নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ?
আপনি যদি ব্লগিং এবং অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে কাজ করেন, তাহলে আপনাকে অবশ্যই নিস/টপিক বাছাই করে নিতে হবে। আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে আলোচনা করব নিস সম্পর্কে। অনলাইনে এমন অনেকেই আছেন যারা অনেক কিছু জানেন এবং অনলাইন বিষয় নিয়ে কাজ করছেন। আবার অনেকেই আছেন একেবারেই নতুন। কিছু জানেন না অনেকটা এরকম কিন্তু শেখার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
যারা অনলাইনে কাজ করতে চান ব্লগিং নিয়ে তাহলে তাদের অবশ্যই শুরুতেই জেনে নিতে হবে নিস সম্পর্কে। আমরা যদি ব্লগিং শুরু করতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই টপিক এর বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে তাই চলুন বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইট থেকে জেনে নেওয়া যাক।
আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের জানাচ্ছি নিস মানে কি এবং কিভাবে ব্লগের জন্য বাছাই করতে হয় এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার জন্য নিচে দেওয়া তথ্যগুলো ধাপে ধাপে অনুসরণ করুন।
নিস মানে কি ?
নিস হচ্ছে এমন একটি বিষয় যখন আমরা ব্লগিং শুরু করি তখন অবশ্যই আমরা যে কোন একটি বিষয় বেছে নেই, টপিক বেছে নেই। নিস এর মানে হচ্ছে টপিক। আপনারা ব্লগিং করার জন্য যে টপিক বাছাই করবেন সেটি দিয়ে আপনি যদি কাজ শুরু করে দিতে পারেন, তাহলে অবশ্যই ব্লগিং-এ আপনি সফল হতে পারবেন এবং প্রচুর টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছে শিক্ষাবিষয়ক ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে আরও আলাদা বিভিন্ন ধরনের লেখালেখি কাজ করে এটি কিন্তু একই নিসের মধ্যে পড়ে না। তাই আপনি ব্লগিং করার জন্য যে টপিক বাছাই করবেন সেটা অপেক্ষার পর আপনি আর্টিকেল লেখার চেষ্টা করবেন সবসময়।
আমরা আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন নিস মানে কি, যদি না বুঝে থাকেন তাহলে আরো একবার তথ্য গুলো পড়েন।
কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ?
আপনি যদি ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে চান, তাহলে আমরা আপনাকে এখানে দুই ভাবে নিস বাছাই করার বিষয়ে বলব। একটি হচ্ছে যারা অল্প অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তারা যেভাবে টপিক নির্বাচন করবেন। আর যারা অভিজ্ঞ ব্লগার তারা যেভাবে নিস নির্বাচন করবেন।
যারা অভিজ্ঞ ব্লগার তারা টপিক বা নিস যেভাবে নির্বাচন করবেন?
প্রথমে আমরা তাদের জন্য একটি মেসেজ দিব যারা অলরেডি এক্সপার্ট যেমন মনে করুন গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ভিডিও এডিটর, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভলপার, মেডিকেল স্টুডেন্ট বা এধরনের পাঠকদের জন্য। আমরা আপনাকে প্রথমে কিছু উপদেশ দিচ্ছি আর যেটা হয়েছে আপনার কাজ করার জন্য কোন নিস বাছাই করা প্রয়োজন নেই।
আপনি যদি মেডিকেল সায়েন্স এর ছাত্র হয়ে থাকেন একজন মেডিকেল ডাক্তার হন সেক্ষেত্রে আপনি একটি হেলথ টিপস রিলেটেড ওয়েবসাইটগুলো তৈরি করতে পারেন। আপনি যদি একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হয়ে থাকেন তাহলে ডিজাইনার বিষয়ে এই সফটওয়্যার ডিজাইনের উপর আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। যেখানে আপনারা স্ক্রিনের উপর বিভিন্ন ধরনের আর্টিকেল পাবলিশ করবেন।
আপনি হয়তো মেডিকেল চাকরি করছেন হয়তো আপনি ফ্রিল্যান্সিং করছেন ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তার পরও কিন্তু আপনি অনেক কিছু সময় পেয়ে যান সবার কাছে তো আর এরকম থাকে না। অনেকের কাছে অনেক ক্লায়েন্ট থাকে আবার অনেকের কাছে কোন ক্লান্তি থাকেনা কিন্তু তার মধ্যে ভালো স্কুল আছে যার কাছে অনেক লাইন নেই।
সুতরাং এ ক্ষেত্রে বাড়তি সময়টুকু কাজে লাগিয়ে আপনারা অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর লেখালেখি করে মানুষদের সেবা প্রদান করতে পারবেন এবং নিজেও টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন।
এছাড়া আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজ করতে চান তাহলে কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে হয় গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য কোন কোন বিষয়গুলো নজর দিতে হবে, কি কি প্রয়োজন হতে পারে, গ্রাফিক ডিজাইন শেখার জন্য কোন কোন কালার গুলো সবচাইতে জনপ্রিয় পোস্টগুলো সবচাইতে ভালো কিভাবে ব্যবহার করতে হয় কিভাবে সেগুলো টুলস পরিচিতি জেনে নিতে হবে।
আমরা মনে করি, এখানেই গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য ভালো ভালো কিছু টপিক আপনাকে বলে দিয়েছি যাতে ডিজাইনারদের জন্য শুধু একটা টপিক দিয়ে আপনাদের উদাহরণ দিয়েছি আপনারা যে কোন একটি টপিক নিয়ে বা নিস নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।
এরকমভাবে আপনি একজন মেডিকেল ডাক্তার আপনি একজন ইঞ্জিনিয়ার আপনি একজন শিক্ষার্থী আপনি যেকোন ব্যবসায়ী কোন একটি কাজ করছেন আমরা বলব কারণ হিসেবে নিন আপনি যে বিষয়গুলো অলরেডি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন দিয়ে পারেন ঠিক সেই বিষয়গুলো শাখার জন্য কিন্তু অনেকেরই প্রয়োজন পড়ে এর জন্য আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ ঠিক সে বিষয়ে লেখা শুরু করে দিন।
আপনার একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে বিভিন্ন টিপস টিউটোরিয়াল ইত্যাদি দেওয়ার মাধ্যমে অনেকের সহযোগিতা করুন ব্লগিং হচ্ছে সহযোগিতা করার এখানে আপনি ব্লগিং করার পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে পারবেন এবং মানুষকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য প্রদান করতে পারবেন এবং সেই সকল তথ্য মানুষকে শেয়ার করে সেখান থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করার সুযোগ পেয়ে যাবেন।
আমরা আশা করি আপনি বুঝতে পারছেন যে আপনি যদি একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে ব্লগার টপিক হিসেবে আপনারা এই কাজগুলো সহজেই করতে পারেন।
যারা অল্প অভিজ্ঞতা সম্পন্ন তারা যেভাবে টপিক বা নিস নির্বাচন করবেন?
আপনি যদি একটু অল্প অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে আপনারা যেভাবে টপিক বার্নিশ নির্বাচন করবেন। সে বিষয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব। একেবারেই যারা নতুন কোনো কাজ জানেন না কিন্তু কাজ শেখার চেষ্টা করছেন তারা কিভাবে ব্লগিং করবেন যারা একেবারেই নতুন বা কোন বিষয়ে সেরকম ভাল দক্ষ হয়ে ওঠেন নি তাদের মধ্যে প্রায় একটি সমস্যা দেখা যায় সেটা হচ্ছে এরকম যে আমি কোন টপিক বা নিস নির্বাচন করবো কোন টপিকে লাভবান হওয়া যায় লেখালেখি করে পাবলিশ করলে।
যারা এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশি চিন্তা ভাবনা করে তারা ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারে না আপনার জন্য আমরা এই পরামর্শ দিব যে কোন টপিক নির্বাচন করা অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ করা আপনার ওয়েবসাইট এফিলিয়েট লিংক যুক্ত করা এগুলো কথা একদমই ভুলে যান এগুলো ব্লগিং না ব্লগিং হচ্ছে আপনার একটি ওয়েবসাইট আপনি যেকোন বিষয়ে লেখালেখি করতে পারবেন কিন্তু একটি ভালো টপিক নির্বাচন করা আসলে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কিন্তু আপনি যেহেতু একেবারেই নতুন এর জন্য আপনি বুঝতে পারবেন না কোনটা আপনার জন্য ভালো হবে।
আপনার তথ্যের জন্য আমরা বলে দিচ্ছি পৃথিবীতে যতগুলো টপিক বা নিস রয়েছে বা যতগুলো টপিক আছে তার সকল টপিকের মার্কেট ডিমান্ড রয়েছে যে কোন টপিক নিয়ে আপনি কাজ করলে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে রেংকিং করতে পারবেন ভাল প্রফিট জেনারেট করতে পারবেন ভাল মানের একটি ক্যারিয়ার তৈরি করার সুযোগ করে নিতে পারবেন কিন্তু এ পর্যন্ত যাওয়ার আগে আপনাকে অবশ্যই বেসিক লেভেল টা সম্পন্ন করে নিতে হবে ক্লাস 12345 এগুলো বাদ দিয়ে ক্লাস সিক্সে আপনি ভর্তি হতে পারবেন না তাহলে আপনি কিছুতেই একলাফে ওপরে এগোতে পারবেন না। তাই আপনি যদি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে আপনাকে শুরুতেই একটি ভাল নিস নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে হবে।
ব্লগের জন্য জনপ্রিয় কিছু নিস বা টপিক
- টেকনোলজি বিষয়ক
- গ্রাফিক্স ডিজাইন বিষয়ক
- ইউটিউব চ্যানেল বিষয়ক
- বিভিন্ন ধরনের গেমিং প্রোগ্রামিং নিয়ে
- ওয়েব ডেভলপমেন্ট বিষয়ক
- মারকেটিং বিষয়ক
- সোশ্যাল মিডিয়া বিষয়ক ইত্যাদি
আমরা ওপরের অংশে যে টপিকগুলো আপনাকে দেখেছি এগুলো বাইরে আরও অনেক ধরনের টপিক রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করে আপনারা সহজেই ব্লগিং শুরু করে দিতে পারবেন।
আরও জানুন
- নতুন ব্লগে দ্রুত গুগল এডসেন্স পাওয়ার উপায়
- ঘরে বসে অনলাইনে টাইপিং শেখার সফটওয়্যার
- Expired domain কি ? কেন একটি এক্সেপায়ার ডোমেইন কিনবেন ?
- কোন সফটওয়্যার দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়?
- গুগল এডসেন্স পাওয়ার ১০ টি নির্ভুল উপায়
- ইউটিউবে গুগল এডসেন্স অ্যাপ্রভাল পেতে করণীয়
- চাকরির পাশাপাশি ব্যবসা করার কৌশল
- স্মার্টফোনের জন্য ১১ টি প্রয়োজনীয় এন্ড্রয়েড অ্যাপস ২০২২
শেষ কথাঃ
তো বন্ধুরা আমাদের এই আর্টিকেল থেকে আপনাদের জানানো হলো নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয়। আপনি যদি আমাদের দেওয়া তথ্যগুলো সঠিকভাবে অনুসরণ করে থাকেন তাহলে আপনি এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে গেছেন।
আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি যদি একটি ব্লগ টপিক বাছাই করে নিয়ে কাজ শুরু করেন তাহলে আশা করা যায় আপনি সফল একজন ব্লগার হতে পারবেন এবং সেখান থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।
আমাদের আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার যদি এই আর্টিকেল বিষয়ে কোন মতামত থাকে তাহলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।
ট্যাগঃ নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ? নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ?নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ? নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ? নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ?
নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ? নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ?নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ? নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ? নিস মানে কি ? কিভাবে ব্লগের জন্য নিস বাছাই করতে হয় ?