বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম

বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম

বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম

জামানত ছাড়াই বিকাশ থেকে আপনি যেভাবে লোন নিবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করতে চাচ্ছে আমাদের ওয়েবসাইট আসল পথ ডট কম এর মাধ্যমে, আপনি কি জরুরী মুহূর্তে লোন পেতে চান? তাহলে আমাদের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সম্পূর্ণ ভালভাবে পড়ুন আশা করি আপনি বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার সমস্ত নিয়মকানুন জেনে যাবেন।

আপনাদের যাদের বিকাশ একাউন্ট রয়েছে বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকেই সিটি ব্যাংকের অর্থ লোন হিসেবে নিতে পারবেন কোন প্রকার জামানত ছাড়াই। বিকাশ এবং সিটি ব্যাংক এর যৌথ ডিজিটাল ন্যানো লোন সেবাটি পাইলট প্রোগ্রাম শেষে চূড়ান্তভাবে চালু হয়েছে।

বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম

বিকাশ একাউন্ট আছে এমন ব্যক্তি বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে আবেদন করে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবে আর এই লোন পরিশোধ করতে হবে তিনটি সমান মাসিক কিস্তিতে।

মোবাইল ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রমে অর্থ লেনদেন মোবাইল রিচার্জ মার্চেন্ট পেমেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি বিল প্রদান প্রভৃতি ধরনের সুযোগ-সুবিধা রেখেছে এখন মোবাইলের লেনদেনের ক্ষেত্রে মোবাইল কার্যক্রমকে আরো একধাপ এগিয়ে নিতে বিকাশ ও সিটি ব্যাংক বিকাশ গ্রাহকদের মাঝে প্রদান করতে সম্মত হয়েছে এবং মোবাইলের আর্থিক কার্যক্রম সভা কে সম্পূর্ণরূপে পূর্ণাঙ্গ করেছে।

বিকাশের গ্রাহকগণ ঋণ গ্রহণ করার জন্য তাদের ব্যাংকে একাউন্ট থাকার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই এবং তাদের জমির দলিল বা কোন ধরনের জামানত দেবার প্রয়োজন নেই এমনকি বিকাশ থেকে লোন গ্রহণ করতে কোন ধরনের জামিনদার বা নমিনির প্রয়োজন হবে না কাজেই বিকাশের লোন গ্রহণ করাটা একটি ব্যবসায়িক খাতের উন্নয়নে যথেষ্ট সহায়তা করবে।

বিকাশ থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে যারা

বিকাশের পুরাতন গ্রাহক যারা তারা বিকাশ থেকে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে। ই কেওয়াইসি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে তাদের বিকাশ একাউন্ট চালু করেছে তারা এ ঋণের আওতায় থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী শুধুমাত্র যারা দীর্ঘদিন থেকে করছেন এবং ই-কেওয়াইসি সম্পন্ন করেছেন তাদেরকে প্রাথমিকভাবে ঋণ দেওয়ার জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

যারা শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন ই-কেওআইসি এর অন্তর্ভুক্ত হন নি তারা এই ঋণের সুবিধা আওতায় থাকবে না।

ঋণের পরিমাণ

বর্তমানে প্রাথমিক অবস্থায় বিকাশের মাধ্যমে লোনের পরিমাণ সর্বনিম্ন পাঁচশত টাকা এবং সর্বোচ্চ 20,000 টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, এখানে গ্রাহকের বিভিন্ন ক্যাটাগরির উপরে তার ঋণের পরিমাণ নির্ভর করবে। তবে এই ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

ঋণের কিস্তি ও মেয়াদ

বিকাশ থেকে লোন গ্রহণ করলে তিন মাসের সমান কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে অর্থাৎ আপনার ঋণ পরিশোধের মেয়াদ থাকবে তিন মাস। বিকাশ লোন লোনের আইন অনুযায়ী আপাতত তিন মাস মেয়াদি ঋণ প্রদান করছে তবে ভবিষ্যতে এই মেয়াদের পরিমাণ আরও বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ না করলে ব্যাংক আইন অনুযায়ী পরবর্তী এক বছরের জন্য দুই শতাংশ হারে সুদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে আর পরিশোধ না করলে আইন অনুযায়ী ঋণ গ্রহীতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

আরও জানুন

বিকাশ ঋণের সুদের হার এবং প্রসেসিং ফি

বিকাশ ডিজিটাল সুদের হার বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অনুসারে বাৎসরিক 9% নির্ধারণ করা হয়েছে, কোন গ্রাহক বিকাশ সিটি ব্যাংক ডিজিটাল গ্রহণ করলে তার উপরে 9 পার্সেন্ট হারে সুদ প্রদান করতে হবে ।

কোন গ্রাহক তার ঋণের টাকা মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই পরিশোধ করলে তার লাভের পরিমাণ কম প্রদান করতে হবে, বাৎসরিক 9% হিসাবে আসল টাকার ওপরে যে পরিমাণে লাভ আসবে তা প্রতিদিন লাভের অংশ ঋণের টাকার সাথে যুক্ত হবে।

আরে নারে টাকার ওপরে চক্রবৃদ্ধি হারে প্রতিদিন সুদ গণনা করা হবে আপনার ঋণের টাকা যতদিন ব্যবহার করবেন ঠিক ততদিন এর সৎ ধরা হবে আপনি যদি নির্ধারিত মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই ঋণ পরিশোধ করেন তাহলে আপনার ব্যবহারের দিন গুলোর উপরে শুধুমাত্র ঋণের সুদ প্রদান করতে হবে, বাড়তি ফি প্রদান করতে হবে না।

বিকাশে ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে কোন ধরনের প্রসেসিং ফি আপাতত নেওয়া হচ্ছে না। কোন ধরনের ফি প্রদান ছাড়াই বিকাশের গ্রাহকগণ বিকাশ থেকে ঋণ গ্রহণ করতে পারবে।

একনজরে বিকাশ লোন ফিচার

  • ঋণের পরিমাণ                                  500 টাকা থেকে 20000 টাকা
  • পরিশোধের মেয়াদ                            সর্বোচ্চ তিন মাস
  • মুনাফার হার                                     বাৎসরিক ৯%
  • মুনাফা গণনা                                    প্রতিদিন
  • ঋণ প্রসেসিং ফি                               প্রযোজ্য নয়

বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম

বিকাশ থেকে লোন পেতে হলে আপনার বিকাশ একাউন্ট অ্যাপস দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। প্রথমে আপনি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট লগইন করুন। এরপর বিকাশের পেজটি ওপেন হলে এখানে More অপশন টি ক্লিক করুন।

এরপর Bkas service নামে একটি পেইজ আসবে, এখানে Loan অপশন টি ক্লিক করুন, এরপর আপনার পেজে আপনার তথ্য আপডেট না থাকলে Update Information এ ক্লিক করুন, এরপর Terms & condition ক্লিক করুন এবং এরপর আপনার এনআইডি তথ্য এবং ফটো সাবমিট করুন।

এভাবে আপনার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাথে ধাপে ধাপে অপশন গুলো পূরণ করলেই আপনি কত টাকা ঋণ পাওয়ার যোগ্যতা দেখাবে আপনি যে পরিমাণের ঋণের টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন।

বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম

পরিশেষে

উপরের আলোচনা হতে বিকাশ লোন পাওয়ার বিষয়টি আপনারা আশা করি ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন, আর যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আরেকবার মনোযোগের সাথে পড়ে নিন নিশ্চয়ই আপনি বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার যোগ্য হলে অবশ্যই লোন গ্রহণ করতে পারবেন।

আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা সকল প্রকার পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল অনলাইনে ইনকাম করার বিভিন্ন কৌশল স্বাস্থ্য বিনোদন সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন তাই আমাদের ওয়েবসাইট আসল পথ ডট কম এর সাথেই থাকুন।

ট্যাগঃ

বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার নিয়ম

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *