সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

প্রিয় বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি, আপনারা সকলে ভালো আছেন। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ভিসা খরচ কত লাগে এবং কি কি ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুরে যাওয়া যায় এবং কিভাবে আবেদন করবেন?

সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩
সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি আপনারা কিভাবে খুব সহজে সিঙ্গাপুরে কাজের জন্য যেতে পারবেন। সিঙ্গাপুরে যেতে চাইলে আপনি কিভাবে ভিসা সংগ্রহ করবেন এবং তা পেতে গেলে খরচ কত টাকা লাগবে এ সকল বিষয়গুলো আমাদের এই ওয়েবসাইটে জানতে পারবেন।

আরও জানুন আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

আপনি যদি সিঙ্গাপুর যেতে চান তাহলে আপনার যাওয়ার সুবিধার জন্য এবং ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে সার্বিক সহযোগিতামূলক আলোচনা করা হলো। তাই আপনারা মনোযোগের সাথে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পন্ন ভালোভাবে পড়ে নিন।

আসুন জেনে নেই সিঙ্গাপুর সম্পর্কে

সিঙ্গাপুর দেশটি দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার একটি উপদ্বীপ রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত। ইহা মালই উপ-দ্বীপের কাছে অবস্থান করেছে। সিঙ্গাপুরের মোট আয়তন ৭১৯.৯ বর্গ কিলোমিটার বা ২৭৮ বর্গ মাইল।

সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা ৫৬,০৭,৩০০ জন (২০১৬)। এই মোট জনসংখ্যার ৩৩.২% বৌদ্ধ, ১৮.৮% খ্রিস্টান, ১৮.৫% ধর্মহীন, ১৪% মুসলমান এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বী লোকের বসবাস রয়েছে।

পড়ুন কানাডা জব ভিসা ২০২৩

এই দেশটির চারটি সরকারি ভাষা রয়েছে। এ গুলো হল- মালোই, ইংরেজি, তামিল ও চীনা মান্দারিন। সিঙ্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে সুনাম অর্জন করেছে। এদেশে ছয়টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যা বিশ্বের চেয়ে আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়।

সিঙ্গাপুরের শিক্ষা ব্যবস্থা ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে এ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণ এবং যাবতীয় শিক্ষামূলক কার্যক্রম গুলো ইংরেজি ভাষায় পরিচালিত হয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হল পর্যটন নগরী। কয়েক মিলিয়ন পর্যটক প্রতিবছর সিঙ্গাপুর আসে ভ্রমণ করার জন্য এবং পর্যটন শিল্প হল এদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়ের খাত।

সিঙ্গাপুরের মানুষের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত। এ দেশের জনসংখ্যার মাথাপিছু আয় ৯৩ হাজার ৬৭৮ মার্কিন ডলার। সিঙ্গাপুরের মুদ্রার নাম সিঙ্গাপুর ডলার।

সিঙ্গাপুরে যাওয়ার ভিসা আবেদন

সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য যারা ভিসা পেতে আবেদন করবেন তাদের উদ্দেশ্যে আমি বলতে চাই। আপনারা যারা যে পেশাতে যেতে চান সে পেশাতে যেতে পারবেন কিন্তু এখানে বিভিন্ন ধরনের ভিসা রয়েছে এই ভিসা অনুযায়ী আপনাকে আবেদন করতে হবে।

সিঙ্গাপুরের ভিসা পেতে হলে অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে আর আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা থাকলে সহজেই যেতে পারবেন।

আসুন জেনে নেই সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য কি কি ভিসা প্রদান করা হয়ে থাকে।

উচ্চ পেশায় ভিসা

যারা উচ্চ পেশায় নিয়োজিত তাদের ব্যক্তিগত কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশি পেশাদারদের ভিসা প্রদান করা হচ্ছে।এ ভিসার আওতায় রয়েছে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রোগ্রামার সহ উচ্চ শিক্ষিত ব্যক্তিদের উচ্চ পেশায় কাজ করার সুবর্ণ সুযোগ।

এই ভেসা পেতে গেলে আপনার প্রয়োজনীয় যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতা সকল পেপার আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। অভিজ্ঞ এবং দক্ষ ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামারের প্রচুর পরিমাণে চাহিদা রয়েছে। এ সকল পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রচুর পরিমাণে স্যালারি প্রদান করা হয়ে থাকে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সিঙ্গাপুরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিসা হিসেবে পরিচিত। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে মানুষ আবেদন করে থাকে। বিভিন্ন কাজের জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন শ্রেণীর ব্যক্তি এখানে আবেদন করতে পারবে। বিশেষ করে যারা শ্রমিক হিসেবে বিদেশে গিয়ে কাজ করতে চাই তাদের জন্য রয়েছে এই সুবর্ণ সুযোগ।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে প্রতিবছর সিঙ্গাপুর সরকার ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের অনেক লোক রয়েছে যারা সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে এবং আমাদের দেশ প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা ও রেমিটেন্স অর্জন করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ থেকে অনেক শ্রমিক আগ্রহের সাথে সিঙ্গাপুর যাচ্ছে প্রতিবছর ওয়ার্ক পারমিট ভিসা সংগ্রহ করে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেতে চাইলে আপনাকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে আপনি যে পেশায় যেতে চান সে পেশার উপরে। আপনাকে কিছু ভাষা শিখতে হবে। প্রয়োজনে আপনাকে ভাষা শেখার কোর্স সম্পন্ন করতে হবে।

সিঙ্গাপুর দক্ষ জনশক্তি নিয়োগ অত্যন্ত আগ্রহী। কিন্তু যাহারা দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে না তাদেরকে আবার দেশে ফেরত আসতে হয়। এই জন্য আপনি যদি সিঙ্গাপুর যেতে চান তাহলে আপনার যে কোন একটি বিষয়ে অবশ্যই পারদর্শিতা অর্জন করে যেতে হবে।

আপনি যদি শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চান এখানে অনেকগুলো কাজের অপশন রয়েছে এ সকল অপশন থেকে আপনাকে বেছে নিতে হবে। আপনাকে ভালোভাবে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারলে আর যদি দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারেন এবং সফলতার সাথে আপনার কর্ম করতে পারবেন।

যাহারা বিদেশে গৃহ কর্মী এবং কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চাই তাদের জন্য এখন সিঙ্গাপুর দিচ্ছে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মধ্যে রয়েছে হোটেল শ্রমিক, গৃহ নির্মাণ শ্রমিক, ক্লিনার, হাসপাতালের নার্স, ওয়ার্ডবয়, ইত্যাদি বিষয়ে দক্ষ এবং আধা দক্ষ শ্রমিক ।

স্টুডেন্ট ভিসা

উচ্চতর ডিগ্রী গ্রহণ করার জন্য বিভিন্ন দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের একটি আগ্রহ থাকে সিঙ্গাপুরে গিয়ে সর্বোচ্চ মানের একটি ডিগ্রী অর্জন করা যাবে। তাদের জন্য সর্বোচ্চ মানসম্মত কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে এখানে ছাত্ররা এসে তাদের সর্বোচ্চ ডিগ্রি অর্জন করতে পারে।

ছাত্ররা পড়াশোনার পাশাপাশি তারা পার্ট টাইম জব করে প্রচুর পরিমাণে আয় করতে পারে। পার্ট টাইম জব করার জন্য ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে বিভিন্ন কাজের প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ। ছাত্র ছাত্রীরা প্রশিক্ষণ শেষে তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করে প্রচুর পরিমাণে আয় করে থাকে।

ব্যবসায়ী ভিসা

সিঙ্গাপুর হচ্ছে পৃথিবীর সকল দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্য সিঙ্গাপুর থেকে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। যারা বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে এবং আমদানি করে সকলের একটি করে অফিস রুম রয়েছে সিঙ্গাপুরে।

তারা সিঙ্গাপুরে বসে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য সংঘটিত করে থাকে। সিঙ্গাপুরকে ওয়ার্ল্ড ট্রেড নামেও অভিহিত করা যায়। তাই আপনি যদি কোন বড় ধরনের বিজনেস করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সিঙ্গাপুরে আসতে হবে।

সিঙ্গাপুরে ব্যবসা ভিসা প্রদান করে থাকে। আপনি যদি বিজনেস করতে চান তাহলে অবশ্যই সিঙ্গাপুরের ভিসা আপনি সহজে নিতে পারবেন। এই ভিসা নিতে চাইলে আপনাকে অনলাইনে মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। আপনার ব্যবসার ইমপোর্ট- এক্সপোর্ট লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, এবং অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

ভ্রমণ ভিসা

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ সিঙ্গাপুরে আসে বেড়ানোর জন্য। ভ্রমণ প্রিয় ব্যক্তিরা সিঙ্গাপুরে প্রচুর পরিমাণে প্রতিবছর লোক এসে থাকে। সিঙ্গাপুরের আয়ের গুরুত্বপূর্ণ একটি খাত হচ্ছে পর্যটন খাত। সিঙ্গাপুর দেশটি একটি সাগরের মাঝে ছোট্ট একটি দ্বীপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তাই সিঙ্গাপুর অত্যন্ত মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মন্ডিত লীলাভূমি পর্যটকদের মন আকর্ষিত করে থাকে। সিঙ্গাপুরে অনেকগুলো পার্ক রয়েছে যা আন্তর্জাতিক মানের সর্বোচ্চ পার্ক ও চিড়িয়াখানা। সিঙ্গাপুর অত্যন্ত উন্নত একটি রাষ্ট্র এ দেশের সমাজব্যবস্থা অনেক উন্নত।

সিঙ্গাপুরে কয়েক মিলিয়ন পর্যটক প্রতিবছর আসে ভ্রমণ করার জন্য। পর্যটন খাতটি হচ্ছে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির অন্যতম একটি প্রধান খাত। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকগণ ছুটে আসে সিঙ্গাপুরে সৌন্দর্য ভোগ করার জন্য।

সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পার্ক এবং বিনোদন কেন্দ্রের কথা উল্লেখ করা হলো। আপনারা যারা সিঙ্গাপুরে ভ্রমণের জন্য যেতে চান তারা অবশ্যই ৪ টি জায়গায় না গেলে আপনার ভ্রমণ অসমাপ্তই থেকে যাবে।

এই ৪ টি জায়গা হল নাইট সাফারি, মারলা ওন পার্ক, সেন্তোসা আইল্যান্ড, বার্ড পার্ক।

নাইট সাফারি পার্ক হলো পৃথিবীর প্রথম এবং একমাত্র নাইট সাফারি পার্ক ও চিড়িয়াখানা। এই নাইট সাফারি পার্কে গভীর রাতে পশুপাখিদের মাছ দিয়ে ড্রামে করে পর্যটকদের জঙ্গলের ভিতরে বিচরণ করা হয়। হরিণ হাতে বাঘ ভাল্লুক ওট কুমির নাইট সাফারি পার্কের অন্যতম প্রাণী।

নাইট সাফারি পার্কে পশু পাখিরা উন্মুক্তভাবে বিচরণ করে ঘুরে বেড়ায় প্রবাসীদের কোথাও খাঁচা বন্দি করে রাখা হয় না। বন্ধুরা আপনারা যদি ভ্রমণের জন্য সিঙ্গাপুরে যান তবে অবশ্যই নাইট সাফারি পার্কে না গিয়ে চলে আসবেন না।

মারলাউন পার্ক হলো সিঙ্গাপুর বাসীদের গর্বের ও বীরত্বের প্রতীক। বহু পূর্বে সিঙ্গাপুর যখন সমুদ্র নগরী নামে পরিচিত ছিল কথিত রয়েছে তখন প্রচন্ড সামুদ্রিক ঝরে দীপটি বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

তখন সিঙ্গাপুরের অধিবাসীরা ঈশ্বরের হাতে নিজেদেরকে শপে দেয় ঠিক তখন সমুদ্র থেকে এক বিরাট আকৃতির সিংহ মৎস্য আকৃতির ন্যায় এক অদ্ভুত প্রাণী এসে ঝড়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে সিঙ্গাপুর অভিবাসীদের বাঁচিয়ে দেয়।

তখন থেকেই মারলেন নামের এই সিংহ মৎস্য সিঙ্গাপুর অভিবাসীদের গর্ব এবং বীরত্বের প্রতীক হিসেবে পরিচিত হয়। মারলাউন পার্কে মারলিনের মূর্তি অবস্থিত রয়েছে।

সেন্টুসা আইল্যান্ড এটা হচ্ছে সিঙ্গাপুরের একটি ছোট দ্বীপ ও বিনোদন কেন্দ্র ইহা সাগরের মাঝে অবস্থিত। সিঙ্গাপুরের এই দ্বীপ টি অত্যন্ত আকর্ষণীয় এবং মনোরম।

এটি সাগরের মাঝে অবস্থিত হওয়ায় অত্যন্ত মুগ্ধকর এবং পর্যটকদের আকর্ষণীয় স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাহারা সিঙ্গাপুরে ভ্রমণের জন্য যেতে চান তাহারা অবশ্যই সেন্ট্রোসা আইল্যান্ড এই দ্বীপটি অবশ্যই ঘুরে আসবেন।

বার্ড পার্ক এখানে রয়েছে বিভিন্ন পাখিদের বিচরণ। এখানে বিভিন্ন ধরনের পাখিদের প্রশিক্ষিত করে তাদের দ্বারা ক্রীড়া নৈপুণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে পর্যটকদের আকর্ষিত করা হয়।

এখানে গুরুত্বপূর্ণ পাখিগুলো হল সারস,পেলিকন, টিয়া, শকুন সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাকে পাখি যা পর্যটকদের যথেষ্ট আনন্দ দিয়ে থাকে। আপনি যদি সিঙ্গাপুরে ভ্রমণের জন্য যেতে চান তাহলে অবশ্যই বার্ড পার্ক ঘুরে আসবেন।

এছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসুস্থ ব্যক্তিরা আসে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে সিঙ্গাপুর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা কেউ গ্রহণ করতে চাইলে সে অবশ্যই সিঙ্গাপুরের কথা ভেবে থাকে।

সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল অত্যন্ত বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ একটি চিকিৎসা কেন্দ্র। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান সকল দেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা গ্রহণ করার জন্য সাধারণত সিঙ্গাপুরে সবচেয়ে মানুষ বেশি গিয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুরের চিকিৎসায় একটু ভুল হলেও অত্যন্ত ভালো মানের চিকিৎসা পাওয়া যায়। তাই যে সকল অসুস্থ ব্যক্তিগণ সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নেয়ার জন্য যেতে চান তারা অবশ্যই নিশ্চিন্তে যেতে পারবেন।

কারণ আধুনিক যন্ত্রপাতি অপারেশন সহ যে সকল চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রয়োজন সর্বোচ্চ মানের বিশ্বের সবচেয়ে ভালো প্রযুক্তি সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা পদ্ধতিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে সারা বিশ্বে।

সিঙ্গাপুরের ভিসা খরচ

আপনারা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন সিঙ্গাপুরে যেতে ভিসা বাবদ কত টাকা খরচ হয়ে থাকে আসলে প্রশ্নটি প্রবাস গামীদের আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।

যে সকল নাগরিকরা বাংলাদেশ থেকে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে শ্রমিক হিসেবে সিঙ্গাপুরে যেতে চান তাদের সাধারণত ৫-৬ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। তবে একটি বিষয় লক্ষ্য রাখবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ছাড়া কোন শ্রমিক সিঙ্গাপুরে গেলে সে কাজ পাবে না বরং তাকে চলে আসতে হবে।

কখনো দেখা যায় আধা দক্ষ শ্রমিক যাহারা ক্লিনার, গৃহ নির্মাণ কর্মী, হোটেল বা গৃহকর্মী হিসেবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পেয়ে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলযোগ্য। আদাধক্ষ শ্রমিকদের অনেক সময় সিঙ্গাপুর সরকার ছাড় দিয়ে থাকে যাতে তারা কাজের মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা গড়ে তুলতে পারে।

তবে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে সেখানে আপনার লেখাপড়া করার সমস্ত খরচ আপনারা ব্যাংক একাউন্টে জমা দেখাতে হবে।

আপনি যাতে পড়াশোনা করতে গিয়ে কোন ধরনের আর্থিক সমস্যায় না পড়েন এজন্য আপনার ব্যাংক সলভেন্সিং সার্টিফিকেট জমা দিতে হবে। এবং আপনার ভিসা বাবদ খরচ হবে মাত্র দুই থেকে তিন লাখ টাকা।

যারা ভ্রমণের জন্য যেতে চান তাহাদের জন্য ভিসা খরচ ১ লাখ টাকার মত। এছাড়াও যারা ব্যবসায়ী কাজে সিঙ্গাপুরে যেতে চান তাদের ক্ষেত্রে ভিসা খরচ হবে মাত্র এক লাখ টাকার মত।

কাজের বেতন

সিঙ্গাপুরে কাজের বেতন বিভিন্ন রকম হতে পারে এটি সাধারণত নির্ভর করবে আপনার কাজের উপর। আপনি যদি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন তাহলে আপনার বেতন হতে পারে প্রাথমিক অবস্থায় ৫০০ থেকে ৬০০ ডলার।

পরবর্তীতে আপনার কাজের দক্ষতা বাড়াতে পারলে আপনার বেতন ধীরে ধীরে বাড়তে থাকবে। যারা পুরাতন শ্রমিক রয়েছে অনেক দিন থেকে কাজ করে তাহাদের বেতন ১৫০০ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

যাহারা উচ্চ পেশায় নিয়োজিত হতে চান তাদের বেতন অত্যন্ত বেশি তারা প্রাথমিক অবস্থায় বেতন পান 5000 সিংগাপুরিয়ান ডলার পরবর্তীতে তাদের বেতন আরো বৃদ্ধি করা হয়ে থাকে।

সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে আপনার বয়স অন্ততপক্ষে 18 বছর হতে হবে এবং সর্বোচ্চ ৫০ বছর হতে হবে কারণ সিঙ্গাপুরের শ্রমিক আইন অনুযায়ী 18 বছরের নিচে কাউকে কাজ দেওয়া যাবে না।

প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র

সিঙ্গাপুর যেতে চাইলে আপনার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাগবে যা হল-

  • আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ড এর ফটোকপি
  • আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ ভিসা লাগানোর পরও যাতে কমপক্ষে ছয় মাস থাকে
  • আপনার পাসপোর্ট এর কমপক্ষে একটি খালি পাতা রাখতে হবে
  • আপনার সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে তুলতে হবে।
  • আপনার অভিজ্ঞতার কোন সার্টিফিকেট থাকলে তা জমা দিতে হবে
  • আপনি যদি সিঙ্গাপুর যাওয়ার জন্য কোন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন থাকেন তাহলে প্রশিক্ষণের প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে

ভিসা আবেদনের নিয়ম

  • ভিসা আবেদন আপনার অবশ্যই অনলাইনের মাধ্যমে করতে হবে
  • বাংলাদেশে নাগরিক হলে ঢাকাস্থ কনস্যুলেটরের অনুমোদিত ভিসা এজেন্টের মাধ্যমে সিঙ্গাপুর ভিসা আবেদন করতে হবে
  • অনলাইনে আবেদনপত্রে যা যা তথ্য চাওয়া হয়েছে তা সঠিকভাবে পূরণ করে দিতে হবে
  • শ্রমিক আইন অনুযায়ী সিঙ্গাপুরে ওয়ার্ক পারমিট বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাইলে বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে
  • আপনারা শারীরিক ফিটনেস সার্টিফিকেট আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে
  • তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপিজ হবে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের মাধ্যমে তুলে জমা দিতে হবে
  • আপনার অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে
  • কোভিড ১৯ এর সার্টিফিকেট সংযুক্ত করতে হবে, আপনার শরীরে কোন ধরনের করোনাভাইরাস আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য।

সিঙ্গাপুরে যেতে চাইলে আপনি অবশ্যই সরকার কর্তৃক অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যেতে হবে। অনেকের ভুয়া এজেন্সি এখন রয়েছে যারা প্রতারণা করে প্রবাস গামী মানুষদেরকে সর্বশ্রান্ত করে ফেলে। তাদের হাত থেকে আপনার সব সময় দূরে থাকতে হবে।

বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপনার ভিসা যাচাই করে যেতে পারলে আপনি নিশ্চিত ভাবে আপনার কর্ম ও কাজে যোগদান করতে পারবেন।

পড়ুন

পরিশেষে

পরিশেষে এ কথা বলতে চাই আপনারা যারা সিঙ্গাপুর যেতে আগ্রহী রয়েছেন তারা অবশ্যই প্রশিক্ষণ বা অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারলে আপনার কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত হবে। আর প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সর্বদা আপনি সজাগ থাকবেন।

প্রয়োজনে সরকারের বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত এজেন্সির মাধ্যমে সিঙ্গাপুরে যেতে হবে। আশা করি, আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। সকলে ভালো থাকবেন। আপনাদের জন্য রয়েছে শুভকামনা। আল্লাহ হাফেজ।

ট্যাগঃ সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ সিঙ্গাপুর যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *