এইচএসসি পরীক্ষা/২২ অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র(বাংলাদেশের কৃষি)

এইচএসসি পরীক্ষা/২২ অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র(বাংলাদেশের কৃষি)

সুপ্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা যারা এইচ এস সি পরীক্ষা-২০২২এ অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছ তোমাদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। যারা এইচ এস সি পরীক্ষা-২২ এ অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষা দেবে তোমাদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আকারে বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্রের  ৬ টি অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর দেয়া হলো।

এখানে এইচএসসি পরীক্ষা/২২ অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র(বাংলাদেশের কৃষি) আলোচনা করা হলঃ

অধ্যায়ঃ বাংলাদেশের কৃষি

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তরঃ

প্রশ্ন১ঃ কৃষি কাকে বলে?

উত্তরঃ উৎপাদনের ফসল ,বনায়ন ,পশুপাখি, মাছ চাষ করতে মাটির জৈবিক ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনাকে কৃষি বলা হয়।

প্রশ্ন২ঃ কৃষি জোত কাকে বলে?

উত্তরঃ যতটুকু জমির উপর কৃষি খামার পরিচালনা করা হয় তাকে কৃষি জোত বলে।

প্রশ্ন৩ঃ কৃষি কাঠামো কি?

উত্তরঃ কৃষি পণ্য উৎপাদনের পদ্ধতি ও উদ্দেশ্য, কৃষি কাজের সাথে জড়িত মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা ইত্যাদির সমন্বিত রুপকে কৃষি কাঠামো বলে।

প্রশ্ন৪ঃ কৃষির উপখাত সমূহ কি কি?

উত্তরঃ কৃষির উপখাত চারটি। যথাঃ ফসল উপখাত, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগী পালন , মৎস্য চাষ ও বনায়ন।

প্রশ্ন৫ঃ জীবন নির্বাহী খামার কি?

উত্তরঃ যে খামারে পারিবারিক শ্রম ব্যবহার করে পরিবারের ভরণ পোষণের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন কৃষি ফসল উৎপাদন করা হয়ে থাকে তাকে জীবন নির্বাহি খামার বলে।

প্রশ্ন৬ঃ বাণিজ্যিক খামার কাকে বলে?

উত্তরঃ যে খামারের আয়তন বড় হয়ে থাকে , বহু শ্রমিক নিয়োগ করা হয়ে থাকে এবং উৎপাদন ব্যবস্থায় উদ্বৃত্ত সৃষ্টির মাধ্যমে সর্বোচ্চ মুনাফা অর্জন করা যায় সেই খামারকে বাণিজ্যিক খামার বলা হয়।

প্রশ্ন৭ঃ কৃষি পণ্য বিপণন কি?

উত্তরঃ কৃষি পণ্যের বিপণন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে উৎপাদিত কৃষিপণ্য উৎপাদনকারীর নিকট থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছানোর যাবতীয় কার্যক্রমকে বলা হয়।

প্রশ্ন৮ঃ কৃষি ঋণ কি?

উত্তরঃ কৃষকরা তাদের কৃষি কাজ পরিচালনার জন্য যে ঋণ গ্রহণ করে থাকে তাকে কৃষি ঋণ বলা হয়।

প্রশ্ন৯ঃ কৃষি ঋণের অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস কি কি?

উত্তরঃ কৃষি ঋণের অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎস হচ্ছে- ১। আত্মীয়-স্বজন ,২। বন্ধুবান্ধব ,৩।গ্রাম্য ব্যবসায়ী ও দোকানদার , ৪।গ্রামের বিত্তশালী ব্যক্তি প্রভৃতি।

প্রশ্ন১০ঃ শস্য বহুমুখীকরণ কি?

উত্তরঃ একই জমিতে বা কৃষি খামারে বিভিন্ন মৌসুমে এক ফসলের পরিবর্তে বিভিন্ন ফসল উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকে শস্য বহুমুখীকরণ বলা হয়।

প্রশ্ন১১ঃ কৃষি প্রযুক্তি কি?

উত্তরঃ যে বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান ,কলাকৌশল এবং যন্ত্রপাতি প্রয়োগ করে তুলনামূলকভাবে স্বল্প সময়ে, স্বল্প ব্যয়ে প্রতিকূল পরিবেশে কৃষি ফসল বা উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যায় তাকে কৃষি প্রযুক্তি বলে।

প্রশ্ন১২ঃ পরমাণু শক্তি কি?

উত্তরঃ পারমাণবিক শক্তি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা পারমাণবিক পর্যায়ে বিভিন্ন বিক্রিয়ার কারণে যে শক্তি উৎপন্ন হয় তাকে বুঝায়।

প্রশ্ন১৩ঃ বায়োটেকনোলজি /জৈব প্রযুক্তি কাকে বলে?

উত্তরঃ কোন উদ্ভিদ বা প্রাণী থেকে প্রাপ্ত কোন বস্তুকে প্রযুক্তির সাহায্যে মানুষের কল্যাণে ব্যবহার করার পদ্ধতিকে বায়োটেকনোলজি বলা হয়।

প্রশ্ন১৪ঃ বৈশ্বিক উষ্ণতা কি?

উত্তরঃ কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন ইত্যাদি গ্যাস সমূহের নির্গমনের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়াকে বৈশ্বিক উষ্ণতা বলা হয়।

প্রশ্ন১৫ঃ উফশী প্রযুক্তি কি?

উত্তরঃ উফশী প্রযুক্তি হল গবেষণার মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ ও অন্যান্য আধুনিক কৃষি উপকরণের সাহায্যে কৃষি কাজ পরিচালনা কে বুঝায়।

আরও জানুন এইচএসসি পরীক্ষা/২২ অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র(বাংলাদেশের শিল্প)

নিম্নে এইচএসসি পরীক্ষা/২২ অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র(বাংলাদেশের কৃষি) – এর

অনুধাবনমূলক প্রশ্নঃ

প্রশ্ন১ঃ কৃষি জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করে- ব্যাখ্যা করো?

উত্তরঃ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতির ভিত্তি হলো কৃষি। যা জাতীয় উন্নয়নে ব্যাপক ভাবে সহায়তা করে । বাংলাদেশের মোট শ্রমশক্তির প্রায় ৪০% লোক কৃষি কাজে নিয়োজিত। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জিডিপিতে সমন্বিত কৃষি খাতের অবদান ছিল ১৩.৬০ ভাগ। তাছাড়া শিল্পের প্রয়োজনীয় কাঁচামাল কৃষি হতে আসে। আবার বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন করে বিভিন্ন কৃষি সামগ্রী মাছ-মাংস , পশুর চামড়া ইত্যাদি রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা যায় । যা একটি দেশের জাতীয় উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বলা যায়, কৃষি জাতীয় উন্নয়নে সহায়তা করে।

প্রশ্ন২ঃ চিংড়িকে “সাদা -সোনা”  বলা হয় কেন?

উত্তরঃ বর্তমান সময়ে চিংড়ি বাংলাদেশের রপ্তানি তালিকায় উচ্চ স্থান দখল করে নিয়ে বিপুল অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা করেছে বিধায় একে সাদা সোনা বলা হয়। সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলা গুলোর নিম্ন ভূমিতে বর্তমানে পরিকল্পিত ভাবে চিংড়ি চাষ হচ্ছে । অনেকের কাছেই আত্মকর্মসংস্থান ,অর্থ উপার্জন ও বৈদেশিক মুদ্রার একটি উপায় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে । সাধারণত অভ্যন্তরীণ বাজারে চিংড়ি খাদ্য পণ্য হিসেবে কেনা- বেচা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে হিমায়িত খাদ্য সামগ্রী হিসেবে চিংড়ি রপ্তানি করা হয়। তাই চিংড়িকে সাদা সোনা বলা হয়।

প্রশ্ন৩ঃ মধ্যস্বত্ব ভোগীদের দৌরাত্ম্য কারণেই কৃষকগণ ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়না- ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় দালাল ,ফরিয়া, ব্যাপারী, মজুদদার ,আড়তদার ইত্যাদি মধ্যবর্তী ব্যবসায়ী শ্রেণীকে মধ্যস্বত্বভোগী বলা হয়। এসকল ব্যবসায়ীরা তৃণমূল কৃষকদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে কৃষি পণ্য ক্রয় করে বাজারে উচ্চ মূল্যে চূড়ান্ত ভোক্তাদের নিকট বিক্রি করে। ফলে কৃষি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও কৃষক সম্প্রদায় ফসলের ন্যায্য মূল্য পায়না। এতে ভোক্তা ও উৎপাদক উভয়ই ক্ষতি গ্রস্থ হয়।

প্রশ্ন৪ঃ কৃষকরা ঋণ গ্রহণ কেন করে? 

উত্তরঃ কৃষকরা কৃষি কাজের বিভিন্ন প্রয়োজনে ঋণ গ্রহণ করে থাকে। কৃষি কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ, কৃষি কাজ পরিচালনা , প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা, গবাদি পশু ক্রয়, ঋণ পরিশোধ, উৎপাদিত পণ্য সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ, গুদাম ঘর নির্মাণ ইত্যাদি কারণে কৃষক বিভিন্ন উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করে থাকে।

প্রশ্ন৫ঃ কৃষকরা প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ কম পায় কেন?
উত্তরঃ
কৃষকের অজ্ঞতা ও অশিক্ষা এবং প্রাতিষ্ঠানিক উৎসের আনুষ্ঠানিকতা বা জটিলতার কারণে কৃষকরা প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ কম পেয়ে থাকে। এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক কৃষি ঋণ গ্রহণ প্রক্রিয়াটি অনেক জটিল, সময়সাপেক্ষ ও হয়রানিমূলক । প্রাতিষ্ঠানিক ঋণের উৎস গুলো প্রয়োজনের তুলনায়  স্বল্প; সেগুলো শহর ভিত্তিক হওয়াই কৃষকরা সেখানে যেতে চায় না। দরিদ্র কৃষকরা যেহেতু জামানত দিতে পারেনা তাই প্রাতিষ্ঠানিক উৎস থেকে ঋণও পায় না । এসব কারণে আমাদের দরিদ্র কৃষকরা ঋণ কম পেয়ে থাকে।

প্রশ্ন৬ঃ দীর্ঘমেয়াদী কৃষিঋণ কৃষি উন্নয়নের ভিত্তি -ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ কৃষি জমির উৎপাদন বাড়াতে চাইলে প্রথমে কৃষি জমির স্থায়ী উন্নয়ন আবশ্যক । কৃষি জমি যদি উন্নত চাষাবাদের উপযোগী না হয় অর্থাৎ কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু হয় তবে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হয়। এক্ষেত্রে এসব সমস্যা সমাধানের জন্য কৃষককে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ গ্রহণ করতে হয় । বিশেষ করে কৃষি জমির স্থায়ী উন্নয়ন, ভারী যন্ত্রপাতি ক্রয় , পুরনো ঋণ পরিশোধে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ এর প্রয়োজন হয়। তাই দীর্ঘমেয়াদি কৃষিঋণ উন্নয়নের ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

প্রশ্ন৭ শস্য বহুমুখীকরণ বলতে কি বুঝায়?

উত্তরঃ একই জমি বা কৃষিজোতে  বিভিন্ন মৌসুমে এক ফসলের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদন করার প্রক্রিয়াকে শস্য বহুমুখীকরণ বলে। একই জমিতে বার বার একই ফসল চাষ না করে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদন করলে জমির উর্বরতা এবং ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পায় ।এরুপ চাষাবাদ করাই হল শস্য বহুমুখীকরণ । শস্য বহুমুখীকরণ এর মধ্য দিয়ে গত দুই দশক যাবত বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে নীরব বিপ্লব সংঘটিত হয়েছে ।শস্য বহুমুখীকরণ এর মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা সম্ভব।

 প্রশ্ন৮ঃ পরিবেশ দূষণের জন্য মানবসৃষ্ট কারণ দায়ী- ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার অভাবে মাটি ক্ষয়ের দরুন মাটি দূষিত হয় । বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার মাটিকে শক্ত করে তুলেছে। কীটনাশকের ব্যবহার কৃষিকাজের জন্য উপকারী অনেক অণুজীবের মৃত্যু ঘটাচ্ছে। ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের ফলে পানিতে আর্সেনিক বৃদ্ধি পাচ্ছে । পানি নিষ্কাশনের প্রাকৃতিক উপায় গুলো বিঘ্নিত হওয়ায় জলাবদ্ধতা বাড়ছে । নদীগুলোর পানি কমে যাওয়ায় সেগুলো শুষ্ক হয়ে উঠেছে এবং নাব্যতা হারাচ্ছে। এসব কারণে আমাদের পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে ।তাই বলা যায় ,পরিবেশ দূষণের জন্য মানবসৃষ্ট কারণই দায়ী।

প্রশ্ন৯ঃ কৃষি পরিবেশের উপর নির্ভরশীল -ব্যাখ্যা করো।

উত্তরঃ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কৃষিকাজ প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর অধিক মাত্রায় নির্ভরশীল হয়ে থাকে । ভূপ্রকৃতি, মাটি, গাছ-পালা, নদী , আবহাওয়া ,আলো- বাতাস ,পানি ,পশু-পাখি, জীব-বৈচিত্র ইত্যাদি নিয়ে প্রাকৃতিক পরিবেশ গঠিত। বাংলাদেশের কৃষি পরিবেশের উপর নির্ভরশীল । মাটির উর্বরতার উপর কৃষি উৎপাদন অনেকাংশে নির্ভর করে । পর্যাপ্ত আধুনিক সেচ ব্যবস্থার অভাবে আমাদের দেশের কৃষকরা চাষাবাদের জন্য বৃষ্টির উপর নির্ভর করে থাকে । তাই বলা যায়, কৃষি ব্যবস্থা প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর নির্ভরশীল।

প্রশ্ন১০ঃ শস্য বহুমুখীকরণ এর ফলে ঝুকি হ্রাস সম্ভব-ব্যাখ্যা কর।

উত্তরঃ শস্য বহুমুখীকরণ এর মাধ্যমে একই জমিতে বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব । বাংলাদেশের বেশিরভাগ কৃষক এখনো তাদের জমিতে বছরের পর বছর একই শস্যের চাষ  করে । দেখা যায় দেশের প্রায় ৭৫ ভাগ জমিতে প্রায় সারাবছর শুধু ধানের চাষ হয় । ফলে কোন কারণে ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে কৃষকরা প্রচুর লোকসানের সম্মুখীন হয় । কিন্তু শস্য বহুমুখীকরণ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করা হলে কোনো কারণে একটি ফসলের উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হলে, অন্য ফসল দিয়ে তা কমবেশি পূরণ করা যায়। এতে করে কৃষি উৎপাদনে ঝুঁকিও কমে আসে।

এইচএসসি পরীক্ষা/২২ অর্থনীতি দ্বিতীয় পত্র(বাংলাদেশের কৃষি)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *