আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজ আপনাদের সাথে জানাবো, একটি জনপ্রিয় ব্যবসার আইডিয়া সেটি হচ্ছে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া। আপনি যদি একজন শিক্ষিত ব্যক্তি হয়ে থাকেন এবং কম্পিউটার কোর্স সম্পন্ন করে থাকেন তাহলে আপনারা চাকরির পিছনে ছুটাছুটি না করে নিজের বাসায় বা নিজের এলাকায় একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করতে পারেন।
বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার গুলোর অনেক চাহিদা রয়েছে কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে চাকরির বাজার কম্পিউটার শেখা ছাড়া কোন উপায় নেই। এবং দেশের শিক্ষার্থীদের এবং বেকার যুবকদের কম্পিউটার শিক্ষা প্রদান করে আপনি অনেক অগ্রগতি করতে পারবেন আপনার নিজের দেশের জন্য।
আরও পড়ুন বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা [ 22টি আইডিয়া 2022 ]
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা আপনি অল্প পুজিতে শুরু করতে পারবেন এ ব্যবসাতে আপনি ভালো টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন কম্পিউটার শিখিয়ে। কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার জন্য আপনাকে অল্প কিছু টাকা খরচ করতে হবে ইলেকট্রনিক্স জিনিস কেনার জন্য।
আপনি যদি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা করতে আগ্রহী থাকেন। তাহলে আমাদের দেওয়া আর্টিকেলটি ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন তাহলেই বুঝতে পারবেন কিভাবে একটি ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করতে হয় এবং কি কি জিনিসের প্রয়োজন পড়ে এবং কত টাকা দরকার হয় একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার জন্য।
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া
আপনি যদি একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এর বিষয়ে কিছু সঠিক তথ্য জেনে নিতে হবে। ব্যবসা করতে কত টাকা প্রয়োজন এবং কি কি ইলেকট্রনিক্স মালামাল আপনাকে কিনতে হবে এবং কিভাবে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করবেন।
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার তৈরি করার কিছু প্রয়োজনীয় টিপস-
- কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে।
- কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হবে।
- কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এর জন্য আপনাকে কিছু কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনতে হবে।
- কম্পিউটারের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
- কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র।
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি জায়গা নির্ধারণ করতে হবে
আপনি যদি নিজের এলাকাতে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা শুরু করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই একটি সঠিক জায়গা নির্ধারণ করতে হবে। আপনাকে বুঝতে হবে, যে জায়গায় আপনি একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করলে মানুষ সহজেই আপনার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যেতে পারে। কোন ঝামেলা ছাড়া এরকম একটি সঠিক ও সুন্দর জায়গা দেখে আপনাকে ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করতে হবে।
আপনি যে জায়গায় ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা শুরু করতে যাচ্ছেন সেখানে জায়গা নির্ধারণ করার পর অবশ্যই আপনাকে একটি ঘর উত্তোলন করতে হবে সেই ঘরটি টিনের হতে পারে কিংবা বিল্ডিং হতে পারে।
আপনার ট্রেনিং সেন্টারের যেমনই হোক না কেন সেখানে অবশ্যই পরিষ্কার পরিছন্নতা থাকতে হবে, যাতে করে আপনার শিক্ষার্থীরা সেখানে কম্পিউটার ট্রেনিং অনেক আনন্দের সাথে করতে পারে।
আপনি যদি একটি সঠিক জায়গা নির্ধারণ করতে পারেন তা হলে সেখানে কম্পিউটার শেখার জন্য অনেক শিক্ষার্থী কোর্স করতে আগ্রহী থাকবে।
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হবে
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সেই কম্পিউটার রুমে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করতে হবে। কারণ আপনি যেহেতু ইলেকট্রনিক যন্ত্র কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার দিতে চাচ্ছেন সেহেতু আপনাকে অবশ্যই বিদ্যুৎ কানেকশন নিতে হবে বিদ্যুৎ ছাড়া আপনি ট্রেনিং সেন্টার পরিচালনা করতে পারবেন না।
আপনার বাড়ির আশেপাশে যদি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেন, তাহলে আপনার নিজের বাড়ি থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে নিতে পারবেন। আর যদি বাজারের কোন জায়গাতে আপনি, আপনার কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করতে চান?
তাহলে অন্যের কারো কাছ থেকে আপনি বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়ে নিবেন আর না হলে অল্প টাকা খরচ করে আপনি বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করে একটি বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করে নেবেন কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের জন্য।
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার এর জন্য আপনাকে কিছু কম্পিউটার বা ল্যাপটপ কিনতে হবে।
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার সবথেকে প্রয়োজনীয় জিনিসটি সেটি হচ্ছে কিছু ভালো কোয়ালিটির কম্পিউটার বা ল্যাপটপ। আপনি যে সকল ডিভাইস দিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন সেই কম্পিউটার বা ল্যাপটপ গুলো অবশ্যই একটু উন্নত মানের হতে হবে।
বর্তমান সময়ে কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ অল্প দামে ক্রয় করা যায়। আপনি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার প্রথম অবস্থায় তিন থেকে চারটি কম্পিউটার কেনার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি চারটি কম্পিউটার কিনতে চান তাহলে বর্তমান সময়ে আপনার মোটামুটি টাকা খরচ হতে পারে 60 থেকে 70 হাজার টাকা আর যদি একটু ভালোভাবে কম্পিউটার কিনতে চান তাহলে এক লক্ষ টাকা আপনার কম্পিউটার কিনার জন্য খরচ করতে হবে।
আপনি যখন একসঙ্গে তিন থেকে চারটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে রাখতে পারবেন তখন ছাত্ররা আগ্রহী হবে যে আপনি আপনার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানটি অনেক জাঁকজমক করে রেখেছেন এবং শিক্ষার্থীরা কোর্স করতে আগ্রহী থাকবে এবং অন্যকে কম্পিউটার শেখাতে আমন্ত্রণ জানাবে।
কম্পিউটারের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করতে হবে।
বর্তমান সময়ে কম্পিউটার ট্রেনিং করানোর পাশাপাশি ইন্টারনেটের বিভিন্ন কাজগুলো কম্পিউটারের মাধ্যমে শেখানো হয়। আপনি যদি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করে থাকেন তবে সেখানে শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের কিছু কাজ অবশ্যই শিখতে চাইবে।
যেমনঃ অফিশিয়াল কিছু কাজ রয়েছে। যেমন- ইমেইল করা, অনলাইন পত্রিকা পড়া, অনলাইনে স্কুল কলেজের রেজাল্ট বের করা ইত্যাদি। তাই আপনাকে অবশ্যই কম্পিউটারে ইন্টারনেট কানেকশনের ব্যবস্থা করতে হবে বর্তমান সময়ে আমরা জানি ওয়াইফাই ইন্টারনেট ব্যবহার করা উত্তম কারণ আপনি যদি ওয়াইফাই ইন্টারনেট কানেকশন ব্যাবহার করেন তাহলে প্রতি মাসে মাত্র ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা দিয়ে আপনি ওয়াইফাই কানেকশন ব্যাবহার করতে পারবেন।
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র
আপনার কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে উক্ত যাবতীয় জিনিস গুলো স্থাপন করার পর অবশ্যই আপনাকে ট্রেনিং সেন্টার সুন্দর করে সাজানোর জন্য কিছু আসবাবপত্র কিনতে হবে যেমন কম্পিউটার টেবিল, চেয়ার প্রয়োজনীয় ছোট ছোট কিছু আসবাবপত্র।
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টারে যে কাজগুলো শেখানো হয়
আপনি যদি ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেন এবং সেখানে শিক্ষার্থী ভর্তি করেন তাদেরকে অবশ্যই বিশেষ কিছু করাতে হবে, যেগুলো করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা এবং চাকরিতে যুক্ত হতে পারে।
আমরা জানি কম্পিউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি যদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার কোর্স করেন তাহলে তারা স্কুল কলেজ গুলোতে যে আইসিটি সাবজেক্ট রয়েছে সেটি কেউ অনেক ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারবে কারণ কম্পিউটার অধিকাংশই কাজ হচ্ছে আইসিটি বই গুলোতে।
আপনার কম্পিউটারে শিক্ষার্থীদের যে কাজগুলো শেখাবেন-
- মাইক্রোসফট অফিস ওয়ার্ড
- মাইক্রোসফট অফিস এক্সেল
- মাইক্রোসফট অফিস পাওয়ার পয়েন্ট
- মাইক্রোসফট অফিস এসেস্
- লোগো ডিজাইন
- গ্রাফিক ডিজাইন
- ওয়েব ডিজাইন ইত্যাদি
- ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিং
- ভিডিও এডিটিং
- এডোবি ফটোশপ ইত্যাদি
আপনার ট্রেনিং ছাত্রের যদি উক্ত কাজগুলো শেখাতে পারেন তাহলে শিক্ষার্থীরা অনেক আগ্রহী থাকবে কম্পিউটার কোর্স গুলো করার জন্য এই কোর্স থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
আরও জানুন
- ফ্রিলান্সার কি? কিভাবে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়া যায়
- শেয়ারইট অ্যাপস : শেয়ারইট সফটওয়্যার ডাউনলোড
- প্রফেশনাল ইউটিউব থাম্বনেইল তৈরির সেরা ওয়েবসাইট
- ৫ টি সেরা গুগল ক্রোম এক্সটেনশনের কালেকশন
- গুগল ট্রান্সলেট ইংলিশ টু বাংলা অ্যাপ ডাউনলোড
- মোবাইল দিয়ে কার্টুন ভিডিও তৈরি করার অ্যাপ
আমরা জানি, বর্তমান সময়ে যারা কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেছে তারা প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে 3000 থেকে শুরু করে 5000 টাকা পর্যন্ত কোর্স ফি নিয়ে থাকে। আপনি যদি এরকম ভাবে প্রতিদিন তিন থেকে চারটি ব্যাছ তৈরি করতে পারেন, তাহলে দেখা যাবে আপনার ব্যবসাটি অনেক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
শেষ কথাঃ
বন্ধুরা আমাদের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে জানানো হলো কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে। আপনি যদি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা করতে আগ্রহী থাকেন তাহলে আমাদের দেয়া তথ্যগুলো অনুসরণ করে আসবে একটি কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করে ফেলুন।
আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসা করার আইডিয়া জানিয়ে দিন ধন্যবাদ।
ট্যাগঃ কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়াকম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া
কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার ব্যবসার আইডিয়া