মোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদান
বিশ্বের সকল মানুষের কাছে মোবাইল ফোন হলো এখনো সবচেয়ে প্রয়োজনীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ বস্তু। মোবাইল ফোন পৃথিবীর সকল মানুষের কাছে এখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মানুষ একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মানুষ পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত যোগাযোগ, ইমেইল বার্তা নানা ধরনের অসংখ্য সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে যাচ্ছে।
মোবাইল ফোন মানুষের কাছে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যারা এখন আর অন্য কিছু ভাবাই যায় না। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এখন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে সারা বিশ্বকে নিয়ে এসেছে এক হাতের মুঠোয়। সারাবিশ্বে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত কোথায় কি হচ্ছে, কোন অঞ্চলের সংস্কৃতি কেমন, কোন অঞ্চলের মানুষ কিভাবে বসবাস করতেছে, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি, শিক্ষা, চিকিৎসা সকল ক্ষেত্রে মোবাইল ফোনের ব্যবহার হচ্ছে।
মোবাইল আবিষ্কারের পূর্বে মানুষ ভাবতে পারে নাই যে এভাবে একে অন্যের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবে এবং বিশ্বব্যাপী সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে। মোবাইল ফোন আবিষ্কার এর মাধ্যমে বিশ্বের এক যুগান্তকারী আধুনিকতার সৃষ্টি হয়েছে।
মোবাইল ফোন আবিষ্কার এর মাধ্যমে সারাবিশ্বে কোটি কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছে। মোবাইল ফোন বিশ্বে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে, মোবাইল ফোন সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষের ভেতরে এক ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করেছে মোবাইলফোনের মাধ্যমে মানুষের আন্তরিকতা পূর্বের তুলনায় অনেক গুণ বৃদ্ধি করেছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষা-সংস্কৃতি, চিকিৎসা সহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা হয়েছে।
আমরা মোবাইলে ফোন ব্যবহার করে মোবাইলের নানা রকম সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করছি কিন্তু আমাদের মোবাইল সৃষ্টির ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নেওয়া প্রয়োজন। দীর্ঘদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে অদম্য চেষ্টায় যার মাধ্যমে আমরা মোবাইলফোন আজ বিশ্বব্যাপী ব্যবহার করেছে তার সম্পর্কে কিছুটা আমাদের জানা থাকা প্রয়োজন।
আসুন জেনে নেই মানুষের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান মোবাইল ফোনের আবিষ্কারক ও মোবাইল ফোন আবিষ্কার করতে যে সকল গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো লাগে তা সম্পর্কে, নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-
মোবাইল ফোন
মোবাইল ফোন হল এমন এক ধরনের যন্ত্র যা দিয়ে সহজে যোগাযোগ করা যায় এবং এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বহন করা যায়। মোবাইল ফোনে যোগাযোগের জন্য বেতার তরঙ্গ ব্যবহৃত হয়ে থাকে। মোবাইল ফোনকে সেলফোন, হ্যান্ড ফোন বা মুঠোফোন নামেও অভিহিত করা হয়।
মোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদান আবিষ্কার
মটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত ডঃ মার্টিন কুপার সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন। এর সহযোগী হিসেবে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করেন জন ফ্রান্সিস মিচেল। তারা দুজনে ১৯৭৩ সালে এপ্রিলে প্রথম সফলভাবে একটি প্রায় ২ কেজি ( ৪.৪ পাউন্ড) ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন। তাদের দু’জনকেই মোবাইল ফোন উদ্ভাবকের প্রথম মর্যাদা দেয়া হয়।
প্রকারভেদ
মোবাইল ফোন সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে।
- বার ফোন/ বাটন ফোন
- স্মার্ট ফোন/ অ্যান্ড্রয়েড ফোন
বার ফোন বা বাটন ফোনঃ যে সকল ফোনে বাটন/ কিপ্যাড ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাকে বার ফোন/ বাটন ফোন বলা হয় । আবিষ্কারের শুরু থেকে অধ্যবধি পর্যন্ত রয়েছে বাটন ফোনের অফুরন্ত চাহিদা রয়েছে বিশ্বব্যাপী।
স্মার্ট /এন্ড্রয়েড ফোনঃ ফোনে কথা বলার জন্য বেতার তরঙ্গের সঙ্গে কম্পিউটার প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় স্মার্টফোনে। সাধারণ মোবাইলে চাইতে অনেক বেশি অগ্রসর সুবিধা রয়েছে স্মার্টফোনে। যেমন- মাল্টিমিডিয়া, মেসেজ সেবা, ইমেইল ,ইন্টারনেট ,ব্লটুথ, ক্যামেরা, গেমিং ,সফটওয়্যার ,অ্যাপস, ভিডিও কল ইত্যাদি।
আরও জানুন
- স্মার্ট ফোনের উপকারিতা ও অপকারিতা
- মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার কৌশল
- কিভাবে শুরু করবেন অনলাইন ইনকাম
- ৫জি নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ
- ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে বিস্তারিত এখানে
- কর্মক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার
- মোবাইল থেকে ইনকাম করার সহজ উপায়
- ঠোঁট, হাত ও পায়ের গোড়ালি ফাটা থেকে বাঁচার উপায়
- ল্যাপটপ দিয়ে কি কি কাজ করা যায় [আসল পথ]
- অনলাইন ইনকামের ট্রাস্টেড সাইট
বাণিজ্যিক সংস্করণঃ মটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০ এক্স (Dynamic TAC 8000X) নামক সর্বপ্রথম মোবাইল ফোনের বাণিজ্যিক সংস্করণ হয়ে বাজারে বিক্রি করা হয় ১৯৮৩ সালে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১১ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মোবাইল ফোনের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয় এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৬ বিলিয়ন এর অধিক হয়ে গেছে। এখন বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮৮%পার্সেন্ট মোবাইল ফোনের ব্যবহারকারী।
আরও জানুন 5G এখন বাংলাদেশে
মোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদানঃ
উপাদান
সকল মোবাইল ফোনেই পাঁচটি প্রাথমিক অপরিহার্য উপাদান রয়েছে। নির্মাতারা ফোনকে বিশেষায়িত করে অনেক আকর্ষণীয় করলেও এই পাঁচটি উপাদানের কোন পরিবর্তন করেন না। এগুলো–
তড়িৎ কোষ বা ব্যাটারি
ইনপুট পদ্ধতি কিপ্যাড বা টাচস্ক্রিন
মোবাইল ফোন সেবা যা দ্বারা ব্যবহারকারী বার্তা পাঠাতে পারে এবং কথা বলতে পারে
জিএসএম ফোনগুলিতে সিম কার্ড থাকে। আর সিডিএমএ ফোনে রিম কার্ড থাকে
প্রতিটি ফোনে আই এম ই আই (IMEI)নাম্বার থাকে যার সাহায্যে ওই ফোনটিকে শনাক্ত করা যায়।
পরিশেষে
বিশ্ব বিখ্যাত মটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত মার্টিন কুপার এবং এর সহযোগী জন ফ্রান্সিস মিচেল মোবাইল ফোনের সৃষ্টিকারী এবং আবিষ্কারক। যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন দুজন মানুষকে স্মরণ করা রাখবে পৃথিবীর লোকজন যাদের অবদান ভোলার মত নয়, যাদের অবদান যুগ যুগ ধরে পৃথিবীর শেষ লগ্ন পর্যন্ত টিকে থাকবে মানুষের উপকারী হিসাবে মোবাইল ফোন।
ট্যাগঃ মোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদানমোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদান মোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদানমোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদান মোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদান মোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদান মোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদান মোবাইল ফোনের আবিষ্কার ও এর উপাদান