ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩

ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩

সুপ্রিয় পাঠক বৃন্দ আসসালামু আলাইকুম। আশা করি সকলে ভাল আছেন। আজ আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করতে যাচ্ছি ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ সম্পর্কে। ইন্ডিয়ান ভিসা পেতে গেলে আপনার যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে তা সম্পর্কে আপনারা জানতে পারবেন।

ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩
ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩

আরও জানুন  কানাডা জব ভিসা ২০২৩

এবং কিভাবে ইন্ডিয়ান ভিসার আবেদন করবেন এ সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পাবেন। আমাদের এই আর্টিকেলটির সম্পূর্ণ পড়লে আপনি ইন্ডিয়া যাওয়ার ভিসা সংক্রান্ত সকল বিষয় সম্পর্কে বুঝতে পারবেন।

আমাদের বাংলাদেশের মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য ইন্ডিয়া গিয়ে থাকে। ইন্ডিয়া আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ এবং আমাদের দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। ইন্ডিয়ার সাথে বাংলাদেশের প্রচুর ব্যবসা-বাণিজ্য সংগঠিত হয়ে থাকে।

ইন্ডিয়ার চিকিৎসা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশের রোগী প্রচুর পরিমাণে গিয়ে থাকে। ইন্ডিয়াতে পড়াশোনা করার জন্য বাংলাদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে স্টুডেন্ট গিয়ে থাকে। ইন্ডিয়াতে ভ্রমণ করার জন্য বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে পর্যটক গমন করে থাকে।

অর্থাৎ আমরা একথা নির্দ্বিধায় বলতে পারি ইন্ডিয়া যদিও আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ কিন্তু ইন্ডিয়ার অঙ্গ রাজ্যের মতই আমাদের বাংলাদেশ অনেকটাই ইন্ডিয়ার উপরে নির্ভরশীল।

আরও পড়ুন আমেরিকা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা ২০২৩

ভারত সম্পর্কে জেনে নিন

ভারত দক্ষিণ এশিয়ার একটি স্বাধীন দেশ বর্তমানে ভারতে ২৮ টি রাজ্য ও আটটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল বিশিষ্ট একটি সংসদীয় সাধারণতন্ত্র রয়েছে। ব্রিটিশদের সাথে স্বাধীনতার সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করে।

ভারতের মোট আয়তন ৩২ লাখ ৮৭,৫৯০ বর্গ কিলোমিটার। ভারতের লোক সংখ্যা ১৩৭ কোটি ৫৫ লাখ ৮৬000 প্রায় (২০২২)। ভারতের মাথাপিছু আয় ৮ হাজার ৩৫৮ মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রার নাম রুপি। সরকারি ভাষা হিন্দি ও ইংরেজি।

ভারতের বৃহত্তম নগরী ও রাজধানী নতুন দিল্লি। প্রায় ৭৯% হিন্দু ধর্ম প্রায় ১৫% ইসলাম ধর্ম এবং অন্যান্য ধর্মের লোক বসবাস করে থাকে।

আরও জানুন ইতালি যাওয়ার ভিসা খরচ ২০২৩

ভারতে ভিসার জন্য প্রয়োজনীয় পেপার্স

ভারতে ভিসা পেতে চাইলে কিছু প্রয়োজনীয় পেপারস রয়েছে যা আপনাদের ভিসা আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। ভারতের ভিসা নিতে চাইলে যে সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দরকার তা আলোচনা করা হলো।

পাসপোর্টঃ ভারতের ভিসা পাওয়ার জন্য প্রথমে একটি বৈধ পাসপোর্ট এর প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ই- পাসপোর্ট চালু হয়েছে। ই পাসপোর্ট ধারিদের জন্য ভারতের ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হয়।

বর্তমানে ই পাসপোর্ট ১০ বছর মেয়াদে হয়ে থাকে। তবে আপনি ইন্ডিয়া যাওয়ার জন্য আপনার পাসপোর্ট এর মেয়াদ কমপক্ষে ছয় মাস থাকতে হবে এবং আপনার ভিসা লেখার জন্য দুইটা পাতা খালি রাখতে হবে।

আপনি যে কাজে ভারত যেতে চান সর্বপ্রথম আপনার পাসপোর্ট থাকতে হবে এটি হচ্ছে ভারতে যাওয়ার প্রধান শর্ত। যেকোনো ভিসার প্রধান গুরুত্বপূর্ণ পেপার্স হলো পাসপোর্ট।

আরও পড়ুন দুবাই কোম্পানি ভিসা ২০২৩

ন্যাশনাল আইডি কার্ডঃ আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র ইন্ডিয়ান ভিসা পাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পেপারস। ভিসা আবেদনের সাথে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে।

জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে আপনার জন্ম নিবন্ধনের ফটোকপি জমা দিতে হবে তবে আপনার জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই অনলাইনে হতে হবে। এছাড়াও আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি জমা দিলেও চলবে।

করোনা ভ্যাকসিন এর সনদঃ ভারতে ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে করুনার টিকা প্রদানের পর সনদ সংগ্রহ করে তা আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে। একজন ব্যক্তির কমপক্ষে দুইটি টিকা গ্রহণের পর তার সনদপত্রটি সংগ্রহ করতে পারে।

করোনা টিকা গ্রহণের পর অনলাইনের মাধ্যমে করোনা ভ্যাকসিন এর সনদ সংগ্রহ করা যায়। করোনা ভ্যাকসিনের টিকা না করলে কেউ ভারতে যেতে পারবে না।

সদ্য তোলা ছবিঃ আপনারা যারা ইন্ডিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে চান আপনাদের সদ্য তোলা ২*২ ইঞ্চি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড এর ছবি তিন কপি জমা দিতে হবে। ভিসা আবেদনের সময় অবশ্যই ছবি সঙ্গে রাখবেন।

ব্যাংক সার্টিফিকেটঃ আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটি স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে। আপনার আর্থিক লেনদেনের জন্য যে ব্যাংকে একাউন্ট রয়েছে সেই ব্যাংকের অন্তত ছয় মাসের একটি স্টেটমেন্ট উত্তোলন করে ভিসা আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

আরও পড়ুন ইউরোপের কোন দেশে যেতে কত টাকা লাগে

আপনার ব্যাংক হিসাবে যাতে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা ব্যালেন্সে থাকে এরকম স্টেটমেন্ট বের করতে হবে। আপনার আর্থিক সচ্ছলতা প্রমাণের জন্য আপনার ব্যাংক সলভেন্সিং সার্টিফিকেট বা স্টেটমেন্ট অবশ্যই আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।

বিল পেমেন্ট এর কাগজঃ আপনার বাড়ির যে সকল বিল আপনি পরিশোধ করে থাকেন। যেমনঃ বিদ্যুৎ বিল/ ইন্টারনেট বিল বা গ্যাস বিল বা আপনার অন্যান্য বিলের কাগজ রয়েছে। এ সকল বিলের যেকোনো একটি কপি আপনার ইন্ডিয়ান ভিসা আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

আপনার নিজের নামে বিলের কপি নাও থাকতে পারে তবে চিন্তার কোন কারণ নেই আপনার বাড়ির অন্য কোন অভিভাবকের নামে যদি বিলের কাগজ থাকে তবুও আপনি জমা দিতে পারবেন সেখানে সে ব্যক্তির সাথে আপনার সম্পর্ক কি তা উল্লেখ করতে হবে।

আপনার পরিচয়ঃ আপনি কোন পেশার লোক আপনি কি সরকারি চাকরিজীবী/ নাকি বেসরকারি চাকরি করেন/ নাকি ব্যবসায়ী/ নাকি স্টুডেন্ট আপনার পরিচয় প্রমাণের জন্য একটি প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে।

আপনি যেকোন পেশায় নিয়োজিত থাকতে পারেন কোন সমস্যা নেই আপনার সঠিক পরিচয়টা আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে। আর আপনার পরিচয়টা প্রমাণের জন্য আপনি যে পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন সে পেশার একটি প্রত্যয়ন পত্র জমা দিতে হবে।

আপনি যদি সরকারি চাকরিজীবী হন তাহলে আপনার অফিসের কর্মকর্তা কর্তৃক আপনার প্রত্যয়ন নিতে হবে। আপনি যদি বেসরকারি চাকুরিজীবী হন তাহলে আপনার অফিস কর্মকর্তা করতে আপনার প্রত্যয়ন সংগ্রহ করতে হবে।

আর আপনি যদি স্টুডেন্ট হন তাহলে আপনার একাডেমিক বা প্রতিষ্ঠানের প্রধানের নিকট থেকে স্টুডেন্ট আইডি নিতে হবে এবং আপনি যদি ব্যবসায়ী হন তাহলে ব্যবসায়ের ট্যাট লাইসেন্স এর কপি জমা দিতে হবে।

অর্থাৎ আপনি যে পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন সে পেশার একটি সঠিক পরিচয় আপনার ভিসার আবেদনের সাথে জমা দিতে হবে।

চারিত্রিক সনদপত্রঃ আপনার নিজ এলাকার স্থানীয় কার্যালয় হতে ইউনিয়ন পরিষদ/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন হইতে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাধ্যমে আপনার চারিত্রিক সনদপত্র নিতে হবে এবং এই চারিত্রিক সনদপত্রটি ভিসা আবেদন পত্রের সাথে জমা দিতে হবে।

ভারতের ভিসা ২০২৩ আবেদন করবেন যেভাবে

ভারতের ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রেডি করে আপনি অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনের মাধ্যমে ইন্ডিয়ার ভিসার জন্য আবেদন করতে গেলে আপনার যেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে সেই ওয়েবসাইটের ঠিকানা আমরা দিয়ে দিচ্ছি।

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ইন্ডিয়ার ভিসা আবেদন করে ভিসা আবেদনের ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করবেন এবং আপনার প্রয়োজনীয় পেপারস গুলো সাবমিট করবেন।

বাড়িতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আপনি ইন্ডিয়ার ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। এছাড়াও ভারতের কোন বিষয় এজেন্সির মাধ্যমে আপনি ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। অনলাইনে ভিসা আবেদনের ওয়েবসাইটটি হলো http://www.ivacbd.com

ভারতের ভিসার প্রকারভেদ

ভারত বিভিন্ন ধরনের ভিসা প্রদান করে থাকে। ভারত একটি মহারাষ্ট্র এটি দক্ষিণ এশিয়ার একটি বৃহত্তম ও গুরুত্বপূর্ণ দেশ। এ দেশের মানুষ বিভিন্ন কাজের জন্য এসে থাকে। কোন ব্যক্তি আসে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে।

কোন কোন ব্যক্তি আসে ভ্রমণের জন্য। কোন কোন ব্যক্তি ভারতে গমন করে থাকে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য। কোন কোন ব্যক্তি ভারতে গিয়ে থাকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য। কোন ব্যক্তি ভারতে গিয়ে থাকে জব করার জন্য।

বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তি বিভিন্ন কাজে ভারতে গিয়ে থাকে সকলের জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে ভিসার ব্যবস্থা করেছে। যে কোন ব্যক্তি ইচ্ছা করলে ভারতে যেতে পারে।

ভারতে যে সকল দেশগুলো সচরাচর প্রদান করা থাকে তা হল-

  • টুরিস্ট ভিসা
  • মেডিকেল ভিসা
  • ব্যবসায়িক ভিসা
  • জব বা ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
  • স্টুডেন্ট ভিসা ইত্যাদি।

পরিশেষ

সবশেষে একথা বলা যায় আপনি যদি ভারতে যেতে চান যেকোনো কাজে তাহলে আপনার উপরের যে সকল কাগজপত্র কথাগুলো বলা হয়েছে তা অবশ্যই সঙ্গে রাখতে হবে। এছাড়াও আপনার আরো কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হতে পারে প্রয়োজন ক্ষেত্রে সে সকল কাগজপত্র গুলো আপনাকে আবেদনের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

যেমনঃ স্টুডেন্ট ভিসার জন্য যে প্রতিষ্ঠান থেকে যাবে সে প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বা স্কলারশিপ এর প্রত্যয়ন পত্র। মেডিকেল ভিসায় ভারতে গেলে যে হাসপাতাল রেফার করে পাঠাবে সে হাসপাতালের কিছু কাগজপত্র সঙ্গে রাখতে হবে।

ভারতে যাওয়ার প্রসেস সম্পর্কে আপনারা নিশ্চয়ই ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন তারপরও যদি কারো বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন আমরা উত্তর দিতে চেষ্টা করব।

ট্যাগঃ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩ ইন্ডিয়ান ভিসা প্রসেস ২০২৩

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *