জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আসসালামু আলাইকুম। আপনারা অনেকেই জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। আজ আমাদের এই আর্টিকেলে জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়লে জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারবেন।

জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩
জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

আরও জানুন ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

জার্মানি সম্পর্কে জেনে নেই

জার্মানি হচ্ছে আয়তনের দিক থেকে সপ্তম বৃহত্তম দেশ এ দেশের আয়তন ৩,৫৭, ৩৮৬ বর্গ কিলোমিটার। জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এ দেশের জনগণের মাথাপিছু আয় ৪১ হাজার ৫১৩ মার্কিন ডলার। জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত দেশ হওয়ায় তাদের মুদ্রার নাম হলো ইউরো। জার্মানি দেশের মোট জনসংখ্যা ৮২ মিলিয়ন আট লাখ প্রায়।

জার্মানির রাজধানী ও বৃহত্তম নগরী হল বার্লিন। এদেশের সরকারি ভাষা জার্মান। ইউরোপ মহাদেশের প্রধান শিল্প উন্নত দেশ এ দেশের ১৬ টি রাজ্য রয়েছে। এদেশের দুই তৃতীয়াংশ লোক রোমান কেথলিক। জার্মানি বর্তমানে বিশ্বের প্রধান শিল্প উন্নত দেশ জার্মানিত লোহা, ইস্পাত, যন্ত্রপাতির সরঞ্জাম, মোটরগাড়ি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রপ্তানি করা থাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান অর্থনৈতিক তালিকার শক্তি হল জার্মানি।

জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা

আপনারা অনেকেই জার্মানি যেতে চান ওয়ার্ক পারমিট ভিসা নিয়ে। কিন্তু জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় এবং এর যোগ্যতা কি প্রয়োজন হয় তা অনেকেই জানেন না। এজন্য আপনাদের উদ্দেশ্যে জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা কিভাবে পাওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করতে চাচ্ছি।

জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে প্রথমে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। যেমনঃ আপনার কমপক্ষে শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে এইচ এস সি পাস। আপনাকে একটি বিশেষ কাজে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে। আপনার জার্মানি ভাষা শিখতে হবে। যদি জার্মানি ভাষা না জানেন তবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।

এ সকল যোগ্যতা অর্জন করার পর আপনার অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আপনার ইন্টারভিউ নেয়া হবে। আপনি যদি উত্তীর্ণ হন তবে তাদের আমন্ত্রণপত্র পাবেন এবং সহজেই জার্মানি যেতে পারবেন।

সব সময় একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন জার্মানিতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোক ছাড়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবে না। আপনি যদি কোন বিষয়ে বিশেষ অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন এবং দক্ষতা দেখাতে পারেন তবে আপনি সহজেই ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাবেন।

জানুন

কি কি কাজে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়া হয়

জার্মানিতে বিভিন্ন কাজের উপরে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা দেওয়া হয়। প্রতি বছর জার্মান সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোক দিয়ে থাকে। বাংলাদেশ থেকেও অনেক লোক প্রতি বছর জার্মানিতে গিয়ে কাজ করতে পারে।

যে সকল কাজে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা প্রদান করে থাকে জার্মানি, সে সকল কাজগুলোর ভিসা হলো ড্রাইভিং ভিসা, হোটেল রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ভিসা, কনস্ট্রাকশন শ্রমিক ভিসা, প্রকৌশলী ভিসা, মেডিকেল ভিসা, ক্লিনার ভিসা, স্টুডেন্টদের জন্য পার্ট টাইম জব, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিক ভিসা সহ নানা ধরনের ভিসা প্রদান করে থাকে।

বাংলাদেশীদের জার্মানি ভিসার আবেদন

বাংলাদেশে যারা নাগরিক তারা যদি জার্মানি যেতে চায় তাহলে জার্মানি দূতাবাস থেকে আবেদন করতে পারবেন। জার্মানি যাওয়ার জন্য অনলাইনেও আবেদন করা যায় প্রতিবছর জার্মান লোক নিয়োগ করার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে।

বাংলাদেশ নাগরিকদের আমি অনুরোধ করব আপনারা যদি জার্মানি যেতে চান তাহলে নিচে একটি ওয়েবসাইটের লিংক দিয়ে দিচ্ছি এই লিংকের মাধ্যমে আপনারা জার্মানিতে যাওয়ার ও কাজের ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। ওয়েবসাইট টি হল https://dhaka.diplo.de/bd-en/-/2304802

ওপরের এই ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে আপনি জার্মানের বিভিন্ন ধরনের জব এবং ওয়ার্ক সম্পর্কে সার্কুলার পাবেন এবং আবেদন করতে পারবেন। আপনার আবেদনের প্রেক্ষিতে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার ইন্টারভিউ নেওয়া হবে। ইন্টারভিউ আপনি উত্তীর্ণ হলে জার্মানের সংস্থা থেকে আপনি আমন্ত্রণপত্র পাবেন এবং পরবর্তীতে জার্মানি দূতাবাসের সহযোগিতায় যেতে পারবেন।

জার্মানি কাজের ভিসার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

যারা জার্মানি  ভিসার ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে চান তাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র লাগে তা আপনারা সকলেই জানেন। ঠিক একই রকম ভাবে যখন আপনি জার্মান যাবেন তখন আপনার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র প্রয়োজন হবে। সে সকল কাগজপত্রগুলো নিম্নের দেওয়া হলো।

  • আপনার বায়োডাটা বা জীবন বৃত্তান্ত
  • আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি
  • আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট এর ফটোকপি
  • আপনার কাজের অভিজ্ঞতার সনদপত্র
  • আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং ব্যাংক সলভেন্সিং সার্টিফিকেট
  • আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে
  • আপনার জব আমন্ত্রণপত্র বা অফার লেটার
  • আপনার স্থানীয় থানা হইতে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট

জার্মানির কাজের ভিসা ২০২৩

জার্মানিতে যাওয়ার জন্য অনেকেই আগ্রহী রয়েছেন কিন্তু আপনারা কি জানেন? জার্মানি যেতে চাইলে আপনাকে অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার লিংকটি আমি দিয়ে দিচ্ছি। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রবেশ করে প্রথমে আপনার কাজের জন্য আবেদন করতে হবে।

এরপর আপনি উক্ত কাজের জন্য নির্বাচিত হলে আপনি জার্মানি যেতে পারবেন। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে প্রথমে আপনাকে কাজের জন্য আবেদন করতে হবে। তারা আপনার বায়োডাটা আপনার অভিজ্ঞতা আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং আপনার অন্যান্য বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে আপনার সাথে তারা অনলাইনে কথা বলবে।

অর্থাৎ আপনার সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই বাচাই করবে তারপর আপনি নির্বাচিত হলে আপনাকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠাবে। এই আমন্ত্রণপত্র নিয়ে জার্মানি দূতাবাসে যোগাযোগ করতে হবে আর এভাবে আপনি সহজে জার্মানি যেতে পারবেন।

জার্মানি যাওয়ার জন্য সরাসরি অনলাইনে আবেদন করার ওয়েবসাইটটি হল https://www.make-it-in-germany.com/en/working-in-germany/job/looking-for-job

হ্যাঁ বন্ধুরা উপরের ওয়েবসাইট সাইটটির মাধ্যমে আপনি জার্মানি কাজের ভিসার আবেদন করতে পারবেন। আপনি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকেন না কেন আপনি জার্মানি যেতে চাইলে উপরের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে হবে এরপর আপনার প্রয়োজনীয় কাজগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করতে হবে।

ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে

জার্মানি কোম্পানিতে ভিসা পেতে করণীয়

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে জার্মানিতে কাজ পেতে অনলাইনে আবেদন করে থাকে। বাংলাদেশ থেকেও অনলাইনে আবেদন করে অনেকেই জার্মানি কোম্পানিগুলোতে কাজ নেওয়ার জন্য। জার্মানি কোম্পানিগুলো আবেদন গ্রহণ করে এবং অনেক আগ্রহী প্রার্থীকে ইমেইলে জানিয়ে দেয় যে তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে।

জার্মানি কোম্পানিগুলো আবেদন গ্রহণ করার পর ইমেইলের মাধ্যমে প্রার্থী বাঁচায় এর জন্য ইন্টারভিউ এর একটি নির্দিষ্ট সময় জানিয়ে দেয়। সেই নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে তাদের ইন্টারভিউ সম্পন্ন করে থাকে।

যে সকল প্রার্থী গন ইন্টারভিউ উত্তীর্ণ হয় তাদের ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে থাকে। এরপর প্রার্থীর সকল কাগজপত্র জার্মানি এম্বাসিতে জমা দিতে হবে। সব সময় খেয়াল রাখবেন দালালদের দুষ্টচক্রের মাধ্যমে যেন আপনি জার্মানিতে যেতে না চান কারণ দুষ্ট চক্রের মাধ্যমে অনেকে তাদের অর্থ সম্পদ আত্মসাৎ করে নিয়ে নেয়।

আপনি অবশ্যই দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আপনাকে জার্মানি যেতে হবে এর কোন বিকল্প নেই। গ্রীন লেটার পেলে আপনি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে আপনার ভিসা যাচাই মাধ্যমে যেতে পারলে সবচেয়ে ভালো হয়।

জার্মানিতে কাজের বেতন ভাতা

অনেকেই জানতে চান জার্মানিতে কাজ করলে কেমন টাকা আয় করা সম্ভব হবে? মূলত জার্মানিতে কাজের উপরের নির্ভর করবে আপনার বেতন ও ভাতা। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের শ্রমিকগণ জার্মানিতে কাজের জন্য গিয়ে থাকে। মোটামুটি ভাবে বলা যায় জার্মানিতে কাজ করলে একজন শ্রমিক বাংলাদেশের টাকায় প্রায় দুই লাখ টাকা বেতন পেয়ে থাকে।

জার্মানিতে প্রচুর কাজের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। জার্মানি যেহেতু শিল্প উন্নত দেশ এবং দেশের শিল্প উন্নয়নে শীর্ষ দেশগুলোর অন্যতম। তাই এদেশে প্রচুর পরিমাণে কাজের চাহিদা রয়েছে।

বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বেতন বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। এটি নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না যে কোন শ্রমিকের বেতন কত হবে। শ্রমিকের বেতনটা নির্ভর করে তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর এবং যে সকল কোম্পানিগুলো নিয়োগ দান করা থাকে তাদের এখতিয়ারের ওপর।

যাহারা প্রকৌশলী কাজে এবং মেডিকেল কাজে নিয়োগ পেয়ে থাকে তাদের ইনকাম অনেক বেশি। তারা প্রায় ৪-৫ লক্ষ টাকা ইনকাম করে থাকে প্রতি মাসে।

জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা খরচ

জার্মানিতে ভিসা নেওয়াটা কঠিন হলেও খরচটা তুলনামূলকভাবে বেশি নয়। জার্মানিতে যদি আপনি অনলাইনের মাধ্যমে জব পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনি যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন।

যখন আপনি জার্মানি কাজের জন্য অনলাইনে আবেদন করে কাজ পাবেন এবং তাদের ইন্টারভিউ এর মাধ্যমে আপনার যা করে নিশ্চিত করতে পারবেন তখন ফোনে অল্প করে যাই জার্মানি যেতে পারবেন।

আপনার চাকরি নিশ্চিত হওয়ার পর আপনার ভিসার যাবতীয় খরচ আপনারা কোম্পানি বহন করবে। আপনি শুধুমাত্র আপনার যাতায়াত ভাড়া এবং আপনার পেপার গুলো সাবমিট করার জন্য যে সকল খরচাদি দরকার তা আপনার বহন করতে হবে।

পরিশেষে

আজ আপনাদের সাথে জার্মানি পার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ সম্পর্কে কথা বললাম। আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন তারপরও যদি আপনাদের বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আরো একবার মনোযোগের সাথে পড়বেন। এবং আরো কিছু জানতে হলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানতে পারবেন আমরা উত্তর দিতে চেষ্টা করব।

ট্যাগঃ

জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩ জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩জার্মানি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *