-

  • খোলামেলা পরিবেশ ও পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা
  • মাঝে মাঝে জাল টেনে মাছের ওজন মাপা
  • মাছের ওজন অনুযায়ী খাদ্য ও সরবরাহ করা
  • ভালো মানের খাদ্য সরবরাহ করা
  • রোগ নিরাময় ওষুধ সরবরাহ করা
  • মৎস্য অফিসে যোগাযোগ রাখা
  • পর্যাপ্ত বড় হলে বিক্রি করা।

১৯। ব্রয়লার ফার্ম

ব্রয়লার চাষ বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা। ব্রয়লার মুরগির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। আপনার বাড়িতে একটি ঘরে ব্রয়লারের বাচ্চা উঠিয়ে ব্রয়লার পালন করতে পারেন।

ব্রয়লার চাষে প্রশিক্ষণ নিতে পারলে ভালো হয়। অল্প পুঁজি দিয়েই এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

পড়ুন নগদ ইসলামিক একাউন্ট খোলার নিয়ম ও এর সুবিধা

তবে এজন্য আপনাকে যে সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-

  • সঠিক জায়গা নির্ধারণ
  • উন্নত জাতের ব্রয়লার বাচ্চা
  • ভালো মানের খাবার
  • সার্বক্ষণিক তদারকি
  • পরিষ্কার পরিছন্নতা
  • পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা
  • রোদ, বৃষ্টি ও শীত থেকে রক্ষা করা
  • ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা
  • ওজন অনুযায়ী খাদ্য সরবরাহ করা
  • স্থানীয় পশুসম্পদ অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখা
  • পর্যাপ্ত বড় হলে বিক্রির ব্যবস্থা করা।

২০। সবজি চাষ

আমাদের খাদ্য তালিকায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো সবজি। দেশব্যাপী সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে সবজি চাষ শুরু করতে পারেন। আপনার বাড়ির যেসকল জমি পতিত পড়ে আছে এসকল জমিগুলো সবজি চাষের আওতায় নিয়ে আসুন। আপনি স্বল্প পুঁজি দিয়ে সবজি চাষ শুরু করতে পারেন।

পড়ুন শীতকালীন সবজির পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

সবজি চাষের ক্ষেত্রে আপনার যে সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে-

  • সঠিক জায়গা নির্ধারণ করুন
  • ফসল নির্বাচন করুন
  • পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা
  • আগাছা পরিষ্কার করা
  • সেচ দেওয়া
  • জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ
  • বালাই নাশক ঔষধ ছিটানো
  • কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখা
  • ফসল উত্তোলন ও বিক্রি করা।

২১। ফল চাষ

মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় ফল এখন গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। মানুষ শিক্ষা ও সচেতনতার পাশাপাশি ফলকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছে। সারা দেশব্যাপী ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি আত্মবিশ্বাসের সাথে ফলের চাষ শুরু করুন।

যে সকল লাভজনক ফল নির্বাচন করবেন-

  • পেঁপে, পেয়ারা
  • মালটা, কলা
  • তরমুজ, আম
  • বারোমাসি লেবু ইত্যাদি।

আপনি যে সকল বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন-

  • সঠিক জায়গা নির্ধারণ করুন
  • উন্নত জাতের ফল নির্বাচন করুন
  • পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করা
  • আগাছা পরিষ্কার করা
  • সেচ দেওয়া
  • জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ
  • বালাই নাশক ঔষধ ছিটানো
  • কৃষি অফিসের সাথে যোগাযোগ রাখা
  • ফসল উত্তোলন ও বিক্রি করা।

আরও জানুন

পেঁপে চাষের সঠিক পদ্ধতি

পেয়ারা চাষের উন্নত পদ্ধতি

২২। পশুপালন

পশুপালন আমাদের দেশে একটি জনপ্রিয় পেশা। আমাদের দেশে গ্রামে বসবাস করে ৬৫/৭০শতাংশ মানুষ । যাদের অধিকাংশই পশুপালন এর সাথে জড়িত। সারাদেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও পশু রপ্তানি হয়ে থাকে। পশুপাখির মাধ্যমে আমরা অধিকাংশ আমিষ জাতীয় খাবার পেয়ে থাকি,যথাঃ-  ডিম, দুধ, মাংস ইত্যাদি। পশুর চামড়া দেশে ও বিদেশে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।

পশুপালন ব্যবসাটি অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায়, আপনি নির্দ্বিধায় শুরু করতে পারেন এবং অনেক লাভবান হবেন ।

যে সকল পশু পালনে ক্ষেত্রে নির্বাচন করবেন-

  • উন্নত জাতের ছাগল,
  • উন্নত জাতের ভেড়া,
  • উন্নত জাতের গরু,
  • মহিষ ইত্যাদি।

পশুপালনে যেসকল বিষয়গুলো খেয়াল করবেন-

  •  সঠিক জায়গা নির্ধারণ করুন
  • পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা করা
  • সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করা
  • পর্যাপ্ত খাদ্যের ব্যবস্থা করা
  • ভ্যাকসিন প্রদান
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
  • অসুস্থ হলে চিকিৎসা করা
  • উপজেলা পশু সম্পদঅফিসের সাথে যোগাযোগ রাখা
  • পর্যাপ্ত বড় হলে বিক্রি করা।

পরিশেষে একথা বলা যায় যে, আপনারা উপরের ২৩ টি বিষয় সম্পর্কে ব্যবসা সংক্রান্ত ধারণা পেয়েছেন। আপনার যে বিষয়টি সবচেয়ে ভালো লাগে আপনি সেই বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন তাহলে আপনি নিশ্চয়ই সফল হবেন। আমাদের আর্টিকেলটি ভাল লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন এবং আরও অনলাইন আয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন www.asolpoth.com  সকলে ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন। আল্লাহ হাফেজ।

ট্যাগঃ বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ ) বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ ) বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ ) বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ ) বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ ) বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ ) বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ ) বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ ) বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা ( ২৩টি আইডিয়া ২০২৩ )

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *