ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

প্রিয় বন্ধুরা, আজ আপনাদের সাথে আলোচনা করতে চাচ্ছি ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ সম্পর্কে। আপনারা যারা ইতালি যাওয়ার জন্য চিন্তা ভাবনা করছেন তাদের জন্য আমাদের এই পোস্টটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ইতালি যেতে কত টাকা লাগে এবং কি কি ধরনের ভিসা পাওয়া যায়।

ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩
ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

ইটালি ইউরোপের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নত দেশ। এ দেশে যাওয়ার জন্য পৃথিবীর সকল দেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। ইটালিতে মানুষ যেতে চাই বিভিন্ন উদ্দেশ্যে। যেমন- কেহ যেতে চাই কাজের জন্য বা চাকরির উদ্দেশ্যে, কেহ যেতে চাই ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে, কেহ যেতে চাই ভ্রমণের জন্য এবং কেউ যেতে চাই পড়াশোনার জন্য।

আপনি যে উদ্দেশ্যেই ইতালি যেতে চান কিভাবে আপনি সহজে ইতালি যেতে পারবেন এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে।

আরও জানুন মালয়েশিয়া কোম্পানি ভিসা ও ফ্যাক্টরি ভিসা ২০২৩

আসুন জেনে নেই ইতালি সম্পর্কে

ইতালি পশ্চিম ইউরোপের একটি দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত একটি দেশ। এদেশের মোট আয়তন ৩,০১,৩৩৮ বর্গ কিলোমিটার। ইতালি দেশের মোট জনসংখ্যা ৬,০৩,৫৯,৫৪৬(২০১৮ইং)। এদেশের মাথাপিছু আয় ৪০ হাজার ৪৭০ মার্কিন ডলার।

ইতালি একটি গণতান্ত্রিক দেশ। ইহা বিশ্বের ২৩ তম উন্নত দেশ হিসেবে গণনা করা হয়েছে। এদেশের রাজধানীর নাম রোম। অধিকাংশ মানুষ রোমান কেথলিক ধর্ম অনুসারী। ইটালি আন্তর্জাতিক বড় সংস্থা জি-৮, জি-২০ এবং ন্যাটো সদস্য।

ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

আপনারা যারা ইতালি যেতে ইচ্ছুক প্রথমে আপনার জানা উচিত ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ কত টাকা লাগে। আমরা সকলেই জানি ইতালি যেতে হলে অনেক টাকার প্রয়োজন হয়ে থাকে। তবে ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ নির্ভর করে আপনার ভিসা ক্যাটাগরির উপরে।

এদেশে অনেক ধরনের ভিসা চালু থাকলেও প্রধানত দুই ধরনের ভিসা প্রচলিত রয়েছে। তা হল সিজনাল ভিসা এবং নন সিজনাল ভিসা। সিজনাল ভিসা আপনি ইতালি যেতে চাইলে তাহলে আপনার খরচ পড়বে চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আপনি যদি নন সিজনাল বিষয় ইতালি যেতে চান তাহলে আপনার ৮ থেকে ৯ লক্ষ টাকা খরচ পড়বে।

এখন আপনার জানতে ইচ্ছা করছে কি সিজনাল ভিসা কি এবং নন সিজনাল ভিসা কি, এই সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হচ্ছে আমাদের আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগের সাথে পড়ুন।

ইতালির সিজনাল ভিসা

যারা ইতালিতে ভ্রমণ ভিসা এবং ব্যবসার জন্য যেতে চান তারাই সাধারণত এই ভিসার আওতাভুক্ত। যেমনঃ মেডিকেল ভিসা, ভ্রমণ ভিসা, ব্যবসায়ী ভিসা ইত্যাদি। সিজনাল  ভিসায় ইতালি গেলে আপনি সর্বোচ্চ ৬ মাস থেকে দশ মাস পর্যন্ত অবস্থান করতে পারবেন। এরপর আপনার আইনগতভাবে থাকার আর কোন সুযোগ নাই।

টুরিস্ট ভিসা ২০২৩

পৃথিবীর সকল দেশের মানুষ ভ্রমণ করতে উৎসাহী হয়। ভ্রমণ করাটা মানুষের একটি প্রকৃতিগত স্বভাব। ভ্রমণ করলে মানুষের প্রাণ প্রফুল্ল হয় মন ভালো থাকে এবং আল্লাহর অপরূপ সৃষ্টির বৈচিত্র্যময় ও সুন্দর নিদর্শন দেখা যায়।

ইতালি পৃথিবীর সুন্দর বৈচিত্র্যময় দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। এদেশের শৈলী স্থাপত্য, প্রাকৃতিক নিদর্শন, মনোরম পরিবেশ ভ্রমণ প্রবাসীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আসছে দীর্ঘদিন থেকে।

ইতালিতে টুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশ থেকেও অনেক লোক ভ্রমণে গিয়ে থাকে প্রতিবছর। টুরিস্ট ভিসায় ইতালিতে যাওয়া খুব কঠিন বিষয় নয়। আপনার অন্যান্য দেশের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকলে সে অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে টুরিস্ট বিষয়ে আবেদন করলে আপনি সহজেই এটা যাওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন।

টুরিস্ট ভিসায় ইতালি যেতে চাইলে আপনার তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ হতে পারে। অনেক ব্যক্তি রয়েছে যারা টুরিস্ট ভিসায় ইতালি গেলে তারা ভ্রমণ শেষে আর বাড়ি ফিরে না। সেখানে থাকার জন্য তারা অবৈধভাবে পালিয়ে থাকে। এই ধরনের কাজ করাটা একদম ঠিক হবে না কারণ সে দেশের পুলিশের হাতে ধরা খেলে পর্যাপ্ত শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।

আরও পড়ুন

মেডিকেল ভিসা ২০২৩

উন্নত চিকিৎসার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ ইতালি যায়। ইতালিতে অনেক উন্নত হাসপাতাল রয়েছে যেখানে উন্নতমানের চিকিৎসা করা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মানুষ যখন তার নিজ দেশের চিকিৎসা সেবা নিয়ে কোন ফলপ্রসূ না হয় তখন ইটালিতে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য গিয়ে থাকে।

বিশেষ করে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ উন্নত চিকিৎসার জন্য ইটালি গিয়ে থাকে। ইটালিতে আধুনিক পদ্ধতিতে উন্নত প্রযুক্তিতে চিকিৎসা করা হয় এবং অনেক মেজর অপারেশন সম্পন্ন করা হয়।

ফ্যামিলি ভিসা ২০২৩

যে সকল বিদেশি নাগরিকরা ইতালিতে বিভিন্ন কাজের জন্য থাকে তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইতালি ভ্রমণে যেতে পারেন এই ভিসাকে ফ্যামিলি ভিসা বলা হয়। বাংলাদেশ থেকেও অনেক প্রবাসী রয়েছে যারা ইতালিতে থাকে বিভিন্ন কাজের জন্য।

কেউ চাকরি করে, কেউ ব্যবসা করে, কেউ বিভিন্ন পেশার সাথে জড়িত রয়েছে তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইতালিতে যেতে পারবে। এই ফ্যামিলি ভিসা টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ থাকবে সর্বোচ্চ ১০ মাস।

ইটালি ননসিজনাল ভিসা

ইটালি নন সিজনাল ভিসার ভিতর রয়েছে স্টুডেন্ট ভিসা, কৃষি ভিসা, স্পন্সর ভিসা, ওয়ার্ক পারমিট ভিসা, শ্রমিক ভিসা ইত্যাদি।

স্টুডেন্ট ভিসা

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করার জন্য ইতালিতে প্রতিবছর অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়ে থাকে। ইতালিতে সর্বোচ্চ মানের ডিগ্রি অর্জনের জন্য মনোরম পরিবেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চশিক্ষা প্রদান করে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে ও প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য স্কলারশিপ নিয়ে ডিগ্রী অর্জনের জন্য গমন করে থাকে। বাংলাদেশ ও ভারত থেকেও অনেক স্টুডেন্ট ইতালিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রতিবছর কিছু স্টুডেন্ট গমন করে।

আপনি যদি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে ইতালিতে যেতে চান তাহলে প্রথমে আপনার একটি ন্যূনতম শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হবে। ইহা আপনার উচ্চশিক্ষা গ্রহণের উপর নির্ভর করবে আপনার ভর্তি সংক্রান্ত নিয়মাবলী পূরণ করে আপনাকে স্টুডেন্ট ভিসায় আবেদন করতে হবে।

প্রথমে আপনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন বিষয়ের উপরে ডিগ্রী নিতে চান সে বিষয়ে অনুযায়ী ইতালির বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় আপনার আবেদন করতে হবে। যে বিশ্ববিদ্যালয়টি আপনার আবেদন গ্রহণ করবে সে বিশ্ববিদ্যালয়টি আপনাকে একটি আমন্ত্রণ পত্র পাঠাবে।

সেই আমন্ত্রণ পত্রটি গ্রহণ করে ভিসার জন্য টাকা জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কয়েকটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন- আপনার পড়াশোনার খরচ চালানোর মতো ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা রাখতে হবে। এজন্য আপনাকে ব্যাংক সার্টিফিকেট প্রদান করতে হবে।

আপনার কোন আত্মীয় ইতালিতে অবস্থান করলে সে স্পন্সর করলেও আপনার ভিসা সহজে পেতে পারেন। আপনার সার্টিফিকেটের মূল কপি, মার্কশিট এর মূল কপি এবং আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের মূল কপি এম্বাসিতে জমা দিতে হবে। আপনাকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে এজন্য আপনাকে ইংরেজি কোর্স সম্পূর্ণ করতে হবে।

কৃষি ভিসা ২০২৩

ইতালিতে কৃষি কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে লোকের প্রয়োজন হয় যারা বিদেশ থেকে গিয়ে কৃষি কাজ করে থাকে। ইতালি দেশের জনসাধারণ কৃষি কাজের সাথে বেশি জড়িত নয় তারা বিদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে কাজ করা থাকে।

কৃষিকাজ করার জন্য ইতালিতে গেলে সাধারনত দিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদে ভিসা পেয়ে থাকে এজন্য এই ভিসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

প্রতিবছর ইতালি সরকার প্রচুর পরিমাণে কৃষি শ্রমিক নিয়োগ করে থাকে যারা অধিকাংশই বিদেশী বা প্রবাসী। আপনি ইচ্ছা করলে কৃষি ভিসায় ইতালি যেতে পারবেন এজন্য আপনাকে কৃষি বিষয় আবেদন করতে হবে।

কৃষি বিষয় আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করে যেতে পারলে আপনার জন্য খুবই ভালো হবে। অভিজ্ঞতা ও দক্ষতাকে ইতালিতে প্রাধান্য দেওয়া হয়। কৃষি বিষয়ে আপনার একাডেমিক সার্টিফিকেট থাকলে তা উপস্থাপন করতে পারেন।

স্পন্সর ভিসা ২০২৩

স্পন্সর ভিসা চালু করেছে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হয়। স্পন্সর ভিসার জন্য আপনার খরচ হতে পারে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। এই ভিসার জন্য আপনারও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

আপনার কোন আত্মীয় ইতালিতে থাকলে তারা স্পন্সর করলে আপনি সহজে যেতে পারবেন।

স্পন্সর ভিসায় ইতালি গেলে সাধারনত ৪/৫ বছরের জন্য আপনি সুযোগ পাবেন নন সেজনাল বা স্পন্সর ভাষায় আপনি বিভিন্ন চাকরির জন্য এবং স্টুডেন্টরা পড়াশোনার জন্য যেতে পারে।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

ইতালিতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় কাজের বিশাল সুযোগ রয়েছে প্রতিবছর ইতালি সরকার বিদেশ থেকে লোক নিয়োগ করা থাকে। সরকারের অধীনে এবং কোম্পানির অধীনে যেসকল ফ্যাক্টরি ও শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণে শ্রমিকের প্রয়োজন হয় আর এ সকল শ্রমিক বেশিরভাগ বিদেশ থেকেই নিয়ে থাকে।

বাংলাদেশের অনেক শ্রমিক ইতালিতে রয়েছে যারা বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত। বিভিন্ন কোম্পানিতে লোক নিয়োগ করার সময় যখন সার্কুলার দিয়ে থাকে তখন সে কাজের জন্য আবেদন করলে কোম্পানির পক্ষ থেকে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয় এই আমন্ত্রণপত্র নিয়ে এম্বাসিতে যোগাযোগ করলে ইতালের ভিসা পাওয়া যায়।

ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ইতালিতে যেতে চাইলে আপনার ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। এছাড়াও আপনি যে কাজে নিয়োগ নিবেন সে কাজের পরিপূর্ণ অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। অভিজ্ঞ ও দক্ষ প্রার্থীদের জন্য ইতালি সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।

বাংলাদেশ থেকে ইতালি ভিসা ২০২৩

বাংলাদেশ থেকে আপনি যদি ইতালি যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে কিছু শর্ত পূরণ করতে হবে। আপনার একটি বৈধ পাসপোর্ট থাকতে হবে। আপনি যে বিষয় নিয়ে ইতালিয়ে যেতে চান সে ভিসার জন্য আপনাকে প্রথমে আবেদন করতে হবে ইতালি থেকে আপনার কাছে আমন্ত্রণপত্র আসলে আপনি তাহলে যেতে পারবেন।

আপনি বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যেতে পারবেন এছাড়া আপনার পক্ষে ইতালি যাওয়া সম্ভব নয়। বাংলাদেশেদের ক্ষেত্রে তাহলে যাওয়ার জন্য প্রথমে আপনার বৈধ পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

তবে আপনাদের একটি বিষয় সবসময় মনে রাখতে হবে কোন প্রতারকের মাধ্যমে টাকা জমা দিয়ে ইতালি যাওয়ার স্বপ্ন দেখবেন না কারণ ইতালির প্রলোভন দেখিয়ে বহু মানুষকে তারা ভিটেবাড়ি শূন্য করেছে।

ইতালি যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সরকারি প্রসেস মতই যেতে হবে এছাড়া বিকল্প কোন সিস্টেম নাই। যখনই ইতালি যাওয়ার জন্য সার্কুলার দিয়ে থাকে তখন আপনাকে আবেদন করতে হবে আর এই আবেদনের মাধ্যমে আপনি সহজে ইতালি যেতে পারবেন।

ইতালি যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই ইংরেজি কোর্স আইএলটিএস সম্পূর্ণ করতে হবে। ইতালি যাওয়ার আগে আপনার অন্যান্য কিছু দেশের ভ্রমণের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

ইতালি ভিসার আবেদন ফি

ইতালি যাওয়ার জন্য আপনার বিভিন্ন ভিসার আবেদন বিভিন্ন রকম। আবেদন এটা নির্ভর করবে আপনার কোন ক্যাটাগরের ভিসা নিতে চাচ্ছেন তার ওপরে। আপনার ভিসা আবেদন পেয়ে সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

ইতালি ভিসা এজেন্সির মাধ্যমে আপনি যদি আবেদন করেন তাহলে আপনার আবেদন খরচ পড়বে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। ভিসা আবেদন করার সময় আপনার যে সকল বিষয়গুলো তারা চাইবে সকল বিষয়ে আপনার পূরণ করতে হবে।

সকল নিয়ে শর্ত মেনে নিয়ে আপনাকে ভিসার আবেদন করতে হবে এজন্য আপনার আবেদন ফরমটি সম্পন্ন ভালোভাবে পড়ে নিবেন এবং তারপর সে অনুযায়ী আপনি পূরণ করে সাবমিট করবেন।

ইতালি ভিসা চেক করার নিয়ম

আপনি অনলাইনে আবেদন করে ইতালির আমন্ত্রণপত্র পেলে যখন ভিসা গ্রহণ করবেন এটি অবশ্যই আপনার যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন হবে। আপনার ভিসাটি বৈধ কিনা অবৈধ তার যাচাই-বাছাই করার জন্য আপনাকে বাংলাদেশ প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সহযোগিতা নিতে হবে।

আপনি ইতালি যাওয়ার পূর্বে আপনার ভিসা চেক করা অত্যন্ত জরুরি কারণ আপনি ইতালিতে পৌঁছার পর যদি আপনার ভিসা সঠিক না থাকে তাহলে আপনি অনেক বিপদে পড়তে পারেন।

আমি একটি ওয়েবসাইট আপনাদের দিয়ে দিচ্ছি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার পাসপোর্ট নাম্বার ব্যবহার করে আপনার খুব সহজেই চেক করে নিতে পারবেন।

ইতালি ভিসা চেক করার ওয়েবসাইটটি হলো www.vfsvisaonline.com

শেষ কথা

পরিশেষে আমরা এ কথা বলতে চাই আপনি যদি ইতালি যেতে চান তাহলে অবশ্যই বৈধ ভিসা নিয়ে ইতালি যাবেন কারণ অবৈধ বিষয় নিয়ে ইতালি গেলে আপনি অনেক বিপদের সম্মুখীন হতে পারেন।

যখন ইতালিতে লোক নেওয়ার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে থাকে তখন আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করে যে কোন কাজের জন্য ইতালি যেতে পারেন।

এছাড়াও যদি আপনি ভ্রমণের জন্য বা ছাত্র-ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ইতালি যান তাহলে সহজে ভিসা পেতে পারেন।

সব সময় একটি বিষয় মনে রাখবেন যাতে আপনি কখনো প্রতারক চক্রের প্রতারণার জালে আটকে না পড়েন সকলে ভালো থাকবেন। আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লাগলে বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন ধন্যবাদ।

ট্যাগঃ

ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩ ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *